ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধর্ষণের বিচার চেয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ

বিজেপি সরকারের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে

প্রকাশিত: ০০:১৩, ৪ অক্টোবর ২০২০

বিজেপি সরকারের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে

ভারতের উত্তর প্রদেশের এক দলিত নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজেপি সরকারের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে। এ ক্ষোভের মুখে রাজ্যের হাথরাস জেলা সুপারিনটেন্ডেন্টসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একটি বিশেষ তদন্ত দলের প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনায় যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় আটক সন্দেহভাজন অপরাধী এবং নিহতের পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মিথ্যা শনাক্তকারী পরীক্ষা করানোরও আহ্বান জানিয়েছে তদন্তকারীরা। খবর এনডিটিভি অনলাইনের। ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তি এক দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করে। ২০ বছরের ওই তরুণী ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিল্লীর হাসপাতালে মারা যান। চিকিৎসকেরা জানান, ওই নারীর মেরুদণ্ডসহ শরীরের একাধিক হাড় ভাঙ্গা ছিল। এছাড়া কেটে ফেলা হয় তার জিহ্বা। ওই দিন রাতেই পুলিশ তার দেহ সৎকার করে। অভিযোগ রয়েছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জোর করে তার দেহ আত্মীয়দের থেকে কেড়ে নিয়ে যায়। পরিবারকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়। কয়েকজন পুলিশকর্মী মিলে রাত আড়াইটায় তরুণীর দেহ পুড়িয়ে দেন। বিক্ষোভ এড়াতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে। হাথরাসের এই ঘটনায় শনিবারও ভারতের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। দিল্লীতে এমনই এক বিক্ষোভে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং দলিত সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ভিম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। এসব বিক্ষোভ থেকে ওই ঘটনায় হাথরাস পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়। বিশেষ করে জোর করে ওই নারীর মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া এবং ওই নিহতের গ্রামে সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশে বাধা দেয়ায় কঠোর সমালোচনা করা হয়।
×