স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের নারী নির্যাতনকারীদের সঙ্গে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর তফাত নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিহত ছাত্রনেতা নাজির উদ্দিন জেহাদ স্মরণে ‘জেহাদ স্মৃতি পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ ছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, দেশে এখন ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বেড়েছে।
বিভিন্ন দেশের আন্দোলন প্রসঙ্গে নজরুল বলেন, বছরের পর বছর ধরে নির্যাতন-নিপীড়ন, একদলীয় শাসন ও নানা ধরনের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা দেখলাম সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আরব বসস্ত। বহু দেশে বিরাট পরিবর্তন ঘটে গেল। অতি সম্প্রতি আমরা দেখছি, মিসরে জেনারেল সিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে। এ ছাড়া বেলারুশে আন্দোলন চলছে, থাইল্যান্ডে জেনারেলের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। আন্দোলন আমাদের এখানেও হবে, হতে বাধ্য। কারণ, মানুষের আকাক্সক্ষাকে জোর করে দমন করা যায় না, মানুষের প্রয়োজনকে অগ্রাহ্য করে বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই দেশ যেই দেশ লাখ লাখ মানুষের রক্তে স্বাধীন হয়েছে। এই দেশ স্বাধীন করতে আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত দিতে হয়েছে। আজকেও এই স্বাধীন বাংলাদেশে যখন আমার মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয় তখন কাকে দোষ দেব আমরা? যারা আমাদের মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করে তারা আর একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে কোন পার্থক্য নেই।
নজরুল খান বলেন, দেশের এখন যে অবস্থা তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। এমন বাংলাদেশের জন্য আমরা লড়াই করিনি। আমরা লড়াই করেছিলাম একটা সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের জন্য। যেখান মানুষের অধিকার থাকবে, মানুষ নিশ্চিন্তে নির্বিঘেœ জীবনযাপনের সুযোগ পাবে। আজকে সেটাকে রুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে।
দেশে এখন ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বেড়েছে- রিজভী ॥ দেশে এখন ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তা বাড়ছে। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ’ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি ছিলাম, সিন্ডিকেট মেম্বার ছিলাম। ’৭৩-এর এ্যাক্টে যে বিধান রয়েছে সেটা আমার মোটামুটি জানা আছে। ভিন্নমতের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের চাকরি যেতে পারে না। নৈতিক স্খলনের জন্য হয়তো তার কিছু হতে পারে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: