ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভার্চুয়াল আলোচনায় সালমান রহমান

প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে করোনা থেকে রক্ষা পেয়েছি

প্রকাশিত: ২২:৫১, ৮ অক্টোবর ২০২০

প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে করোনা থেকে রক্ষা পেয়েছি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে করোনার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছি। নতুন করে বিনিয়োগ সমস্যা সমাধানে সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন হচ্ছে। এখন লিড অফিসারদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন হতে হবে। সালমান এফ রহমান ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, অভিযোগ করে লাভ নেই, এখন সবাই মিলে সমাধান করতে হবে। আমরা বিনিয়োগের সব সমস্যা চিহ্নিত করেছি। এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। বুধবার বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের পরিচালক তানজীম চৌধুরী। সেমিনার সঞ্চালনা করেন বিএপিএলসির ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াদ চৌধুরী। সালমান এফ রহমান আরও বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সারাক্ষণ নানা সমস্যার কথা নিয়ে অভিযোগ করেন। আমরা সব ব্যবসায়ীর সমস্যা চিহ্নিত করেছি। এখন আর বড় সমস্যা যেমন রাস্তা-ঘাট, গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা নেই। এগুলো দ্রুত সমাধান হবে। এখন আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। রাজস্ব আয় বাড়াতে করের আওতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, অনলাইন এবং নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে না। এটি ব্যবহার করতে হবে। করের আওতা আরও বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, নন-লিস্টেড কোম্পানির চেয়ে লিস্টেড কোম্পানিগুলোর ভাল, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা রয়েছে। বিএপিএলসি তাদের সদস্যদের সঙ্গে বসে সমস্যাগুলো জেনে এ্যাডভোকেসি করতে পারে। কমিশনের সঙ্গে কাজ করতে পারে। ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ হলে বর্তমান সুযোগ-সুবিধা থাকবে না। তার জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ট্রেড বডিগুলোর সুযোগ অনেক বেশি। অনুকূল পরিবেশ থাকলে ব্যবসায়ীরা সব পারেন সাহস দিয়ে ব্যবসায়ীদের বলেন, সমস্যা-সমাধানই আমাদের গন্তব্য নয়। করোনা আমাদের দেখিয়েছে যে, প্রতিনিয়তই ব্যবসার নতুন জগৎ তৈরি হচ্ছে। আমাদের সেইভাবে দক্ষ হতে হবে। আমরা যদি বিশ্বে প্রতিযোগিতা করে ব্যবসা করতে পারি, তাহলে কেন ডমেস্টিক মার্কেটে বিনিয়োগ বাড়াব না। তার জন্য কেন প্রণোদনা চাইব। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে আধুনিক ও উন্নয়নমুখী পুঁজিবাজার গঠন করা হচ্ছে। বড় বড় প্রকল্পের উদ্যোক্তারা যাতে এখান থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এফডিআর বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বন্ড মার্কেট চালু ও ডেরিভেটিভ প্রডাক্ট চালুর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের প্রয়োজন বিনিয়োগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অভাব রয়েছে। এটি দ্রুত পূরণ করার কাজ চলছে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এসেছে, এই করোনা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের বাঁচিয়েছে। কি করতে হবে তাও বলে দিয়েছে। কিন্তু নতুন করে আসা মহামারীর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক সুযোগ-সুবিধা কমে যাবে। সুতরাং আমাদের পণ্যে নতুনত্ব আনতে হবে। জিএসপিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা দেখতে হবে। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, কোভিড-১৯ এর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যবসায়ীদের আগামী ২ বছর অগ্রিম কর না দেয়ার সুযোগ দিতে আহ্বান জানাচ্ছি। করোনার চলমান অবস্থা থেকে উত্তরণে কর্পোরেট কর হার কমাতে হবে। তিনি বলেন, করোনার পর থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য এফবিসিসিআই পলিসিগত সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের জন্য খাতওয়ারি স্কিম সুবিধার জন্য কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
×