ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

র‌্যাবের অভিযান ॥ কুমিল্লায় সাড়ে ৪শ’ পাসপোর্ট উদ্ধার, গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ১৫ অক্টোবর ২০২০

র‌্যাবের অভিযান ॥ কুমিল্লায় সাড়ে ৪শ’ পাসপোর্ট উদ্ধার, গ্রেফতার ৪

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১৪ অক্টোবর ॥ জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন দুটি স্থানসহ নগরীর চার আস্তানায় র‌্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৪শ’ পাসপোর্ট, বিপুল পরিমাণ আবেদন ফরম, ভুয়া-জাল সার্টিফিকেট, সরকারী বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তার নামে ভুয়া সিল উদ্ধার করেছে। এ সময় পাসপোর্ট দালাল চক্রের চার হোতাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা অবৈধপথে পাসপোর্ট তৈরির সঙ্গে কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা সফিজুল ইসলাম, মিজানসহ তিন কর্মকর্তার জড়িত থাকার কথা র‌্যাবকে জানিয়েছে। র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে বুধবার দিনভর এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। র‌্যাব জানায়, কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন কয়েকটি আস্তানাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে অফিস খুলে সংঘবদ্ধ দালাল চক্র পাসপোর্ট অফিসের এক শ্রেণীর দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অবৈধ পথে পাসপোর্ট তৈরি করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। প্রথমে নগরীর মনোহরপুর সোনালী ব্যাংক ভবন সংলগ্ন ফাইন ফটো স্টুডিওতে অভিযান চালিয়ে মালিক মোঃ আতিককে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার স্টুডিও থেকে ২১১ নতুন, ৭৫ পুরাতন পাসপোর্টসহ ভুয়া সিল ও বিপুল পরিমাণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়। পরে সদর উপজেলার নোয়াপাড়া পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকার খোকন এন্টারপ্রাইজ থেকে ৯৩ পাসপোর্টসহ ইকবাল হোসেন ও আবুল কালাম নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ওই এলাকার পাসপোর্ট অফিস লাগোয়া মার্কেটের কাজী রাইয়্যান এন্টারপ্রাইজ থেকে ৯ পাসপোর্টসহ মালিক কাজী মিনহাজ গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ওই মার্কেটের মা মনি ডিজিটাল স্টুডিও থেকে ৪৮ পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। এ সময় মা মনি স্টুডিও’র মালিক নিয়াজ মোর্শেদ পালিয়ে যায়। র‌্যাবের কর্মকর্তা মেজর নাজমুস সাকিব সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টারের মতো অবৈধ পথে পাসপোর্ট তৈরি করে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতারা এ অপকর্মের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের তিন কমকর্তা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে পাসপোর্ট অফিসের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা সফিজুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
×