ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খেলাপী ঋণের চাপে করোনাকালের অর্থনীতি

প্রকাশিত: ২১:০০, ১১ অক্টোবর ২০২০

খেলাপী ঋণের চাপে করোনাকালের অর্থনীতি

সময়ের আবর্তে আগের অর্থমন্ত্রীরা সংসদে ঋণ নিয়ে কথা বললেও বিগত ২০০৯ সালের পর থেকে টানা দশটি বছর বাজেট অধিবেশনে খেলাপী ঋণ নিয়ে কেউ কথা বলেননি। বর্তমান অর্থমন্ত্রী ২০১৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বলেছিলেন কাল থেকে কোন প্রকার খেলাপী ঋণ আর থাকবে না। অথচ বিগত নয়টি বছরে এই খেলাপী ঋণ ২২ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকায়। তারপর ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী খেলাপী ঋণের প্রসঙ্গটি নিয়ে আসেন এবং ভাল ঋণ সংস্কৃতি গড়ার লক্ষ্যে তাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধার কথা বলেছিলেন। অর্থমন্ত্রীরা ব্যাংকিং কমিশন গঠনের কথাও বলেছিলেন, যার বাস্তবায়ন এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। ক্রমাগতভাবে খেলাপী ঋণ বৃদ্ধির কারণে গত ২ জুন জাতীয় সংসদে জনৈক সংসদ সদস্য কর্তৃক প্রশ্ন উত্থাপিত হলে অর্থমন্ত্রী তার উত্তরে বলেন, ঋণ খেলাপী হওয়ার কারণ পাঁচটি। যথা : এক. দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়মবহির্ভূত অনেক কিছু হয়েছে; দুই. ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে; তিন. ঋণের বিপরীতে রাখা পর্যাপ্ত জামানত, একই সম্পদ একাধিক ব্যাংকে জামানত রাখা ও জামানত বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দেখানো; চার. গ্রাহকের সকল দলিল সংগ্রহ ও সঠিক যাচাই না করা; পাঁচ. ঋণ গ্রহীতার তহবিল ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা, প্রয়োজন ও সামর্থ্যরে বিচার না করে অতিরিক্ত ঋণ প্রদান, সময় সময় ঋণসীমা বাড়ানো, ঋণ তফসিলকরণ ও পুনর্গঠন সুবিধা দেয়া ইত্যাদি। অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, ঋণ খেলাপী হলে আদায় ও বিতরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা সামষ্টিক অর্থনীতির বিবেচনায় জাতীয় আয়ে (জিডিপি) এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ঋণ দেয়ার সংস্কৃতি যে ঋণ খেলাপীর অন্যতম কারণ তা মন্ত্রী মহোদয় উল্লেখ করলে তার উল্লিখিত কারণগুলো আরও সুস্পষ্ট হতো। এখন আসা যাক খেলাপী ঋণের সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নিয়ে, যাতে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে গরমিল রয়েছে। বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি বলেছে দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপী ঋণের হার সবচাইতে বেশি, যা বাংলাদেশে (১১.৪%), যা তাদের প্রকাশিত গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লিখিত হয়েছে। এর পরপরই রয়েছে ভুটান (১০.৯%), আফগানিস্তান (১০.৮%), ভারত (৮.৯%), পাকিস্তান (৮.২%) এবং শ্রীলঙ্কা (৩.৬%)। খেলাপী ঋণ বাড়লে নানা সমস্যা দেখা দেয়, যেমন- তারল্য সঙ্কট, যা বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করে এবং ব্যাংকের মুনাফা কমিয়ে দেয়। যার প্রভাব পড়ে কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে টিআইবি বলেছে, ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত খেলাপী ঋণের প্রকৃত পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৪০ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। এর সঙ্গে অবলোপনকৃত খেলাপী ঋণ ৫৪ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা যোগ করলে খেলাপী ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় তিন লাখ কোটি টাকায়। বিভিন্ন সময় খেলাপী ঋণ হ্রাস এবং ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও তা কার্যকর না করে বারবার ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ ও পুনর্গঠন করা হয়। সম্প্রতি টিআইবি পরিচালিত ‘ব্যাংকিং খাত তদারকি ও খেলাপী ঋণ নিয়ন্ত্রণ : বাংলাদেশ ব্যাংকের সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যাতে গত কয়েক বছরে খেলাপী ঋণের ক্রমবর্ধমান ধারা বিশ্লেষণের পাশাপাশি খেলাপী ঋণ তদারকিতে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি কাঠামোর নানা দিক তুলে ধরা হয়। তাদের মতে খেলাপী ঋণ হ্রাসে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় এবং ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীদের আইনের আওতায় না আনায় দিন দিন ব্যাংক খাতে খেলাপী ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। গত ১০ বছরে ব্যাংকিং খাতে খেলাপী ঋণ বেড়েছে প্রায় ৪১৭ শতাংশ। প্রকৃতপক্ষে এই খেলাপী ঋণের পরিমাণ প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা। সেইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান খেলাপী ঋণ ও ব্যাপক অনিয়মে জর্জরিত ব্যাংকিং খাত সংস্কারের জন্য এ খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনসহ ১০টি সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯-২০১১ সাল পর্যন্ত খেলাপী ঋণ উল্লেখযোগ্যহারে ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেলেও পরবর্তী সময়ে খেলাপী ঋণের হার পুনরায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঋণ খেলাপী দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশেষ করে ঋণখেলাপীদের শাস্তি দেয়ার আলোচনা এলেই একটা বিভাজন সরকারের তরফ থেকে করা হয়, সেটি হলো ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী। কিন্তু কে যে ইচ্ছাকৃত আর কে নয় তার কোন সুরাহা হয়নি। যদিও অর্থমন্ত্রী বাজেটেই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদের চিহ্নিত করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদের নতুন এক দিক নিয়ে ফেসবুকে তিনি লেখেন গত ৮ জুলাই। লেখার শিরোনাম ছিল- ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী একটা নেশা কেন? মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা নিয়ে ইদানীংকালের গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মানুষের অর্থনৈতিক আচরণের বিষয়ে কিছু নতুন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। এর ওপর ভিত্তি করে নিওরো-ইকোনমিকস বলে অর্থনীতির একটা নতুন ধারার গবেষণা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। দেখা গেছে মানুষের ভাবাবেগ, যা মস্তিষ্কের সামনের অংশের স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে, তা অনেক সময় পেছনের অংশের যুক্তিনির্ভর অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এর ফলে অর্থনীতির পাঠ্যপুস্তকে মানুষের অর্থনৈতিক আচরণকে যুক্তিভিত্তিক বলে যে অনুমান করা হয় বাস্তবে আবেগতাড়িত হয়ে মানুষ অনেক সময়ই তেমন আচরণ করে না। দেখা গেছে মানুষের ভাবাবেগ, যা মস্তিষ্কের সামনের অংশের স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে, তা অনেক সময়ই পেছনের যুক্তিনির্ভর অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এর ফলে অর্থনীতির পাঠ্যপুস্তকে মানুষের অর্থনৈতিক আচরণকে যুক্তিভিত্তিক বলে যে অনুমান করা হয় বাস্তবে আবেগতাড়িত হয়ে মানুষ অনেক সময়ই তেমন আচরণ করে না। আমাদের ব্যাংকিং খাতের ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীরা কেন বারবার একই কাজ করেন তার অন্তত একটা আংশিক উত্তর উপরোক্ত গবেষণা থেকে মিলতে পারে। তার অর্থ, ইতোমধ্যে এভাবে আসক্ত হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ছাড়া শুধু আর্থিক খাতের সংস্কার দিয়ে সমস্যার পুরো সমাধান মিলবে না। তবে বৈধ পথে মুনাফা অর্জনের নেশা সফল উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থায় বড় শিল্পপতিরা এত অগাধ ধনসম্পদের মালিক হয়েছেন যে, তারা আরও মুনাফা অর্জনের নেশায় সর্বক্ষণ তাড়িত হন। বিগত শতাব্দীর বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ জোসেফ সুম্পিটার একে এক ধরনের জৈবিক তাড়না (ধহরসধষ ংঢ়রৎরঃ) বলে অভিহিত করেছেন। আধুনিক নিউরো সায়েন্সের গবেষণা থেকে এখন এর আরও বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা পাওয়া গেল। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এক নির্দেশনা জারি করে বলেছে, করোনার প্রভাবে কেউ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ না করলে তাকে খেলাপী করা যাবে না। বিশেষ সুবিধার কারণে অপরিশোধিত এসব ঋণের ওপর আরোপিত সুদ ব্যাংকের আয় খাতে স্থানান্তর ও প্রভিশন সংরক্ষণ বিষয়ে পরে নির্দেশনা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে করোনাভাইরাসের এ সময়ে অনাদায়ী ঋণ বিশেষ সুবিধায় নিয়মিত দেখাতে পারলে এসব ঋণের সুদ আয় খাতে নেয়া যাবে না। স্বল্পমেয়াদী কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণসহ বিদ্যমান মেয়াদী ঋণের অপরিশোধিত কিস্তি বিলম্বে পরিশোধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে আগামী জানুয়ারি থেকে অপরিশোধিত ঋণের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত হবে। এখন খেলাপী ঋণ আদায়ে যে সকল বিষয় সুবিবেচনায় আনার প্রয়োজন রয়েছে তা হলো : প্রথমত, ঋণ বিতরণ ও আদায়ে সমতা বিধান করা। ঋণ বিতরণ যদি স্বচ্ছতার সঙ্গে উৎপাদনশীল খাতে হয় তাহলে আদায়ে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এ ব্যাপারে ব্যাংকার কাস্টমারের নৈতিকতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। যারা অসাধুতাকে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত করে তারা উভয়ই সমান দোষী। এ ব্যাপারে প্রথমে ব্যাংকারদের সতর্ক হতে হবে এবং পরবর্তীতে গ্রাহকদেরও এই পথ অনুসরণ করতে হবে; দ্বিতীয়ত, দেশের ৩৯টি বেসরকারী ও ৪টি সরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক সাধারণত আর্থিক বাজারের অংশ হিসেবে স্বল্প মেয়াদে গ্রহীতাদের ঋণের চাহিদা পূরণ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এই ব্যাংকগুলো দীর্ঘ মেয়াদে চার-পাঁচ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়েছে, যার বেশিরভাগ খেলাপী ঋণে পরিণত হয়েছে। এখন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিয়মনীতি ভঙ্গ করে ঋণ দেয়া এবং ঋণখেলাপী হওয়ার মতো একটি যাতনাকে বয়ে বেড়াচ্ছে। যার ফল তারল্য সঙ্কট, মুনাফার ঘাটতি ও ইমেজ সঙ্কটে পড়ছে। অথচ দীর্ঘ মেয়াদে বৃহদাকার ঋণ প্রদানের জন্য বিশেষায়িত ব্যাংক, যেমন- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), বেসিক ব্যাংক, রাকাব ইত্যাদি রয়েছে, যারা সরকারী ব্যাংক হিসেবে সরকারের সাহায্যপুষ্ট হয়ে বেশি সময়ের অর্থায়নে অংশ নিতে পারে। এই অসঙ্গতিগুলো দূর করা প্রয়োজন। তৃতীয়ত, ব্যাংকিং খাতের বৃহদাকার ঋণগুলোর স্বচ্ছতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন না হওয়ায় অনেক অনগ্রাধিকার কিংবা অলাভজনক খাতেও ঋণ দিচ্ছে, যা পরবর্তীতে খেলাপী ঋণে পরিণত হচ্ছে। আবার রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক ঋণ মঞ্জুর করা হয়, যার বেশিরভাগ অন্যুৎপাদশীল খাতে চলে যায়। যার পরিণতি হয় খেলাপী ঋণ। এখন গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে বিচরণ করলেও অন্তত ব্যাংকিংয়ের মতো সেবাধর্মী আর্থিক খাতটিকে রাজনীতিমুক্ত রাখা যায় না কেন? এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের অভিভাবক হিসেবে তার সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারে না কেন? চতুর্থত, ঋণ মওকুফ, ঋণের পুনঃতফসিলীকরণ, ঋণের অবলোপন ইত্যাদি বিষয় এখন খুবই ক্ষতিকর ও অলাভজনক। এখন ব্যাংকও ঢালাওভাবে সবাইকে সুযোগ দিতে পারে না কিংবা ঢালাওভাবে বিবেচনায়ও আনতে পারে না। কিন্তু জায়গাটিতে ব্যাংকার কিংবা ব্যাংকিং সুশাসনের অভাব পরিলক্ষিত হয়, যা কোনভাবেই পূরণ করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সহায়তা, প্রশাসনিক সমর্থন ইত্যাদি তফসিলী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য খুবই জরুরী। সবশেষে বলা যায়, সরকার যদি সচেষ্ট হয় তবে সামাজিকভাবে এই সকল খেলাপী ঋণের মোকাবেলা করা সম্ভব, আবার প্রশাসনিকভাবেও সম্ভব। এখন কোন্টি ভাল হবে তা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন। তবে সমস্যার অবশ্যই শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই ব্যাংকিং শিল্পের স্বার্থে। লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও ডিন, সিটি ইউনিভার্সিটি ও সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি
×