ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড়

প্রকাশিত: ২২:১৮, ১০ অক্টোবর ২০২০

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড়

রাজন ভট্টাচার্য ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ সারাদেশ। বর্বরোচিত এসব ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন সর্বস্তরের মানুষ। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সব ধরনের নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে পালিত হচ্ছে একের পর এক কর্মসূচী। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া হলের অনেকে সন্তুষ্ট নন। তারা বলছেন, ধর্ষকরা যে দলের হোক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কোন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় প্রশ্রয় যেন না পায় অপরাধীরা। সব মহল থেকে দাবির প্রেক্ষিতে ধর্ষিত ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সরকারের আইন সংশোধনের প্রস্তুতি চলছে। আগামী সোমবার আইন সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ওঠার কথা রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এত কিছুর পরও ধর্ষণের মতো সামাজিক অপরাধ থেমে নেই। প্রতিদিন একের পর এক এর ধরনের খবর আসছে গণমাধ্যমে। সব মিলিয়ে এসব ঘটনার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে প্রতিবাদের ঝড়। ধর্ষকদের প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। সেইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইন সংশোধন করে দোষী ব্যক্তিদের মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করারও দাবি ওঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। আইন বহির্ভূত হলেও এ ধরনের অপকর্মে জড়িত ব্যক্তিকে সরাসরি ক্রসফায়ারে দেয়ার দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে অনেকেই ক্রসফায়ারকে সমর্থন করছেন। ইতোমধ্যে ধর্ষণের মতো সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে ও অপরাধীদের বিচারের দাবি তোলে অনেকেই ফেসবুকে নিজের প্রোফাইল কালো করে দিয়েছেন। ধর্ষণবন্ধে ‘পাক্ষিক বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।’ ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে বরেণ্য কবি নির্মলেন্দু গুণ তাই ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘যারা সঙ্গম আর ধর্ষণের পার্থক্য বোঝে না, তাদের জন্য নিষিদ্ধ হলো-আমার কবিতা, গান।’ ধর্ষণবন্ধে ‘পাক্ষিক বিচার ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হোক ॥ অপর আরেকটি স্ট্যাটাসে কবি নির্মলেন্দু গুণ এমন দাবি জানিয়ে লিখেছেন, ‘লজ্জায়, রাগে-দুঃখে এবং অসহায় ক্ষোভে আমি আমার গতকালকের পোস্টে ধর্ষকদের ক্রসফায়ারে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বলেছিলাম। তাতে বিচার-বহির্ভূত হত্যাকে উৎসাহিত করা হবে মর্মে কিছু মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রয়া হয়েছিল। তাই দেখে, বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করে আমি আমার পূর্ব-অবস্থান থেকে সরে এসে একটি বিকল্প ব্যবস্থার কথা প্রস্তাব করছি; যাতে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যার অভিযোগ থেকে বিষয়টি মুক্ত হয়। কিন্তু দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করাও সম্ভব হয়।’ তিনি লিখেছেন, আমি ‘দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের আদলে একটি ‘পাক্ষিক বিচার ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করার প্রস্তাব করছি। এই ট্রাইব্যুনালে যে এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটবে- ১। সেখানকার স্থানীয় পুলিশ ২। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও ৩। র‌্যাবের একটি টিম ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করবে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের তদন্ত রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কবি রিখেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টিম তখন দুই দিনের মধ্যে প্রাপ্ত রিপোর্টগুলো নিয়ে বসবেন এবং যথাযথ পর্যালোচনা ও ক্রস-চেকিং করে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবে। রায় ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর করতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রপতি একটি অর্ডিনেন্স জারি করতে পারেন। আমাদের সমাজ জীবনে ধর্ষণ যেহেতু একটি চলমান অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির ওই অর্ডিনেন্সটি পরে জাতীয় সংসদে পাস করিয়ে নিতে হবে। ধর্ষকের শাস্তি কী হবে, কী হওয়া উচিত, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘তিন কমিটি’র সঙ্গে আলোচনা ও পর্যালোচনা করে নির্ধারণ করবে। তিনি লিখেছেন, ‘লাখ-লাখ প্রাণের মূল্যে মুক্ত আমাদের এই দেশ ধর্ষকদের বর্বর নিষ্ঠুর হাত থেকে মুক্ত হোক..., এই আমার একান্ত প্রার্থনা’। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত ছিল পূর্ণিমা ধর্ষণের ঘটনা। চলমান ধর্ষণের ঘটনার পর সেই পূর্ণিমা তাই ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ‘যে সমাজ নারী-পুরুষের প্রেম বোঝে না, ভালবাসাকে নোংরা অপবাদ দেয় সে সমাজই ধর্ষক তৈরি করে।’ আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘বলৎকার, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের খবর গণমাধ্যমে দেখতে আর শুনতে শুনতে মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার পথে!!’ দেশব্যাপী ধারাবাহিক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে নগ্ন পদযাত্রা (খালি পায়ে) করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ খান। শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ৩ শিক্ষার্থীকে নিয়ে তিনি এই নগ্ন পদযাত্রা শুরু করেন। তার এই নগ্ন পদযাত্রা নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অবস্থান নিয়ে তিনি সচেতনতামূলক বার্তা দেন। অধ্যাপক ফরিদ খান বলেন, আমরা চাই ধর্ষণমুক্ত একটি সমাজ। সামাজিক আন্দোলন ছাড়া এটি সম্ভব নয়। নারীদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমার এই নগ্ন পদযাত্রা বলে জানান তিনি। এই প্রতিবাদের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঠাঁই পেয়েছে। লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান শাকিব খানের ॥ সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ কিংবা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনা দেশের মানুষের সহ্যসীমাকে অতিক্রম করেছে। নারী নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠে বিবৃতি দিলেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দেশে ধর্ষণ মহামারীর চেয়েও ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করেন শাকিব খান। এটিকে জঘন্য ও বর্বরতম অপরাধ হিসেবে মনে করছেন তিনি। লিখেছেন, সমাজ এখনও অনেক ক্ষেত্রে নারীকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে চায় না। তিনি বলেন, নারী প্রথমে একজন মানুষ। তারপর একজন নারী কারও মা, কারও বোন। নারীকে মানুষ হিসেবেই মানুষের শ্রদ্ধা করা উচিত, গণ্য করা উচিত, মান্য করা উচিত।’ শাকিব আরও লিখেছেন, ‘একজন নারী একজন মা, পৃথিবীর কোন কিছুর সঙ্গেই মায়ের তুলনা হয় না। যারা একজন মা আর বোনকে অন্য চোখে দেখে, ধর্ষণের মানসিকতা মনের মধ্যে লালন করে বেড়ায় তার কোন পরিচয় হয় না। সে পুরুষ না কী তার চেয়ে বড় তিনি মানুষ নন। তার একমাত্র পরিচয় ধর্ষক। তিনি বলেন, আমার শূটিং চলতি ছবি ‘নবাব এলএলবি’তে ধর্ষণের মতো জঘন্য বিষয় আর সামাজিক ব্যাধিকে প্লট হিসেবে বেছে নিয়েছি। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আমার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই ধরনের ঘৃণিত অপরাধের বিরুদ্ধে আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি, ভবিষ্যতেও করে যাব। দল, মত, ক্ষমতা সবকিছুর উর্ধে গিয়ে ধর্ষণকারীদের দ্রুতবিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন শাকিব খান। চেয়েছেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। বিশ্ব বর্তমানে করোনা মহামারীর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখনও বাংলাদেশে প্রতিদিন হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ধর্ষণকে আরও ভয়ঙ্কর উল্লেখ করে এই ঢালিউড নায়ক লিখেছেন, দেশে মহামারীর চেয়েও ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ধর্ষণের মতো জঘন্যতম অপরাধ। এর কারণ ওই সব মানুষরূপী নরপশুর নৈতিক অবক্ষয়, মাদকের বিস্তার, ধর্ষণসংশ্লিষ্ট আইনের সীমাবদ্ধতা, বিচারপ্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রতা। দেশের ধর্ষণের ঘটনায় ফেসবুকে সোচ্চার অভিনেত্রী জয়া আহসান, মৌসুমী, ওমর সানী, চঞ্চল চৌধুরী, নিপুণ, অরুণা বিশ্বাস, আফরান নিশো, অপূর্ব, মেহের আফরোজ শাওন, মৌটুসি বিশ্বাস, রওনক হাসানসহ একাধিক তারকা ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার হতে দেখা গেছে। ধর্ষণ নিয়ে বুধবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস মাশরাফি বিন মর্তুজা লিখেছেন, আপনার মেয়ে যখন আপনার কোলে বসে থাকে, তখন আপনার সেই অনুভূতি হয় না। যখন আপনার বোন আপনার পাশের রুমে থাকে, তখনও সেই অনুভূতি আসে না। আপনার স্ত্রীকে নিয়ে যখন আপনি ঘুরতে বেড়োন, তখন তার দিকে বাঁকাভাবে তাকালে আপনার খারাপ লাগে। কিন্তু অন্যকে দেখার ক্ষেত্রে কি আমার, আপনার অনুভূতি একই রকম আছে? তা না হলে বুঝে নিতে হবে, সমস্যা অনেকের মগজেই। হয়ত পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে সবারটা প্রকাশ পায় না। আসুন মানসিকতা পরিবর্তন করি। নারীকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে দিই। আর ধর্ষক কোন পরিচয় বহন করে না। সে কুৎসিত, হয়ত চেহারায় নয়, মানসিকতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন লিখেছেন, ‘যদি যৌনক্ষুধার জন্যই শুধু ধর্ষণ হয় তাহলে এই ভয়াবহ নির্যাতন করতে হয় কেন? ঘুরুক এই ভিডিও। তাকাইয়া দ্যাখ। শোন। তারপরেও যদি বুঝিস। যদি বুঝতে চাস।’ সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আর কত? কেন? নারীর জন্য এ রাষ্ট্র নয়? নারীর নিরাপত্তা দেখার দায় রাষ্ট্রের নয়? যদি না হয় তাহলে বলে দিন, গণহারে নারী অগ্নিপ্রবেশ করুক। আর যদি রাষ্ট্রটি নারীরও হয় তাহলে তাকে তার অধিকার নিয়ে বাঁচার পথ করে দিন। আর নেয়া যাচ্ছে না।’ উন্নয়নকর্মী গীতা অধিকারী লিখেছেন, মানুষ পৈশাচিকতায় যে কোন হিং¯্র প্রাণীকে অনেক আগেই হার মানিয়েছে। কেউ কি ছিল না মেয়েটার জন্য। এ কয়টা দানবের কাছে হার মেনে গেল সবকিছু। বহুদিনের চলে আসা বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের আরেকটা বর্বর ঘটনার সাক্ষী করে দিল। নোয়াখালীর ভিডিওটি না চাইতেই সামনে চলে এসেছে। আমি মা এবং আমিও একজন নারী। রাগে ক্ষোভে ঘৃণায় নিজেকে মানুষ ভাবতেই লজ্জা হচ্ছে। এ অমানুষদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। নাকি নতুন কোন ঘটনার আড়ালে এটিও ফাইল চাপা পড়ে যাবে! দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই নয় মাসে প্রতিদিন গড়ে তিনটির বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। নয় মাসে মোট ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯৭৫টি। মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মনে করেন, ‘যদি আইনের শাসন বড্ড দুর্বল হয়ে যায় তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকে। দেশে আইনের শাসন দুর্বল হয়ে গেছে। দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণ হলো প্রভাবের একটি বলয় তৈরি হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার আইনের শাসনকে কোণঠাসা করে ফেলেছে বলেও মনে করেন তিনি। ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা আকতার বিথি। অব্যাহতি প্রাপ্ত ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূরসহ সবার গ্রেফতারের ব্যাপারে তিনি অনশন অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে অনশন শুরুর পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রচার হয়। এই খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাখ লাখ শেয়ার হয়েছে। অনেকই মন্তব্য করেছেন, যিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাকেই অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য অনশন করতে হচ্ছে? আমরা কোথায় আছি। আরেকজন লিখেছেন, অভিযুক্তরা ধর্ষণবিরোধী কর্মসূচী পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। অথচ তাদের ধরা হচ্ছে না। এটা কোন ধরনের নীতি। নাকি রাজনীতির চালে ধর্ষকদের রক্ষার চেষ্টা চলছে।
×