সংসদ রিপোর্টার ॥ পাঁচ বছর আগে মিসর থেকে ভাড়ায় আনা দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজের পেছনে বাংলাদেশ বিমানের নিট ক্ষতি হয়েছে ১১শ’ কোটি টাকা। লিজে আনা ওই উড়োজাহাজ দুটি চালিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং পরিচালনায় খরচ হয়েছে তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুটি উড়োজাহাজ পরিচালনায় সরকারের নিট ক্ষতি ১১ শ’ কোটি টাকা। তবে সেই দায়-দেনা থেকে মার্চ মাস হতে বিমান মুক্ত হতে পেরেছে। রবিবার বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়। গতমাসে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বৈঠকে কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক ও সৈয়দা রুবিনা আক্তার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে দুটি উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর লিজ নেয় বিমান। এর একটি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ২০১৪ সালের মার্চে এবং অন্যটি একই বছরের মে মাসে। এক বছরের কম সময় অর্থাৎ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে আরেকটি ইঞ্জিন ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়া করা হয়। দেড় বছরের মাথায় বাকি ইঞ্জিনটিও নষ্ট হয়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আরেকটি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনা হয়। গত ডিসেম্বরে সেটাও নষ্ট হয়ে যায়। পরে ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোন সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। সে কারণে লিজ নেয়া প্রতিষ্ঠান ও মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান উভয়কেই অর্থ দিতে হয় বিমানকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: