ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডিসেম্বরে উদ্বোধন সফটওয়্যার পার্ক

চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার স্থাপন শুরু

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ১১ অক্টোবর ২০২০

চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার স্থাপন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম মহানগরীতে নির্মাণাধীন ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার স্থাপন কাজ শুরু হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে প্রতি রাতে বসবে ৪ থেকে ৮টি করে গার্ডার। করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা স্থবিরতা এলেও এখন বেশ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে স্বপ্নের এই প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে মহানগরীর প্রধান সড়ক বহদ্দারহাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যাতায়াতে আসবে আমূল পরিবর্তন। যানজট কমবে মূল সড়কে। এদিকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই পার্কের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) সূত্রে জানায়, নগরীর মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। এখন চলছে লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ। এতে ব্যয় হচ্ছে ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। মুরাদপুর থেকে ফ্লাইওভার থাকায় এর মাধ্যমে বহদ্দারহাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সুগম যাতায়াতের সুযোগ পাওয়া যাবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে থাকবে র‌্যাম্প ও লুপ। ফলে সুবিধামতো জায়গায় যানবাহন ওঠানামার সুযোগ থাকছে। এতে করে বিমানবন্দর তথা পতেঙ্গার যাত্রীরা অল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। মূল সড়কে যানজট কমে যাবে। চউক জানায়, ধাপে ধাপে এ কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রথমে পতেঙ্গা সীবিচ এলাকায় বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত পাইলিং ও পিলার তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু করা হয়েছে সিমেন্ট ক্রসিং থেকে সল্টগোলা পর্যন্ত পাইলিংয়ের কাজ। আর তৃতীয় পর্যায়ে সল্টগোলা ক্রসিং থেকে বারিক বিল্ডিং এবং চতুর্থ পর্যায়ে বারিক বিল্ডিং থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে অর্থাৎ পতেঙ্গা সীবিচ এলাকা থেকে গার্ডার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৮টি পর্যন্ত গার্ডার স্থাপন সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নগরবাসীর জন্য একটি স্বপ্নের প্রকল্প। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৫৪ ফুট। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ৮ কিলোমিটার অংশে পিলার হচ্ছে ২০০টি, যার মধ্যে ১২৫টি পিলারের কাজ এরমধ্যেই শেষ হয়েছে। এক পিলার থেকে অপর পিলারের দূরত্ব হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ মিটার। প্রতিটি স্প্যানে বসবে ৮টি করে গার্ডার। প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদিত হয় ২০১৭ সালের ১১ জুলাই। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য এখন সাময়িকভাবে দুর্ভোগ হচ্ছে মূল সড়কে। তবে দ্রুতই এ সমস্যা কেটে যাবে বলে আশ^স্ত করছেন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ডিসেম্বরে উদ্বোধন সফওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ॥ চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদে অবস্থিত সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেটের ১ লাখ ১০ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গায় গড়ে উঠছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। ভবনটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মালিকানার। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন এটিই হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামে এ ধরনের প্রথম পার্ক। আগামী ডিসেম্বর মাসেই পার্কটি উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। এই পার্ক দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতেও সহায়তা করবে। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এতে ব্যয় হচ্ছে ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ১১ মার্চ পার্কটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এর আগে ২০১৮ সালের জুলাই মাসের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সিটি কর্পোরেশন। এই পার্ক থেকে অর্জিত লভ্যাংশ সিটি কর্পোরেশন এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সমান ভাগে ভাগ করে নেবে। ব্যাংকক সিঙ্গাপুর মার্কেটে ৫ম থেকে ১০ম ফ্লোর পর্যন্ত লক্ষাধিক বর্গফুট জুড়ে বিস্তৃত হবে এই পার্ক।
×