ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আত্রাই নদীর বাঁধে ধস

যমুনা ও বাঙালী তীরের মানুষ অকাল বন্যায় হিমশিম

প্রকাশিত: ২২:২৯, ৫ অক্টোবর ২০২০

যমুনা ও বাঙালী তীরের মানুষ অকাল বন্যায় হিমশিম

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বগুড়ায় যমুনা ও বাঙালী তীরের গ্রাম এবং চরগ্রামে বন্যার ধাক্কা সামলাতেই পারছে না মানুষ। প্রথম দফার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পর কৃষক আমন আবাদে কেবলই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দ্বিতীয় দফার বন্যায় সবই বরবাদ হয়ে গেল। এদিকে নওগাঁর ধামইরহাটে আত্রাই নদীর বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। প্রায় একশ’ মিটার জায়গা ধসে যাওয়ায় যে কোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। বগুড়ায় এই সময়ে আশ্বিন মাসের শেষের বেলায় এই এলাকার মানুষ নিত্যদিন এত বৃষ্টি আগে কখনও দেখেনি। সেই সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, বাঙালী ও নাগর নদীর পানি অসময়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলার নদীপাড়ের ও চরগ্রামের মানুষের ভয় চারদিকে। চরগ্রামে ফের পানি বেড়ে গ্রামের লোকজন আবার আশ্রয় নিচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। কেউ নৌকায় ঘর গেরস্তালি তুলে ফের ছুটেছে শুকনো ভূমির দিকে। কৃষকের ভাবনা তো আরও বেশি। এভাবে দুই দফা বন্যায় ফসল নষ্ট হলে তাদের ঘরে খাবার জুটবে কি করে! রবিবার দুপুরে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানালেন, এই দিন যমুনার পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনও বিপদসীমার ১৫ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওদিকে উজানি ঢলের বড় আঘাতে বাঙালীর পানি এইদিনে বিপদ সীমার ৪৪ দশমিক ৭০ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি নিচে নেমে যাওয়ার প্রবণতায় আছে। কিন্তু বাঙালীর পানি বিপদ সীমারও ওপরে ওঠার প্রবণতা বেশি। তিনি জানান, দিন কয়েক আগে যমুনার পানি বিপদ সীমার নিচে নেমে গিয়েছিল। হঠাৎ দুই দিনের মধ্যে অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়ে বিপদ সীমার ৩৬ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলো। পানি প্রকৌশলীগণ বলছেন, যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ার এমন অস্বাভাবিকতা এর আগে কখনও হয়নি। আত্রাই নদীর বাঁধে ধস ॥ নওগাঁর ধামইরহাটে আত্রাই নদীর বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। প্রায় এক শ’ মিটার জায়গা ধসে যাওয়ায় যে কোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। এতে লোকালয় এবং হাজার হাজার আমন ধান ও সবজি খেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলা থেকে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক্ষুণি ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। জানা গেছে, আত্রাই নদীর রাঙ্গামাটি জামুরঘাট (লেবুতলা) এলাকার রাস্তা সংলগ্ন বাঁধের প্রায় এক শ’ মিটার এলাকার মাটি পানিতে ধসে গেছে। যে কোন মুহূর্তে বাঁধ কাম রাস্তা ভেঙ্গে যেতে পারে। ছালিগ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুল খালেক বলেন, এ বাঁধ ভেঙ্গে গেলে প্রায় ২০-২৫ গ্রামের বাড়িঘর ও হাজার হাজার একর জমির আমন ধান ও সবজি খেত পানিতে তলিয়ে যাবে।
×