ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুই সহযোগীসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইফুল গ্রেফতার, অস্ত্র ও ইয়াবা জব্দ

প্রকাশিত: ২২:১৫, ৩ অক্টোবর ২০২০

দুই সহযোগীসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইফুল গ্রেফতার, অস্ত্র ও ইয়াবা জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুই সহযোগীসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইফুলকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত ১ অক্টোবর রাতে র‌্যাব-২ এর একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন মোহাম্মদীয়া হাউজিংয়ের ৪ নং সড়কের একটি বাসা থেকে মোঃ হানিফ (৩৭) ও মনির হোসেন (২৮) নামের দুই সহযোগীসহ শীর্ষ সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থাকা অস্ত্র ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। র‌্যাব জানায়, সাইফুল এসআই এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কনস্ট্রাকশন হাউস খুলে প্রতিষ্ঠানের আড়ালে সহযোগীদের নিয়ে ভূমি দখল, মাদককারবারি, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের কাছে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া গেছে। এদিকে আরেক ঘটনায় ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুর আগেই গাছের মগডাল থেকে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা। শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে বিমানবন্দরের কাওলা সিভিল এভিয়েশন স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকৃত ব্যক্তি সিভিল এভিয়েশনের গাড়িচালক। ফায়ার সার্ভিস জানায়, সিভিল এভিয়েশন স্টাফ কোয়ার্টারের পাশে বড় একটি আম গাছের ডালে ওঠেন মোঃ বাবুল মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। তিনি ডালের সঙ্গে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। খবর পেয়ে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বাবুল মিয়াকে কৌশলে বুঝিয়ে গলার রশি খুলে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরবর্তী সময়ে তাকে বিমানবন্দর থানা পুলিশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। তার বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায়। বিমানবন্দর থানা পুলিশ জানায়, গাড়িচালক মাদকাসক্ত। তিনি সিভিল এভিয়েশন স্টাফ কোয়ার্টারে বোনের সঙ্গে থাকেন। মাদকাসক্ত হওয়ায় দুই বছর আগে স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যান। বাবুল মিয়াকে একাধিকবার রিহ্যাবে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি মাদক ছাড়তে পারেননি। শুক্রবার সকালে তাকে রিহ্যাবে পাঠানোর চেষ্টা করে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তিনি যেতে চান না। পরে তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেন তার বোন। এ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো হয় তাকে। এর কিছুক্ষণ পর তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে একটি আম গাছে ওঠেন। বাবুল মিয়াকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারকে তার প্রতি আরও যতœশীল এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাবুল মিয়ার ভাই মোঃ সেলিম জানান, তার ভাইকে মাদকমুক্ত করতে তারা চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা পারছেন না। বাবুলের দুই ছেলে-মেয়ের জন্য তাকে সুস্থভাবে বাঁচার প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
×