ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

তদন্ত শুরু

কেশবপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভুয়া কার্ড দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ২১:১৯, ৭ অক্টোবর ২০২০

কেশবপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভুয়া কার্ড দেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ৬ অক্টোবর ॥ কেশবপুরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দীর্ঘদিন টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের ৭নং রাজনগর বাঁকাবর্শি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম তার এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির নামে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে অর্থের বিনিময়ে বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী কার্ড করে সরকারী টাকা উত্তোলনের সুযোগ করে দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করা হলে তিনি উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজনগর বাঁকাবর্শি গ্রামের সবুজ নামের এক ব্যক্তি ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুয়া বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার অভিযোগ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার মৃত সবর সরদারের পুত্র আমজেদ সরদার নিজে প্রতিবন্ধী না হয়েও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে এক বছর যাবত সরকারী টাকা উত্তোলন করছেন। তারই আপন বোন রাশিদা খাতুন বিবাহ না করেই বিধবা ভাতার কার্ড করে টাকা উত্তোলন করে আসছেন। যার বই নং ০৭/৫১। এদের প্রতিবেশী আফসার সরদারের স্ত্রী আবিরন বিবির জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ১৯৬৯ সালের ৬ জুন। অথচ তার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড তৈরি করে ২০১১ সাল হতে ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। হিসেব মতে বর্তমানে তার বয়স ৫০ বছরও হইনি। একই এলাকার হযরত সরদারের স্ত্রী মকরজান বেগম বিধবা ভাতার কার্ড করেছেন। তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাংবাদিক পরিচয় টের পেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। এছাড়া হযরত সরদারের পুত্র মোঃ শাহীন আলম একজন সিঙ্গাপুর প্রবাসী। তার নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে নমিনি হিসেবে তার মা দীর্ঘদিন টাকা উত্তোলন করছেন। এ ব্যাপারে তার মা সাংবাদিকদের বলেন, ছেলে জন্মপ্রতিবন্ধী ছিল। অপারেশনের পরে পা ভাল হয়ে গেলে সে সিঙ্গাপুর চলে যায়। আমি নমিনি হিসেবে তার প্রতিবন্ধী কার্ডের টাকা উত্তোলন করি। এলাকার আব্দুল মান্নান জানান, আমাদের এলাকার রেজাউল মেম্বর বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে টাকা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভাতার কার্ড তৈরি করে দেয়। অথচ প্রকৃত যারা কার্ড পাওয়ার যোগ্য তাদের কার্ড হচ্ছে না। ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম বলেন, বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী কার্ড করে কারোর নিকট হতে টাকা গ্রহণের অভিযোগটি মিথ্যা। বয়স্কদের কার্ড করার সময় বয়েসের ক্ষেত্রে আগে ৪২ বছরে কার্ড করা যেত এখন সেটা ৬০-৬২ করেছে। আপনারা সমাজসেবা অফিসের সঙ্গে কথা বলেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ পেয়ে তদন্ত করছি। কিছু কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে কার্ড বাতিলপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, এ ধরনের অনেক অভিযোগ প্রতিদিন আসছে। এ বিষয়টা আমার ঠিক মনে নেই। খোঁজ নিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
×