ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা মোকাবেলায় দলের নেতাকর্মীরা জীবন দিলেও অন্যরা শুধু সমালোচনা করছে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগই জনগণের পাশে

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ৪ অক্টোবর ২০২০

আওয়ামী লীগই জনগণের পাশে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসটা হচ্ছে আমাদের (আওয়ামী লীগ) একমাত্র সম্বল, সেটাই আমাদের শক্তি। আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জনগণের জন্য আত্মত্যাগ করলেও অন্য কোন দল মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনা করছে। দেশবাসীকে এইটুকু বলতে চাই যে, জনগণের সংগঠন হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আর আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে এবং সেটা এবারও এই দুর্যোগ করোনা মহামারীর সময়ও প্রমাণ হয়েছে। শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দলের সাংগঠনিক শক্তিটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড়। আওয়ামী লীগের এই তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক শক্তি যে আছে, এই মহামারী মোকাবেলার সময় তারা যখন মাঠে নেমেছে, তখনই সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আজকে যে কারণে আমার প্রায় ৫২২ নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। এই যে এত বড় আত্মত্যাগ, আর কোন দল বোধহয় করেনি। তারা শুধু লিপ সার্ভিস দিয়েছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের পাল্টা সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তো প্রাইভেট টেলিভিশন, প্রাইভেট রেডিও দিয়েছি, অনেক পত্রিকা। যে যার মতো আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বলেই যাচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে কিন্তু মাঠের মানুষের পাশে দেখা যায়নি। তারা কেউ আবার বিচার করে আওয়ামী লীগের যে কতটুকু করল আর কতটুকু করল না। কিন্তু তারা নিজের আয়না দিয়ে চেহারা দেখে না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশে গরিব মানুষের সেবা করার অনেক লোক অনেক রকমের প্রতিষ্ঠান অনেক কার্যক্রম আমরা দেখি। কিন্তু করোনাকালীন সময় তো তাদের কোন কার্যক্রম আমরা দেখিনি। তখন সবাই ঘরে, তখন মানুষের পাশে আর কেউ নেই। মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ ছিল এবং আছে। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য সব থেকে বেশি কাজ করে। এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে শুধু আওয়ামী লীগই আছে মন্তব্য করে দলটির সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন, জনগণের স্বার্থে কাজ করে। সেজন্যই প্রতিটি দুঃসময়ে জনগণের পাশে থাকে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, এই বাংলাদেশের জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নতির জন্যই জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সেই স্বাধীনতার সুফলটা যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়, আমরা যেন দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারি, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। দলীয় সংগঠন ও সরকারের যৌথ সহযোগিতায় মানুষকে রক্ষায় গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলের নেতাকর্মীকে যখনই যাকে বলেছি প্রত্যেকে এতটুকু পিছপা হয়নি। মানে সব রকমের সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার মনে হয়, একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল বলেই মানুষ এই সহযোগিতাটা পেয়েছে। এখানে যদি অন্য কেউ ক্ষমতায় থাকত, কত মানুষ যে মারা যেত, কত যে দূরবস্থা হতোÑ তা ভাষায় বলা যায় না। তিনি বলেন, এবার শুধু করোনার দুর্যোগ না, আরও অনেক দুর্যোগ আমাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে। একে তো করোনার দুর্যোগ, সেই সঙ্গে সঙ্গে আবার আসল ঘূর্ণিঝড় আমফান। তার পর আসল বন্যা। কাজেই সব মিলিয়ে সারাদেশের মানুষের জীবনটা একটা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে ছিল। কিন্তু সেই সময় আমাদের দলের নেতাকর্মীরা প্রত্যেকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকায় এলাকায় তৃণমূল পর্যন্ত দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে করোনায় অনেক নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, তারা কারও কাছে হাত পাততে পারে না। তাদের কাছে খাদ্য বা রিলিফ পৌঁছে দেয়া, আমফান ও ঘূর্ণিঝড়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো। বন্যার সময় আমাদের নেতাকর্মীরা কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। তিনি বলেন, মানবিক কারণে আমাদের সকল নেতাকর্মীসহ সরকারী প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এবার কাজ করেছে। এভাবে এবং এত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার খুব কম দৃষ্টান্ত আছে। আমার মনে হয় একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল বলেই মানুষ এই সহযোগিতাটা পেয়েছে। যদিও আমরা ভাষণ শুনি কথা শুনি অনেকেই অনেক কথা বলেন। আবার আমরা যেগুলো করে ফেলি বা যেগুলো নির্দেশনা দেই বা যেসব পদক্ষেপ নেইÑ পরবর্তীতে দেখি অনেকে আবার তার ওপর উপদেশও দিচ্ছেন! সরকারপ্রধান বলেন, করোনার কারণে সারা বিশ্ব কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে স্থবির। সেক্ষেত্রে আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি বাংলাদেশে আমাদের অর্থনীতিটা যেন থেমে না যায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বাজেট দিয়েছি। বাজেট খুব বেশি একটা কমাইনি। ৫ লাখ কোটি টাকার ওপরে বাজেট দেয়া এটা একটা খুব কঠিন কাজ ছিল। বরং গত বাজেটের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি করেছি। আমরা বাজেটটা ঠিক রেখেছি যেন আমাদের অর্থনীতিটা গতিশীল থাকে। করোনা মহামারী সংক্রমণের সময় সকল স্তরের মানুষের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষের নগদ অর্থ প্রণোদনা এটা দেবার উদ্দেশ্য এটাই ছিল, গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মানুষকে সহায়তা করতে পেরেছি। ওই সময় মানুষের নগদ টাকারও যেমন দরকার ছিল খাদ্যের দরকার ছিল। অনেকে ছোট খাট ব্যবসা-বাণিজ্য করে, চাকরি করত, তাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেল, তারা অসহায় হয়ে পড়ল। আবার আমাদের যারা শ্রমিক তাদের দিকে লক্ষ্য রাখা, কৃষক তাদেরকে সহযোগিতা করা, আরেকটি বিষয়, শুরু থেকেই নির্দেশ দিয়েছিলাম, খাদ্য উৎপাদন আমাদের ঠিক রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী একটা অর্থনৈতিক মন্দা আসবে। আর মন্দার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, খাদ্যভাব দেখা দেয়। বাংলাদেশে যেন কোন মতে খাদ্যভাব দেখা না দেয়, সেজন্য কৃষক মাঠে থাকে, ফসল যেন উৎপাদন হয়, উৎপাদিত ফসলটা আমাদের কাছে থাকলে পরে অন্তত খাবারের অভাবটা যেন না হয়। আল্লাহর রহমতে সেটা কিন্তু হয়নি। কৃষকের ধান কাটায় দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীর এগিয়ে এসে সহযোগিতা করায় তাদেরও ব্যাপক প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমাদের জনসংখ্যা বেশি। এই জনসংখ্যায় যখন করোনাভাইরাস আক্রমণ করবে, তাহলে আমাদের কত পার্সেন্ট লোক আক্রান্ত হতে পারে, কত রোগী আমাদের হতে পারে, কত লোককে আমাদের কোয়ারান্টাইনে দিতে হতে পারেÑ সেটার একটা হিসাব করে সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাসপাতালগুলো তৈরি করেছি এবং প্রত্যেক জেলা হাসপাতাল পর্যন্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকে, আইসিইউ খোলা যায়, যত দ্রুত খোলা যায় সেই ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, এটা ঠিক শুরুতে করতে কষ্ট হয়েছে। এখন কিন্তু আমরা প্রায় সব জায়গায় এটা করে ফেলেছি। চিকিৎসা সেবা দেবে, সঙ্গে সঙ্গে দুই হাজার ডাক্তার এবং নার্স আমরা নিয়োগ দিয়ে দিয়েছি। আলাদাভাবে তিন হাজার নার্স আমরা নিয়োগ দিয়েছি। টেকনিশিয়ান তাদেরকেও আমরা নিয়োগ দিয়েছি। এখানে কিছু কিছু ফরমালিটিজ লাগে, জনগণকে রক্ষায় সেগুলো শিথিল করেছি। কারণ আমি বলেছি, সেগুলো আমরা পরে করব, আগে আমার খোরাক দিতে হবে, আমার চিকিৎসক দরকার, নার্স দরকার, টেকনিশিয়ান দরকার- এগুলো সব দরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছে বলেই কিন্তু আমরা এই করোনাটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। লকডাউন দীর্ঘ দুই মাস চলার পরে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবে দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছিল। ধীরে ধীরে আস্তে আস্তে আমরা উন্মুক্ত করলাম। কিন্তু যে মন্ত্রণালয় এই কাজের জন্য জরুরী তারা কিন্তু সম্পূর্ণভাবে অফিস ছেড়ে চলে যায়নি। সেখানে সীমিত আকারে বসেছে। তাছাড়া এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ২০০৮ সালে আমরা যখন নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ব ঘোষণা দিলাম, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই আমরা কিন্তু দেশটাকে সচল রাখতে পেরেছি। মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগটা আমরা রাখতে পেরেছি। নিজের অভ্যন্তরীণ বা বিশ্বসভায় যোগাযোগটা রাখতে সক্ষম হয়েছি। প্রবাসীদের সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকটা সমস্যায় আমাদের পড়তে হয়েছে যে, বিভিন্ন দেশে আমাদের যারা কর্মীরা কাজ করে, অনেক দেশেই তো এখন কাজ বন্ধ। অনেক দেশ থেকে আমাদের লোক ফিরে আনতে হয়েছে। আমরা কিন্তু আমাদের মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করেছি। আমরা তাদের কিন্তু যেখানে যাদের ফিরে আনার কথা আমরা কিন্তু ফিরে এনেছি। বিশেষ বিমান পাঠিয়েও আনা হয়েছে। কারণ তারা আমাদের সন্তান। তাদের ভাল মন্দ তো আমাদের দেখতে হবে। তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থাও আমরা করেছি। তাদেরও আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি। অনেক জায়গায় আমাদের লোকের কাজ ছিল না, তাদেরকে নগদ টাকা পয়সা পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এইভাবে প্রত্যেকটা সেক্টরে আমরা কিন্তু কাজ করেছি। এখনও করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগের কাজের বিপরীতে বিএনপি-জামায়াত জোটের ‘অগ্নিসন্ত্রাসের’ কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, তাদের ওই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আমরা দেখেছি। সেগুলো আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। সবাইকে আমরা সহযোগিতা করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত আমরা এখনও তাদের খোঁজ নিচ্ছি। যেখানে যতটুকু পারি, তাদের সাহায্য আমরা করে যাচ্ছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলার কথা বৈঠকে তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন সময় আমাদের এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়েছে। এর আগে আমরা দেখেছি, বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাস। ব্যাপকভাবে তারা আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। মানুষের ওপর অকথ্য নির্যাতন করেছে। ২০০১ সালে নির্বাচনকালীন সময় থেকে আমরা যদি একটু বিচার করে দেখি, কিভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তাদেরকে একদিকে হত্যা করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, পাশবিক অত্যাচার করেছে, ঘরবাড়ি দখল ও পুড়িয়ে দিয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করেছে, ভূমি অফিস পুড়িয়েছে, বাস-ট্রাক-লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহন পুড়িয়েছে। তাদের ওই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আমরা দেখেছি। কিন্তু সেগুলো আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। করোনার মধ্যে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা এই অবস্থাতেও যেখানে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি, অনেকে তো মাইনাসে চলে গেছে। তারপরও আমরা কিন্তু ৫ দশমিক ৬-এর কাছাকাছি অর্জন করতে পেরেছি। হয়ত আমরা আরও বেশি করতে পারব। তিনি বলেন, আমরা আমাদের একদিকে দুর্যোগ মোকাবেলা, অপরদিকে আমাদের দেশের অর্থনীতি সচল করা, মানুষের পাশে দাঁড়ানো। মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন করে তাদের উন্নত জীবন দেয়া- এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর এবার নদী ভাঙ্গনে অনেক মানুষের ক্ষতি হয়ে গেছে, নেই নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ভূমিহীন যারা নিঃস্ব হয়ে গেছে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য আমরা বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রেখেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে আমাদের ঘোষণা প্রত্যেকটা মানুষকে আমরা গৃহহীন ভূমিহীন তাদেরকে আমরা ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী ব্যাপকভাবে চলছে। সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম আমরা এক কোটি গাছ লাগাব। কিন্তু আমাদের কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠন মিলে এক কোটিরও বেশি গাছ কিন্তু ইতোমধ্যে রোপণ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও আমরা একই কর্মসূচী নিয়েছি। তিনি বলেন, বৃক্ষরোপণ, সবুজ বেষ্টনী, প্রকৃতি রক্ষা করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কাজেই সার্বিকভাবে একদিকে দুর্যোগ মোকাবেলা করা, অপরদিকে দেশটাকে সচল রাখা সব রকমের কাজই আমরা করে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের প্রাণপণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন এই জনগণকে একটা উন্নত জীবন দিতে। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মুজিববর্ষে সেটা আমাদের বড় অঙ্গীকার। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সীমিত পরিসরে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সূচনা বক্তব্যের পর দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই সভার রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সাত মাস পর অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে আগামী দিনে দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে কিছু সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
×