ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গাছে বেঁধে রং মিস্ত্রিকে নির্যাতন ॥ আটক চার

প্রকাশিত: ২১:১৩, ৬ অক্টোবর ২০২০

গাছে বেঁধে রং মিস্ত্রিকে নির্যাতন ॥ আটক চার

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ৫ অক্টোবর ॥ জেলার পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের ডাকুয়াপাড়া গ্রামে মোস্তাফা আলী (৩৬) নামের এক রং মিস্ত্রিকে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ হামিদুল ইসলাম, তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম, আব্দুল খালেক ও ফাতেমা বেগমকে আটক করে। সোমবার নির্যাতনের শিকার মোস্তফার সন্ধানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছে। জানা গেছে, উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের সর্দারপাড়া প্রাণকৃষ্ণ গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মোস্তফা আলী। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রি। প্রায় ৬ মাস আগে তার বড় ছেলে মোয়াজ আলী (১৩) অসুস্থ হলে পার্শ্ববর্তী উপজেলার কালীগঞ্জে কবিরাজ দিয়ে ছেলের চিকিৎসা করায়। কবিরাজের চিকিৎসায় ছেলে সুস্থ হয়েছে বলে দাবি করে। তার প্রতিবেশী হামিদুল ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগমের দাম্পত্যকলহের কারণে সাংসারিক ঝামেলা সৃষ্টি হয়। প্রতিবেশী রং মিস্ত্রি মোস্তফা ওই কবিরাজের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেয়। ওই দম্পতি কবিরাজের কাছে সংসারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তদবির করে। এতে কবিরাজ ১২ হাজার টাকা নেয় কিন্তু ওই দম্পতি কোন ফল পায়নি। তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে দাবি করে। তারা রং মিস্ত্রি মোস্তফা আলীকে কবিরাজের দালাল হিসেবে দোষারোপ করে আসছিল। সেই সঙ্গে কবিরাজকে দেয়া ১২ হাজার টাকা ফেরত দিতে চাপ দিয়ে আসছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রং মিস্ত্রি মোস্তফা তার কাজের রং কিনতে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে জগতবেড় ইউনিয়নের ডাকুয়াপাড়া গ্রামে পৌঁছালে প্রতিবেশী হামিদুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগমসহ পরিবারের অন্য স্বজনরা মিলে রং মিস্ত্রি মোস্তফা আলীকে আটক করে। তার কাছ হতে ১২ হাজার টাকা আদায় করতে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। এ সময় পথচারিরা বিষয়টি ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। ভিডিওটি ভাইরাল হলে পুলিশ রবিবার চারজনকে আটক করে।
×