ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুবক আটক

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত: ০০:২৯, ৫ অক্টোবর ২০২০

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ৪ অক্টোবর ॥ বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নিজ ঘরে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছে স্থানীয় একদল বখাটে যুবক। এখানেই শেষ নয়, ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র অবস্থায় বেধড়ক মারধর করে তার ভিডিও চিত্র ধারণ করে। রবিবার দুপুরের দিকে ঘটনার ৩২ দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এতে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। সন্ধ্যায় সোয়া সাতটায় নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনায় জড়িত আবদুর রহিম নামের এক যুবককে বিকেলে আটক করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে আইনী সহযোগিতা দিতে জেলা পুলিশের পাঁচটি ইউনিট মাঠে কাজ করছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখলে পুরো ঘটনা থেকে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে। বর্তমানে নির্যাতিতা ওই পরিবারের বসত ঘরে তালা ঝুলছে, ভুক্তভোগী পরিবার নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করে। আটককৃত আবদুর রহিম (২৭) একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের হাড়িধন বাড়ির বাসিন্দা। স্থানীয়রা বলছে, গত মাসের ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ে গণধর্ষিতার পরিবার এ নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে। তাই ঘটনার ৩২ দিন পার হলেও ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি। এদিকে ৪ অক্টোবর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধিক্কার জানিয়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা জানান, আমি নিরীহ লোক। সন্ত্রাসীদের ভয়ে কোন কথা বলার সাহস পাইনি। আমি শুধু আল্লাহর কাছে বিচার চাই।
×