স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্যুতের অপচয় রোধে পরিবেশ সহনশীল ব্যাটারিযুক্ত রিক্সা সড়কে চলাচলে অনুমোদন নেই সরকারের পক্ষ থেকে। ফলে ব্যাটারিচালিত এসব অটোরিক্সা কার্যত অবৈধ। তবুও থেমে নেই এমন অটোরিক্সার ব্যবহার। বরং দিন দিন রাজধানীর সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
অটোরিক্সার চালক ও মালিকরা বলছেন, বিধি অনুযায়ী অবৈধ হলেও রাস্তায় চলতে তাদের কোন অসুবিধা হয় না। কারণ একদিনে যেমন এলাকার নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করে চলেন, তেমনি সড়কে তাদের বিরুদ্ধে যাদের ব্যবস্থা নেয়ার কথা, সেই পুলিশ তাদের কাছে ‘ম্যানেজড’। অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ হলে এই দুই পক্ষ, নেতা ও পুলিশ উভয়ে বড় অঙ্কের মাসোহারা হারাবে। সে বিবেচনায় অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ করার রাস্তা সহজ নয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব অটোরিক্সার চালক ও মালিকদের কাছ থেকে মাসোহারা তোলা হয় নিয়মিত। প্রতি মাসে এর পরিমাণ ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত। সে হিসাবে বছরে আড়াই থেকে সাড়ে তিন শ’ কোটি টাকা চাঁদা দিয়ে থাকেন অটোরিক্সার চালক-মালিকরা! অভিযোগ রয়েছে এসব টাকার ভাগ স্থানীয় নামধারী কিছু নেতাকর্মী ও থানা পুলিশের মধ্যে ‘ভাগ-বাটোয়ারা’ হয়। এই বিপুল অঙ্কের অর্থের উৎস সহজে বন্ধ করতে রাজি নন কেউ। ফলে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হলেও রাজধানীর রাজপথে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারীরা যদি অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়, তবে প্রতিবাদকারীদের নীরব দর্শক হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কারণ অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারীরাই তখন অপরাধী বনে যান। অটোরিক্সার ক্ষেত্রে ঘটছে সেটিই। সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ নির্দেশনা না এলে এই ‘মিউচুয়াল ক্রাইম’ বন্ধ হওয়ার কোন আশা নেই- এমনটিই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সরেজমিনে রাজধানীর মুগদা, মান্ডা, হাজারীবাগ, জিগাতলা, কামরাঙ্গীরচর, দক্ষিণখান, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, ডেমরা, বাসাবো ও মাদারটেকসহ রাজধানীর ছোট বড় প্রায় ৫০ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি এলাকাতেই ব্যাটারিচালিত রিক্সার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। বিভিন্ন এলাকার রিক্সাচালক ও মালিকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
চালক-মালিকরা বলছেন, অটোরিক্সা চালানোর জন্য প্রতিটি এলাকাতেই সুনির্দিষ্ট ‘ব্যবস্থা’ আছে। থানা পুলিশ ও স্থানীয় নেতাদের যৌথ উদ্যোগে ‘লাইনম্যান’দের মাধ্যমে প্রতিটি রিক্সার জন্য একটি করে কার্ড ইস্যু করা হয়। এই কার্ডে উল্লেখ থাকে, কোন অটোরিক্সা কোন এলাকা পর্যন্ত চলতে পারবে। আর এই কার্ডের জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে একহাজার টাকা করে দিতে হয় লাইনম্যানকে। তবে যেসব এলাকা ভিআইপি হিসেবে পরিচিত (ধানম-ি, মতিঝিল, মিরপুরের মতো এলাকা), সেসব এলাকায় এই ‘লাইন খরচ’ তথা মাসিক চাঁদার পরিমাণ ২ হাজার টাকা। এই টাকা না দিলে নির্ধারিত এলাকার মধ্যে অটোরিক্সা চালানো সম্ভব হয় না। অন্যদিকে কোন অটোরিক্সা কার্ডে উল্লেখ করা এলাকার বাইরে গেলে সেটি ধরা পড়লে আবার ট্রাফিক পুলিশকে ‘খুশি করে’ গাড়ি ছাড়িয়ে আনতে হয়। তাতে একেক বার খরচ সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।
মান্ডা এলাকায় অটোরিক্সা চালান- এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দিচ্ছি। প্রায় আড়াই বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছি। কিন্তু কয়েক মাস আগে এক যাত্রী নিয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে বিপদে পড়েছিলাম। সেখানে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে এক ট্রাফিক পুলিশ রিক্সা আটকায়। এরপর কার্ড দেখাই। উনি বলেন, এইটা শুধু বিশ্বরোডের মাথা পর্যন্ত চালানোর জন্য। পরে দেড় হাজার টাকা দিয়ে রিক্সা ছাড়াতে হয়। হাজারীবাগের আরেক রিকশাওয়ালাও জানালেন, মাসে ‘লাইন ভাড়া’ গুনতে হয় এক হাজার টাকা। হাজারীবাগ-জিগাতলা ‘রুটে’ গাড়ি চালানোর অনুমতি আছে তাদের। এলাকার বাইরে গেলে খরচ বেড়ে যায়। ওই রিক্সাচালক বলেন, সব জায়গায় তো রিক্সা চালানো যায় না। আমরা যদি জিগাতলা পার হয়ে ধানমন্ডি ঢুকি, তাইলে ট্রাফিক আটকালেই পাঁচ শ’ টাকা থেকে একহাজার টাকা নিবেই। আবার ধানমন্ডির কার্ড আলাদা। তাদের দিতে হয় মাসে দুই হাজার টাকা।
রিক্সাচালকরা জানালেন, প্রতিটি এলাকার জন্য কার্ডের রং হয় আলাদা। আবার একেক এলাকার কার্ডের চিহ্নও থাকে আলাদা আলাদা। কোন এলাকার কার্ডে থাকে কাঁঠাল, তো কোন এলাকার কার্ডে ইলিশ মাছের দেখা মিলবে। একইভাবে নানা ধরনের ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিভিন্ন এলাকার চিহ্ন হিসেবে।
‘লাইন ভাড়া’র টাকা কার কাছে জমা দেন- জানতে চাইলে রিক্সাচালকরা বলেন, আমরা যতটুকু জানি এ টাকা পুলিশের কাছে যায়। তবে সরাসরি পুলিশ এ টাকা তোলে না। আমরা জমা দেই লাইনম্যানের কাছে। কিন্তু টাকা না দিলে পুলিশ রিক্সা রেকার করে। কার্ড যাদের আছে, তাদের আটকাবে না।
হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও উত্তরার দক্ষিণখান এলাকার তিন লাইনম্যানের সঙ্গে কথা হয়। তারা কেউই নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তারা জানান, অটোরিক্সা থেকে একসময় স্থানীয় নেতারা মাসোহারা তুলতেন। গত কয়েক বছর ধরে এই টাকার সিংহভাগ দিতে হয় স্থানীয় থানাকে। সেখানকার কর্মকর্তাদের মধ্যে এই টাকা ভাগ হয়। আর বাকি একটি অংশ যায় স্থানীয় নেতাদের পকেটে। আর পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারাও পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত বলে দাবি তাদের। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তাই তাদের সাফ কথা- ‘পত্রিকায় খবর ছাপলেও কিছুই হবে না।’ রিক্সা নিয়ে কাজ করে- এমন সংগঠনগুলোর তথ্য, রাজধানীতে ন্যূনতম দুই লাখ ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চলছে। কোন কোন সংগঠন বলছে, এই সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। চালক-মালিকদের দেয়া তথ্য বলছে, এসব রিক্সাকে প্রতি মাসে এক থেকে দুই হাজার টাকা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম দুই লাখ রিক্সার প্রতিটির জন্য মাসে একহাজার টাকা চাঁদা ধরলেও সেখান থেকে আসে ২০ কোটি টাকা। তিন লাখ রিক্সা ধরলেই সেই অঙ্ক ৩০ কোটি! সে হিসাবে বছরে আড়াই শ’ থেকে সাড়ে তিন শ’ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে এসব অটোরিক্সাকে ঘিরে। রিক্সাচালকদের মতো একটি প্রান্তিক পেশাজীবীর পকেট থেকেই এই বিপুল অঙ্কের টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। অথচ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে না একটি টাকাও। বরং এসব অটোরিক্সা পরিবেশের জন্য ভাল। বিশ্বজুড়েই পরিবেশ রক্ষায় বিদ্যুতচালিত গাড়িকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বিপরীত চিত্র। এখানে বিদ্যুতচালিত গাড়িকে নিরুৎসাহিত করা হয়। অথচ আগামী প্রজন্মের গাড়িই হবে বিদ্যুতচালিত। রাস্তার পাশে পেট্রোল পাম্পের পরিবর্তে থাকবে গাড়ি চার্জের জন্য বিদ্যুত পাম্প।
রাজধানীর সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চলাচলের বিরোধী বাংলাদেশ রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী। তিনি বলেন, গত প্রায় এক দশকে রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিক্সার দৌরাত্ম্য বেড়েছে। কিন্তু এসব রিক্সার ব্যাটারি তিন থেকে ছয় মাস পর অকেজো হয়ে যায়। সেই অকেজো ব্যাটারি নিঃশেষ করার কোন উপায় দেশে নেই। ফলে ব্যাটারির বর্জ্যে পরিবেশ দূষিত হয়। আবার এ রিক্সার ব্যাটারি চার্জ করতে গিয়ে বিদ্যুত খরচ হয়। তাই আমরা চাই না, এসব অটোরিক্সা চলুক। আমরা দুই সিটি কর্পোরেশনকে একাধিকবার লিখিতভাবে বলেছি এসব রিক্সা উচ্ছেদ করার জন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিক লীগের শীর্ষ এক নেতার অভিমত, পুলিশ চাইলে একদিনের মধ্যেই অটোরিক্সা বন্ধ করে দেয়া সম্ভব। সেটি বন্ধ না হওয়ার পেছনের কারণটা ‘ওপেন সিক্রেট’ বলে মন্তব্য তার। তিনি বলেন, অটোরিক্সা থেকে নামধারী কিছু কথিত নেতারা টাকা তোলেন এটা সত্য। তবে এসব নেতারা প্রকৃত দলীয় নেতা নয়। তারা যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে, সে সরকার দলীয় নেতাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে এসব করে। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই থানা প্রশাসন দায়ী। কারণ থানা প্রশাসন যদি আজকেই চায়, আজকেই অটোরিক্সা বন্ধ করা সম্ভব। তাহলে তারা কেন বন্ধ করছে না? আমার মনে হয়, এটার কারণ সবাই জানে।
বুয়েটের গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামছুল হক ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, দুই লাখ হোক কিংবা তিন লাখ সংখ্যাটা কোন বিষয় না। বিষয়টা হলো এতসংখ্যক অবৈধ রিক্সা দেদার চলছে। অথচ যারা এটি নিয়ন্ত্রণ করবে, তারা এ বিষয়ে কিছুই বলছে না। উল্টো সাধারণ মানুষেরা প্রতিবাদ করতে গেলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। দুঃখের বিষয় হলো- যাদেরকে এসব অনিয়ম নির্মূলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তাদের দ্বারাই অনিয়ম ঘটছে। এখন প্রতিবাদী জনগণের ঐক্য কিংবা অনিয়মকারীদের ভেতরে আল্লাহর রহমত বর্ষণ ছাড়া এই সমস্যা সমাধানের কোন আশা নেই।
একই কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ গবেষক তৌহিদুল হক। তিনি বলেন, অপরাধীর সঙ্গে এক হয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারীরা যখন একই অপরাধে জড়িয়ে যায়, তখন এটাকে বলা হয় মিউচুয়াল ক্রাইম। এখানে যারা আমার সড়কের শৃঙ্খলার জায়গাটি ফিরিয়ে আনবে, মানুষকে সড়কে বিধিনিষেধ অনুযায়ী সড়কে চলার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে, কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনী ব্যবস্থা নেবে ও মানুষকে এবং বাহনকে মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত করবে- তারাই এখন মিউচুয়াল ক্রাইমে জড়িত। ফলে আমাদের আশার জায়গাটা খুবই সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। এখন নাগরিকরা অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। কিন্তু তারা তো আইন পরিবর্তন করতে পারবে না। ফলে আইন প্রয়োগ যারা করবেন, তাদের ভূমিকাটাই জোরালো হতে হবে। সেটা করানোর জন্য প্রয়োজনে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
মাসে মাসে ‘লাইন ভাড়া’র নামে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ রিক্সাচালকেররাও। ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা যদি অবৈধ এবং ক্ষতিকর হয়, তাহলে সরকার উদ্যোগ নিয়ে এই রিক্সার চলাচল একেবারেই বন্ধ করে দিক- এমনটিও বলছেন তাদের কেউ কেউ।
অটোরিক্সার ‘লাইন ভাড়া’ থানায় থানায় জমা হওয়ার বিষয়ে জানতে পুলিশের উর্ধতন একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। সরকারের নজরে না এলে কোটি টাকার চাঁদাবাজির এ প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না।’ এই চাঁদাবাজির জন্য কিছু ‘অসাধু’ কর্মকর্তাকে দায়ী করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভাবতে কষ্ট হয় যে দুয়েকজন অসৎ কর্মকর্তার কারণে এই চাঁদাবাজির দুর্নাম পুরো বাহিনীকেই নিতে হচ্ছে।’
তিনি নিজেও অটোরিক্সা নিয়ে একটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন। বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারের একটি ছেলে বিএসসি পড়ছে। তাকে যতটা সম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকি। ছেলেটি পড়ালেখার পাশাপাশি মাঝে মাঝে মোহাম্মদপুর এলাকায় অটোরিক্সা চালাত। আমি বলে দেয়ার কারণে তার কাছ থেকে মাসিক চাঁদা নিত না কেউ। একদিন যাত্রী নিয়ে ওই ছেলেটি মোহাম্মদপুরের বাইরে গিয়ে আটকাপড়ে। ওই এলাকার ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যকে তিন শ’ টাকা দিয়ে তবেই রিক্সা ছাড়িয়ে এনেছিল। এই হচ্ছে পরিস্থিতি।’ অটোরিক্সা বন্ধ হোক বা না হোক, এই চাঁদাবাজি বন্ধ করাটা জরুরী বলে মনে করছেন তিনি।
