সর্ব অঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিবো কোথা!
গোটা সমাজই অন্ধকারাচ্ছন্ন। এই অন্ধকারকে কেবল আলোই দূর করতে পারে। সময় এখন আলো জ্বালানোর। আর তাতেও দূর্নীতিবাজদের শিক্ষা না হলে, সেই আলোর উত্তাপ দ্বারা তাদের ঝলসে দিতে হবে। চাকরির জন্য যখন কেউ লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দেয়, তখন সেই ব্যক্তি তার টাকা উশুল করতে কর্মজীবনে ঘুষ নেওয়া শুরু করে। পরে এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়। এভাবেই সমাজে দুর্নীতির অপসংস্কৃতি সৃষ্টি হয়। সমাজের প্রতিটি স্তরে আজ দূর্নীতি জেঁকে বসেছে। এর থেকে সমাজে অপরাধ বেড়ে চলেছে। নির্মূল করতে গেলে দেখা যায়, সমাজের উচ্চপদাধিকারী মানুষেরা বাধা দেয়। কারণ তারাও এর বাইরে নয়। তারা সাদা রঙধারী। তবে সাদা রঙে কালো সব থেকে উজ্জ্বল! তেমনি তাদের দুর্নীতিও সবার চোখে পড়ে।
সেই জাতির উন্নতি ততদিন সম্ভব নয় যতদিন না দুর্নীতির শেকড়কে উপড়ে ফেলা যাবে। কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। আমাদের সামনে দুটি পথ রয়েছে। প্রথমত, আমরা দুর্নীতিবাজদের পদতলে পিষ্ট হয়ে মরে যেতে পারি। কিংবা, উঠে দাঁড়াতে পারি, ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে পারি। প্রশ্ন হচ্ছে, জাতি হিসেবে আমরা নিজেদের কিভাবে বিশ্বের কাছে পরিচয় দিতে চাই! দুর্নীতিগ্রস্থ একটি পরাজিত জাতি হিসেবে নাকি দৃঢ় মেরুদণ্ডের একটি লড়াকু জাতি হিসেবে!
যদি বলি, কি করার আছে! এগুলো নির্মূল করা কী আসলেই সম্ভব!
হ্যাঁ, এটা সম্ভব। সহজ একটি সূত্রের মাধ্যমে। একটি মাত্র প্রতিজ্ঞা, আমি দুর্নীতি করবো না এবং দুর্নীতির সাথে থাকবো না। সমাজের সকল মানুষের এমন প্রতিজ্ঞা, একটি সুন্দর সমাজ গড়বে। তাছাড়া একবিংশ শতাব্দীতে প্রতিটি মানুষ এক একটি সংবাদমাধ্যম। তারা চাইলে সবকিছু করতে পারে। দুর্নীতিবাজদের মুখোশ টেনে ছিঁড়ে দিতে পারে।শুধু সদিচ্ছার প্রয়োজন। আমরা উঠে না দাড়ালে দেশ নতজানু হয়ে পড়বে। আর বাংলা মায়ের শির আমরা ঝুঁকতে দিতে পারি না।
কাউখালী, পিরোজপুর থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: