ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিবাদ সমাবেশ

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ১১ অক্টোবর ২০২০

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিবাদ সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারী ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে শনিবার দেশজুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ষক ও দুর্বৃত্তদের রাজনৈতিক পরিচয় মিলছে। তারা ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় অপকর্ম করে চলেছে। বিচার কাজকেও প্রভাবিত করছে। তাদের বিচার হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে পারে না। তারা বলেন, ধর্ষক ও নারী নির্যাতনকারীদের পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে এবং আইনগতভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিশে^র বিভিন্ন দেশের উদাহরণ টেনে বলা হয় দ্রুততার সঙ্গে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে সমাজ থেকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন কমে যাবে। শনিবার দেশের বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত এসব সমাবেশ থেকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। দেশের ৫০ জেলায় এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, কুড়িগ্রাম, মেহেরপুর, পটুয়াখালী, শেরপুর, কক্সবাজার, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মৌলভীবাজার প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সাংবাদিক আবেদ খান, প্রকৌশলী আতাউল মাহমুদ, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, চারুশিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী, অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সঙ্গীতা ইমাম, আবৃত্তি শিল্পী শিরীন ইসলাম, ঝর্ণা আলমগীর, সাফিয়া খন্দকার রেখা, প্রজন্ম ৭১-এর এস এম শাহীন প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। সঞ্চালনা করেন পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস। প্রতিবাদ সমাবেশের অংশ হিসেবে আগামী শনিবার থেকে প্রতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ধর্ষকদের বিচার দ্রুত বিচার আইনে করতে হবে। আর সর্বোচ্চ এক শ’ দিনের মধ্যে এর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শাস্তি দ্রুত কার্যকর করা হলে তা মানুষের মাঝে প্রভাব ফেলে। তা না হলে, মামলা ঝুলে থাকে। অপরাধীরা আইনের ফাঁক গলে পার পেয়ে যায়। এ অবস্থা আর চলতে দেয়া হবে না। হাসান আরিফ বলেন, দ্রুত বিচার আইনে ধর্ষকদের শাস্তির বিধান করতে সংসদে আইন প্রণয়ন করতে হবে। ধর্ষক ও দুর্বৃত্তদের রাজনৈতিক পরিচয় মিলছে। তারা ক্ষমতাসীন দলের ছত্রচ্ছায়ায় অপকর্ম করে চলেছে। বিচারকাজকেও প্রভাবিত করছে। তাদের বিচার হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে পারে না। তিনি সংস্কৃতি কর্মীদের শিল্পের শক্তি দিয়ে ধর্ষক ও দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।
×