ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধর্ষণকারীদের প্রত্যাখ্যান করুন ॥ ইন্দিরা

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ৮ অক্টোবর ২০২০

ধর্ষণকারীদের প্রত্যাখ্যান করুন ॥ ইন্দিরা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, ধর্ষণকারীদের ফাঁসি হওয়া উচিত। বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কী হওয়া উচিত এমন প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি ধর্ষণকারী প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার ফাঁসি হওয়া উচিত। ধর্ষণের প্রতিবাদে যারা রাস্তায় নেমেছে আমি তাদের স্বাগত জানাই। ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য তারা আন্দোলন করছে। কিন্তু এই আন্দোলনের পেছনে যেন অন্য কোন উদ্দেশ্য না থাকে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ দেশের ৫০ শতাংশ নারী। আমি নারীদের উদ্দেশে বলব ধর্ষক, ধর্ষকই। তার কোন সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক পরিচয় নেই। যে ধর্ষক সে নিশ্চয়ই কোন না কোন মায়ের সন্তান। আমি সেই মাকে আহ্বান জানাব, আপনি এই ধর্ষক পুত্রকে বর্জন করুন। নিশ্চয়ই ধর্ষণকারী কারও না কারও পিতা, আমি সন্তানদের বলব, যাতে তারা ধর্ষণকারী পিতাকে বর্জন করে। ধর্ষণকারী নিশ্চয়ই আপনাদের আমাদের কারও না কারও ভাই, সেই ধর্ষণকারী ভাইকে যাতে তারা বর্জন করেন। আমি সমাজের প্রতি আহ্বান জানাব, সমাজ যাতে এই ধর্ষণকারীদের প্রত্যাখ্যান করেন। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমি আহ্বান জানাব ধর্ষণকারীদের যাতে তারা বহিষ্কার করে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ একটি অসুস্থ মানসিকতা কাজ করে। সেজন্য দরকার সচেতনতা। এখানে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এভাবেই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই নির্যাতন বন্ধ করতে পারব। সবচেয়ে বড় দায়িত্ব মা-বাবার। সন্তানেরা কোথায় যায়, কি করে, কার সঙ্গে চলাফেরা করে সেটা তাদের জানতে হবে। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও জানান, যখনই কোন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে আমরা সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি, এসপি এবং ওসিকে ফোন করে আসামিদের গ্রেফতার নিশ্চিত করছি। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভিকটিমের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আইনগত সহায়তাসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ইউনিসেফ কর্তৃক ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ‘এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ : আ প্রোফাইল অব প্রোগ্রেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম-সচিব মোঃ মুহিবুজ্জামান ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন। ইউনিসেফের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা তার বক্তব্যে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, নারী ও শিশুর উন্নয়ন ও সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। ইউনিসেফ কর্তৃক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউনিসেফের সিনিয়র এ্যাডভাইজার ক্লডিয়া কাপ্পা। বাংলাদেশ থেকে যোগদান করেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ মিজ ভেরা মেনডোস্কা ওআইসি। ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ ভেরা মেনডোস্কা বলেন, বাল্যবিয়ে রোধে বাংলাদেশ যথেষ্ট উন্নতি করেছে। বাল্যবিয়ে শুধু মেয়ে ও তার পরিবারের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটা দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার জন্যও ক্ষতিকর।
×