ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কমিউনিটি এ্যাম্বাসেডর

প্রকাশিত: ২০:১৫, ১২ অক্টোবর ২০২০

কমিউনিটি এ্যাম্বাসেডর

নগরবাসীর সকল নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ কমিউনিটি এ্যাম্বাসেডর। এলাকাভিত্তিক চার শ’ স্কয়ারমিটারের জন্য সকল নাগরিক সুবিধা পর্যবেক্ষণ করার জন্য একজন কমিউনিটি এ্যাম্বাসেডর নিয়োগ করা হচ্ছে। তিনি হবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ নাগরিক। তিনিই দেখভাল করবেন সাধারণ নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা। সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা সময়মতো দায়িত্ব পালন না করলে প্রাপ্য বেতন থেকে কাটা যাবে। দেয়া যাবে সকল প্রকার অভিযোগ। এ্যাম্বাসেডরই মূলত নির্ধারিত এলাকার সকল প্রকার সমস্যা পর্যবেক্ষণ করে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সমাধানের মূল দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া যে কোন প্রকার জনদুর্ভোগ বা কোনরকম সমস্যা হলে তা নির্ধারিত স্থানে জমা দেয়া যাবে গতানুগতিক ধারার বাইরে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এজন্য প্রতিটি এ্যাম্বাসেডরের কাছে একটি বিশেষ সফটওয়ার সমৃদ্ধ ডিভাইস প্রদান করা হবে। ডিভাইসে ফিঙ্গারটিপ নামে একটি সফটওয়ার ইনস্টল করা থাকবে। উক্ত ডিভাইসে যে কোন অভিযোগ লেখার পর তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছেও তার দ্রুত সমাধানে নির্দেশনা পৌঁছে যাবে। জনদুর্ভোগ কমাতে এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি মডেল সেবা প্রদান কার্যক্রম গড়ে তুলতে চায় ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেন, সেবা পাওয়া নাগরিকদের অধিকার। প্রাপ্য সেবা পাওয়ার জন্যই তারা আমাদের ভোটে নির্বাচিত করেছেন। তাই নাগরিক সেবায় নতুনত্ব এনে প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে সকল প্রকার সেবা পৌঁছে দিতে চাই। আমরা চাই নাগরিকসেবা শতভাগ নিশ্চিতে কমিউনিটির নাগরিকদের সরাসরি সম্পৃক্ত করা। কারণ তারাই কেবল তাদের এলাকার প্রকৃত সমস্যা বোঝেন এবং তারাই পারেন এর দ্রুত সমাধান করতে। ঢাকায় প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার টন ময়লা-আবর্জনা জমে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সর্বোচ্চ তিন হাজার টন ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতে সমর্থ। বাকি চার হাজার টন রাস্তাঘাটেই পড়ে থাকে। খাল ও ড্রেনগুলোকে রুদ্ধ করে রাখে এবং দূষণ বাড়ায়। চিকিৎসকদের মতে, এ সকল বর্জ্যরে প্রায় ২০ শতাংশই প্রাণঘাতী জীবাণুবাহী। ইতোমধ্যে খোলা ট্রাকে ময়লা-আবর্জনা পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। দিনের বেলায় ময়লা অপসারণ না করারও নির্দেশ দিয়েছে সিটি করপোরেশনকে। কিন্তু পরিস্থিতির কি উন্নতি হচ্ছে? নাগরিদেরও দায়িত্ব রয়েছে। নিজে সড়কে আবর্জনা না ফেলা এবং পরিবারের প্রতিদিনের বর্জ্য জড়ো করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাছে হস্তান্তর- এ দুটি কাজ যথাযথভাবে করলে শহরকে অনেকটাই পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব। আবাসিক এলাকার নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীদের ভেতর থেকে একজনকে ‘কমিউনিটি প্রতিনিধি’ নির্ধারণের ধারণাটি মন্দ নয়। অন্তত এ থেকে মহল্লাবাসীরা যদি ময়লা-আবর্জনাও মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পায়। রাতের বেলা রাস্তা আলোকিত থাকে, সেটিও নাগরিক জীবনে পরম স্বস্তির বিষয়। তবে কাজ শুরু হলে বোঝা যাবে কোথায় কোথায় সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান। রোগ শনাক্ত হলে নিশ্চয়ই ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে- এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।
×