ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে ৫৭ ভাগ কোম্পানির দর কমেছে

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ৯ অক্টোবর ২০২০

শেয়ারবাজারে ৫৭ ভাগ কোম্পানির দর কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হলো। প্রধান শেয়ারবাজারে দিনটিতে প্রায় ৫৭ ভাগ কোম্পানির দর কমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবারে সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। সেখানে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রথম ৮ মিনিটেই ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা সূচকের উর্ধমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। কিন্তু নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেকের শেয়ারের ক্রেতা কমতে থাকে। একইভাবে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের শেয়ারগুলোর ক্রেতার সংখ্যা কমতে থাকে। এভাবেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। লেনদেনের শেষ দিকে পতনের তীব্রতা বাড়ে। ফলে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। কিন্তু শেষের ১৫ মিনিটে ফের ক্রেতা বাড়তে থাকে। তবুও তা সূচকের পতন ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচকের এই পতনের দিনে ডিএসইতে অংশ নেয়া ১০৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২০২টি এবং ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৭৯৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৮৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৯৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। লেনদেন কমলেও খাতওয়ারি ইন্স্যুরেন্সের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল। তবে আর্থিক খাতের সব কোম্পানির লেনদেন ও দর কমেছে। ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে নর্দার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ২২ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কন্ট্রিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ২১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স। অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮৩ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৭৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৯টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১৫৬টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×