ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগ নিজ নিজ এলাকাকে ধর্ষণমুক্ত করুক

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ৮ অক্টোবর ২০২০

ছাত্রলীগ নিজ নিজ এলাকাকে ধর্ষণমুক্ত করুক

জাতি দায়িত্বটা সরকারের অঙ্গসংগঠন ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগকে দিতে চায়। কারণটা ভিন্ন। ছাত্রলীগের দীর্ঘ গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা এবং জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে স্বাধীনতা অর্জনে ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকে আরও একবার পুনরুজ্জীবীত করে তাদের আবার একবার মুক্তিযুদ্ধের মতো জাতিকে সুস্থ সামাজিক জীবন ফিরিয়ে দিতে নতুন এক আন্দোলন-সংগ্রামে দেখতে চায় জাতি। জাতি এই করোনাকালের দুঃসময়ে দেখেছে বন্যার পানি ধানক্ষেত ডুবিয়ে দেয়ার আগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হাওড় অঞ্চলসহ অনেক স্থানে, নিজ গ্রামে কৃষকের ধান কেটে গোলায় তুলে দিয়েছে। এ কাজটি মুক্তিযুদ্ধপন্থী রাজনীতি করা ছাত্র-তরুণদের কাছে জাতি এবং প্রধানমন্ত্রীসহ সবার প্রত্যাশা ও নির্দেশ ছিল। ছাত্রলীগ বিগত বছরগুলোতে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণসহ নানা দুর্বৃত্তায়িত কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হয়েছে। এই কলঙ্ক থেকে তাদের নিজেদের মুক্ত করতে হবে, যার বিকল্প নেই। এটি সম্ভব হবে-প্রধানত উক্ত সব দুর্বৃত্তায়িত অপকর্ম করতে পারে এমন তরুণদের দলে স্থান না দেয়ার মাধ্যমে-যা আগে অর্থের বিনিময়ে অথবা পেশীশক্তি ব্যবহারের কারণে এসব অপরাধ সংঘটনে পারঙ্গম তরুণদের দলে প্রবেশ করাকে সহজ করেছিল। কিন্তু সদস্য সংগ্রহের সময় বিবেচনা করা দরকার দুর্বৃত্ত, চাঁদাবাজ, শিক্ষাজীবন বর্জন, মাদকে আসক্ত সর্বোপরি, এলাকার স্কুল- কলেজের বালিকা, কিশোরীদের উত্ত্যক্তকারী, কিশোরদের নানা মন্দ কাজে যুক্ত করে গ্যাং তৈরিতে যুক্ত কিনা-এসব বৈশিষ্ট্য যেসব তরুণের মধ্যে রয়েছে যে কোন এলাকাবাসী সাধারণত তাদের সম্পর্কে অবগত থাকে এবং এদের সম্পর্কে তথ্য জানা খুবই সহজ। একটি বিষয় সবাই জানে যে, সরকারী দল হলে এতে ভিন্ন দলের ভাল-মন্দ, সব রকম সদস্য প্রবেশ করতে চেষ্টা করে থাকে, এদের প্রশ্ন করা যায়- এতদিন ওরা অন্য দল করেছে কি কি কারণে। সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যাবে না। কিন্তু এরা যে আদর্শহীন, সুবিধাবাদের রাজনীতি করে থাকে, সেটি তো প্রমাণ হয়। সুতরাং তাদের বাদ দেয়া মঙ্গলজনক। তা ছাড়া ’৭১-এ স্বদেশের স্বাধীনতাবিরোধী দলের রাজনীতি করা কোন সদস্যকে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর দলে অন্তর্ভুক্ত করা তো খাল কেটে কুমির আনার নামান্তর হবে। তারা তো এলাকাতেই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত থাকে। তাদের না চেনা সম্ভব নয়। সবার মনে একটা প্রশ্ন-যে কোন গ্রামের বা শহরের মহল্লার দুর্বৃত্ত দলটির নাম, তাদের দলনেতা ও সদস্যরা সবারই চেনা থাকে। সুতরাং তাদের দলভুক্ত করার কোন কারণ নেই। সাভারের হিন্দু কিশোরীটির উত্ত্যক্তকারী ও তার বাবা, মা, পরিবার, তার সহযোগীদের পরিচয় ছিল সবার জানা। তাহলে, পাড়ার গুরুজন, প্রশাসক, পুলিশ কর্মকর্তা তাদের আগেই অর্থাৎ, যখন নীলাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করা হতো, তখনই গ্রেফতার করা হলো না কেন? এ প্রশ্ন বারে বারে উঠছেই এবং উঠবে। একই কথা উঠেছে সিলেটের এমসি কলেজ হোস্টেলে ছাত্রলীগ নামধারী গুণ্ডা, সন্ত্রাসী, মাদকাসক্তদের কাছে কলেজ কর্তৃপক্ষ, প্রশাসক ও পুলিশের নতজানু হয়ে থাকার কারণে অত্যন্ত গর্হিত ‘গণ ধর্ষণ’-এর ঘটনাটি ঘটেছে। রাজশাহীর গির্জায় ধর্মরক্ষকরা আগেও বার বার একই ব্যক্তি দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও ওই ধর্ষককে রক্ষা করার ফলে সর্বশেষ কিশোরীটিও ধর্ষণের শিকার হলো! প্রথমত, স্থানীয় সরকার বা যে কোন দলের সংসদ সদস্য এবং দলীয় সভাপতি-সচিবরা চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের তালিকা করে এলাকার চাঁদাবাজ, খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, ডাকাতি ইত্যাদি অপরাধীদের গ্রেফতার করা, সামাজিকভাবে তাদের বয়কট করা, জরিমানা করা, তাদের বাবা-মাকেও বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তাদের সন্তানরা অন্যের জন্য হুমকি হবে, অন্যের কন্যার সম্ভ্রম হরণ করবে, অথচ তারা ঘটনার শিকার হয়ে ভয়ে থাকবেন, আর ধর্ষকের বাবা-মা হয়ে নিরাপদে থাকবে তা হতে পারে না। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। তা ছাড়া অনেক পিতার অনেক দুর্নীতি, অন্যের সম্পদ জবর দখল, ধর্ষণ অপরাধও পুত্রদের মন্দ পথে ঠেলে দিতে পারে, যা অনেক ক্ষেত্রে ঘটছে বলে দেখতে পাচ্ছি। তবে, কোন সংসদ সদস্য নিজেই যদি অন্যের জমি, বসতবাড়ি, বাগান-ক্ষেত দখলকারী হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দখলের কাজে ব্যবহার করে তা হলে সেই সংসদ সদস্যকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দলে আর যাই হোক অন্যের ভূমি-বসতবাড়ি দখলকারী, ধর্ষক, ব্যাংকের অর্থ লুটেরা, চালের অসৎ-অসাধু ব্যবসায়ী, হাসপাতালে গলাকাটা দাম নেয়া লোভী ডাক্তার-মালিক সংসদ সদস্য থাকতে পারে না। এটি আমরা জনগণ যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী, বঙ্গবন্ধুর সূচিত সব রকমের দুর্নীতিবাজ পেশাজীবীদের কবল থেকে দেশের কৃষক-শ্রমিককে রক্ষার প্রক্রিয়ায় আমাদের ফিরে যেতেই হবে। গণতন্ত্র এত বেশি মাত্রায় দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে আপোস করে যে, দরিদ্র, মধ্যবিত্তকে তার প্রাপ্য সেবা দিতে পারে না। এই গণতন্ত্রের সঙ্গে তখন জিয়া-এরশাদের দুর্বৃত্তায়িত স্বৈরতন্ত্রের পার্থক্য হ্রাস পায়- সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনভাবেই চালু থাকতে দিতে পারেন না। এখানে ছাত্রলীগ নেতাদের আহ্বান করব-সময় এসেছে এখন দুর্বৃত্তায়িত সমাজের বড় বড় দুর্বৃত্তদের মুখোশ খুলে দেয়ার এবং একই সঙ্গে নিজেদের দলকে দুর্বৃত্ত, ধর্ষকমুক্ত করে নিজ এলাকাকে ধর্ষক-দুর্বৃত্তমুক্ত করার সংগ্রামের সূচনা করার। পাশাপাশি ছাত্রলীগকে প্রকৃত ছাত্রদের দল হয়ে উঠতে হবে, যে দলে কোন অছাত্র থাকতে পারবে না। বেশিরভাগ ধর্ষককে দেখা যাচ্ছে হয় তারা অছাত্র, বয়স্ক, ফেসবুকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়া শ্রমিক বা বয়স্ক শিক্ষক বা অল্প শিক্ষিত ছোট ব্যবসায়ী। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করছে যারা, তারা একটি ভাল চাকরির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে-এমন ছাত্ররা কখনও ধর্ষক হয় না। নিজ এলাকার মেয়েদের নিরাপত্তা দেয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আরও একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করি। ছাত্র রাজনীতির চর্চায় অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হলো-জনসেবা। এলাকার নারী-পুরুষ-তরুণ-তরুণী-কিশোর-কিশোরী-শিশু, দরিদ্র-নিম্নবিত্তের মানুষের কাছে রাষ্ট্রের সেবা পৌঁছে দিতে সাহায্য করা এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এটি যদি করতে পারা না যায়, তাহলে ছাত্র রাজনীতিই হোক বা বড়দের জাতীয় রাজনীতিই হোক তা করার কোন প্রয়োজন নেই। তাহলে সে রাজনীতি বার বার দুর্নীতিবাজ, দখলদার, চাঁদাবাজ, দুর্বৃত্ত ও ধর্ষক প্রসব করবে। ওরা যেমন দলের জন্য, তেমনি জাতির জন্য বোঝাস্বরূপ। ওদের জন্ম রোধ করতে, ওদের বিচারের আওতায় আনার, আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থাও সরকারকে রাখতে হবে। তরুণদের সততার ওপর বিশ্বাস থেকে বলছি-এখন তরুণরা সব অপকর্মের প্রকৃত দোষীদের নাম, পরিচয় সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে। নানা রকম তথ্য-প্রমাণ, প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ, ফটো-ভিডিও, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, অপরাধীর সহযোগীদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য বের করে প্রকাশ করতে পারে। এর বাইরে, সহপাঠী তরুণরা স্থানীয় তরুণী-কিশোরী সহপাঠীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের পথে সহযাত্রী হলে খুব ভাল হয়। মেয়েদের জন্য একটা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে এভাবে স্কুল-কলেজে যাতায়াতের সময় মেয়েদের নিরাপত্ত নিশ্চিত করতে পারে তারা। স্কুল, কলেজ থেকেও এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে, সব কিছুর ওপরে সব সময় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে যারা, তাদের চিহ্নিত করে এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, প্রশাসক, পুলিশকে তাদের নাম, পরিচয়, অপরাধমূলক কাজের ঘটনাগুলো জানিয়ে দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনে সাংসদকেও বলা যেতে পারে। মূল কথা হলো-এদের ব্যাপারে উদাসীনতা একেবারেই চলবে না। বরং ধর্ষকের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ জোরালোভাবে গ্রহণ করে কাজ করতে হবে এবং ধর্ষণের শাস্তি- ফাঁসির দাবিকে আইনে পরিণত করতে হবে। সরকার, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে একটি বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে- জনগণ বিএনপির কাছে কিছুই আশা করে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের কাছে তাদের সব স্বপ্ন পূরণের আশা করে। কারণ, যে বঙ্গবন্ধু ’৭২ সালে পরিবার কর্তৃক বর্জিত বীরাঙ্গনাদের সন্তানের পিতার নাম পরিচয় দিতে না পারার বঞ্চনার কথা জানা মাত্র মুহূর্ত সময় ব্যয় না করে দ্বিধাহীন চিত্তে উত্তর দিয়েছিলেন- ‘তোমাদের পিতার নামের স্থানে লিখবে শেখ মুজিবের নাম।’ আমি যখন ভাবি-কিভাবে তিনি আমাদের ধর্ষিত বীরাঙ্গনাদের সদ্য ভূমিষ্ঠ নিরপরাধ শিশুদের জন্য বেড়ে ওঠার নিরাপদ বিতর্কহীন একটি ব্যবস্থার কথা চিন্তা এবং সে চিন্তা থেকে পশ্চিমা দেশে তাদের দত্তক গ্রহণের ব্যবস্থা করার চিন্তা করেছিলেন! স্বদেশের নানা সংস্কার-কুসংস্কারে জর্জরিত হিন্দু-মুসলিম সমাজে ওই শিশুরা নানা বাধা বিদ্বের সম্মুখীন হবে-এ কথা সেই ’৭২-এ তাঁর চিন্তায় এসেছিল! তাঁর এই দূরদৃষ্টির কথা ভেবে এখনও বিস্ময় বোধ করি। এখন প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি-ওই পনেরো জন সদ্য প্রসূত শিশুকে দত্তক গ্রহণকারী কানাডার ত্রিশ দম্পতিকে আমাদের স্বাধীনতা পদক দিন। তাঁরা বঙ্গবন্ধুকে সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশের শত শত সমস্যার মধ্যে বিশাল ও বিরল একটি মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাঁদের একটি স্বীকৃতি ও সম্মান আমরা দিয়ে নিজেরাও গর্বিত, সম্মানিত ও কৃতজ্ঞ হতে পারি। এটিই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বৈশিষ্ট্য। নানা জঞ্জাল দূরে সরিয়ে এই মানবিক আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে জনগণ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত দেখতে চায়-এটি স্মরণ রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে-বিএনপি-জামায়াত ২০০১ থেকে ২০০৬, ২০১৩-১৪তে ’৭১-এর মতো যেসব হত্যা-ধর্ষণ-লুট-অগ্নিসংযোগ, হিন্দু-ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জমি সম্পদ দখল, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, হিন্দু হত্যা-ধর্ষণ করেছিল, তা এখন ইতিহাসের একটি কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে আছে। যার সঙ্গে কোনক্রমেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তুলনা করা অন্যায় হবে। জনগণ তো বিএনপি, জামায়াত, খালেদা-তারেকের কাছে তাদের জন্য কল্যাণকর, শুভ, মঙ্গলময় কিছু আশা করে না। তারা তাদের সব না পাওয়া, সব বঞ্চনা, সব অন্যায়ের পরিপূরণ চায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কাছে। মনে পড়ছে-১৯৯৬ এর নির্বাচনের আগে কর্মসূত্রে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি হোটেলে অবস্থানকালে স্থানীয় ছাত্রলীগের সে সময়ের নেতাকর্মীরা ভিড় করেছিল। নানা কথার মধ্যে তাদের বলেছিলাম, ‘দেখ, বঙ্গবন্ধুর দল আর জিয়া-খালেদার দল কিন্তু এক নয়। বিএনপির হাজার দুর্নীতি-অনিয়ম জনগণ গ্রাহ্য করে না। কিন্তু, আওয়ামী লীগকে চলতে হবে পুলসিরাতের সরু সুতার ওপর পা ফেলে। চারদিক থেকে জনগণ তোমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ নজরদারি করবে। যে অপরাধ খালেদা করতে পারবে, সেটি কিন্তু শেখ হাসিনা ও তাঁর দল করতে পারবে না। যে অপরাধ ছাত্রদলের ক্যাডাররা করেছে, জনগণ জানে ওরা এসবই করবে। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সে সবের এক শতাংশ করলেও সমালোচনার ঝড় উঠবে। জনগণ কিছুতেই তা গ্রহণ করবে না। এখনও ছাত্রলীগকে বলব-বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যেমন জিয়ার তুলনা হয় না, তেমনি শেখ হাসিনার সঙ্গে খালেদার তুলনা করা যায় না। সজীব ওয়াজেদের সঙ্গে তারেকের তুলনা করা যায় না! কেন- সে উত্তর থেকে আদর্শ ও আদর্শহীনতার পার্থক্য উপলব্ধি করবে এবং নিজেদের জনগণের সেবক গণ্য করে সব কাজ করবে’। বর্তমান অবস্থায় এই উপদেশই আবার দেব। দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটি গঠনের কাজ চলছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা লক্ষ্য করলেন, এ কমিটিগুলোতে দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্ত এমনকি ধর্ষকের নাম পর্যন্ত আছে! তাহলে কিভাবে আওয়ামী লীগ শুদ্ধ ও জনগণের জন্য কাক্সিক্ষত দলে পরিণত হবে? শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী ওই কমিটিগুলো প্রত্যাখ্যান করে দলের ত্যাগী নেতাদের দিয়ে পূরণ করতে বলেছেন। কেন তাঁকেই বার বার এ কাজগুলো করতে হবে? যারা ওই কমিটিগুলোতে ওই অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নাম দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে দলের দায়িত্বশীল পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে শাস্তি দিতে হবে। লেখক : শিক্ষাবিদ
×