ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফের প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে বাহাদুর শাহ পার্ক

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ২ অক্টোবর ২০২০

ফের প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে বাহাদুর শাহ পার্ক

জবি সংবাদদাতা ॥ নোভেল করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে আজ পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত। এই ভাইরাসের প্রভাবে কালের সাক্ষী হয়ে উঠেছে পুরান ঢাকার স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক। এই পার্কে দীর্ঘদিন মানুষের পদচারণা ছিল না। বহুদিন ধরে পার্কটি যেন খাঁ খাঁ করছিল। তবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানুষ কিছুটা মানিয়ে নিতে শুরু করায় বাহাদুর শাহ পার্ক যেন তার স্বরূপে ফিরতে শুরু করেছে। আগের মতো সকাল-সন্ধ্যা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর থাকছে পার্কের পরিবেশ। পার্কটি ঘুরে দেখা যায়, সাধারণত বয়স্করা প্রাতঃভ্রমণে এলেও বিকেলে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বাহাদুর শাহ পার্ক। কাউকে বিস্তৃত ওয়াক ওয়েতে হাঁটতে দেখা যায়, কাউকে নতুন বানানো বেঞ্চে বসে সময় কাটাতে দেখা যায়। অনেককে আবার বন্ধুদের নিয়ে খোশগল্পে মেতে উঠতে দেখা যায়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আড্ডার অন্যতম কেন্দ্র এ পার্ক। জানা যায়, প্রথমে এ ময়দানের নাম ছিল ‘আন্টাঘর’। ঢাকার আর্মেনীয়দের বিলিয়ার্ড ক্লাবছিল এই ময়দানে। ক্লাবটির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ঢাকার নবাব আব্দুল গনি ও নবাব আহসান উল্লাহ। ১৮৫৮ সালে রানী ভিক্টোরিয়া ভারতবর্ষের শাসনভার গ্রহণের পর এ ময়দানের নামকরণ হয় ‘ভিক্টোরিয়া পার্ক’। ১৯৫৭ সালে (মতান্তরে ১৯৬১) সিপাহী বিদ্রোহের শতবার্ষিকী উপলক্ষে এখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের মধ্য দিয়ে ময়দানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাহাদুর শাহ পার্ক’। সেই থেকে এ নামে পরিচিত জায়গাটি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইতিপূর্বে পার্কটি নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল। দীর্ঘদিন ধরে পার্কটি নিরাপত্তা হীনতায় ছিল। এতে মানুষের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা খুব একটা ছিল না। রাতে ছিল মাদকসেবীদের আড্ডা। তবে পার্কটির উন্নয়ন ও সংস্কার হওয়ায় ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষা পেয়েছে। একইভাবে মানুষ এটি সঠিকভাবে ব্যবহারের অধিকার ফিরে পেয়েছে। সংস্করণ করায় বেড়েছে এর সৌন্দর্য। সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয় বলে সব বয়সী মানুষ আগ্রহভরে আসে পার্কটিতে।
×