ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২৮২ পাট পণ্যকে বহুমুখী পাটপণ্য হিসেবে ঘোষণা

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ১২ অক্টোবর ২০২০

২৮২ পাট পণ্যকে বহুমুখী পাটপণ্য হিসেবে ঘোষণা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় এবং পাট শিল্পের বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণে সরকার ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্যকে বহুমুখী পাটজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বহুমুখী পাটজাত পণ্যের নামসহ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পাট আইন, ২০১৭ অনুযায়ী, ‘বহুমুখী পাটজাত পণ্য’ অর্থ প্রচলিত পাটজাত পণ্য যথা: হেসিয়ান, সেকিং, সিবিসি এবং ০৬ (ছয়) কাউন্ট ও তদুর্ধ পাট সুতা ব্যতীত এইরূপ কোন পণ্য যে পণ্য প্রস্তুতে পাট বা পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারের আধিক্য ন্যূনতম পঞ্চাশ ভাগ। উল্লেখ্য, পাটখাত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমান সরকারের এসব কর্মপরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যে পাটখাত চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শ্রমঘন পাটখাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পাটখাতের উন্নয়নে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন,২০১০, ‘পাট আইন,২০১৭’, ‘জাতীয় পাটনীতি,২০১৮’ প্রণয়ন করেছে । এসব আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) মাধ্যমে পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ ও ব্যবহারের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যের প্রায় ৭০০ উদ্যোক্তা বিভিন্ন ধরনের দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন যার অধিকাংশই বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে দেশে জনপ্রিয় করতে প্রচারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
×