ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে ১৪ কোটি টাকার মিটার পানিতে ॥ বিদ্যুত গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশিত: ২১:২৬, ৬ অক্টোবর ২০২০

যশোরে ১৪ কোটি টাকার মিটার পানিতে ॥ বিদ্যুত গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ৯০ হাজার বিদ্যুত গ্রাহকের প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকার মিটার পানিতে যাচ্ছে। প্রিপেইড মিটার সংযোগ দেয়ার মাধ্যমে এসব মিটার বাদ দেয়া হচ্ছে। ওয়েস্টার্ন জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) যশোর ১ ও ২ ডিভিশনের কর্ম এলাকা, যশোর শহর, ঝুমঝুমপুর বিসিক, উপশহর, রাজারহাট মুড়লী, বিমানবন্দর, বিমানবাহিনী, সেনানিবাস ও সুজলপুর সংশ্লিষ্ট এলাকা। এখানে বিদ্যুতের গ্রাহক প্রায় ৯০ হাজার। তাদের পুরনো মিটার বাদ দিয়ে প্রিপেইড মিটার সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৪৫ হাজার গ্রাহককে এ সংযোগ দেয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে শুধু ১১ হাজার ভোল্টেজ ক্ষমতাসম্পন্ন কিছু মিটার ছাড়া সকল গ্রাহকের প্রিপেইড মিটার সংযোজিত হবে। সূত্রমতে পূর্বে বিদ্যুত সংযোগ নেয়ার জন্য গ্রাহককে মিটার কিনতে হতো। প্রতিটি মিটারের দাম ছিল ১ হাজার ছয়শত টাকা। এছাড়া আবেদন, সংযোগ, সার্ভিস তারসহ অন্যান্য খরচও ছিল। প্রিপেইড মিটারে সংযোগের সময় পূর্বের মিটার বাদ যাচ্ছে। যা ফেলে দেয়া ছাড়া কোন কাজে আসছে না। যশোরে ওয়েস্টার্ন জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ১ ও ২ এর ৯০ হাজার গ্রাহককে শুধু মিটার বাবদ গুণতে হয়েছে ১ হাজার ছয় শ’ টাকা করে। সর্বমোট ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রিপেইড মিটার দেয়ার পর এ মিটার গ্রাহককে ফেরত দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ এ খাতে ব্যয় করা তাদের পুরো টাকাটাই পানিতে চলে যাচ্ছে। অবশ্য বিদ্যুত বিভাগ বলছে, প্রিপেইড মিটারের কোন দাম নেয়া হচ্ছে না প্রতি মাসে মাত্র ৪০ টাকা করে ভাড়া নেয়া হবে। একজন গ্রাহককে একটাকা ১০ বছর এই ভাড়া গুনতে হবে। যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮শ’ টাকা। অর্থাৎ মিটার বাবদ একজন গ্রাহককে দুবার টাকা দিতে হচ্ছে। যার মোট মূল্য দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪ শ’ টাকা। এ হিসেবে ৯০ হাজার গ্রাহককে গুণতে হচ্ছে ৫৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এরমধ্যে আগের মিটারের ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকাই পানিতে যাচ্ছে। ওজোপাডিকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল আলম বলেন, বাদ দেয়া মিটারের সর্বশেষ বাজার দর ১২/১৩শ’ টাকা। অবশ্য অতীতে বেশি ছিল। এ মিটার তেমন কোন কাজে আসবে না বলেও তিনি জানান।
×