ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দলিত তরুণীর বাড়িতে যাওয়ার পথে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ২ অক্টোবর ২০২০

দলিত তরুণীর বাড়িতে যাওয়ার পথে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে ধর্ষণ, নির্যাতনের পর হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া দলিত তরুণীর বাড়িতে যাওয়ার পথে আটক হন কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কয়েক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার দিল্লী থেকে হাথরাসে যাওয়ার পথে গ্রেটার নয়ডায় রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রসহ কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দলের গাড়িবহর আটকে দেয় উত্তর প্রদেশ রাজ্য পুলিশ। এখান থেকে স্থানীয় কংগ্রেস নেতানেত্রীদের সঙ্গে নিয়ে হেঁটে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ফের তাদের বাধা দেয়। এ সময় রাহুলের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা রাহুলকে বলেন, ‘আপনি ১৪৪ ধারা ভাঙছেন।’ উত্তরে রাহুল বলেন, ‘আপনারা ১৪৪ ধারার অপব্যবহার করছেন।’ পুলিশের বাধার মুখে কংগ্রেসের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রাস্তায় বসে পড়েন। এই পর্যায়ে পুলিশ লাঠি পেটা শুরু করে ও এক পর্যায়ে রাহুলকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে তাকে আটক করে। আপনারা আমাকে আটক করছেন কেন? কোন অপরাধে? অনুগ্রহ করে গণমাধ্যমকে বলুন,’ উত্তপ্ত কথা কাটাকাটির মধ্যে পুলিশকে বলেন রাহুল, পুলিশ জানায়, ‘১৮৮ ধারায়’ তাকে আটক করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কংগ্রেস নেতা তাকে থামানোর চেষ্টা করা পুলিশকে প্রতিরোধ করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, এ সময় পুলিশ তাকে ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান। রাহুল গান্ধী বলেন,‘এইমাত্র পুলিশ আমাকে ধাক্কা দিয়েছে, লাঠি পেটা করেছে আর মাটিতে ফেলে দিয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, এই দেশে কী শুধু মোদি জী হাঁটতে পারবেন? সাধারণ মানুষ কী হাঁটতে পারবে না?’ রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা আগেই হাথরসে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে উত্তর প্রদেশ সরকার। তারপরও কর্মসূচী বাতিল না করে গাড়িবহর নিয়ে রওনা হন কংগ্রেসের নেতানেত্রীরা। উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ জারি আছে, সেই কারণেই রাহুলদের গাড়িবহর আটকানো হয়েছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে দলগত ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর হাসপাতালে মারা যাওয়া তরুণীর মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের সম্মতি ছাড়াই পুলিশ কর্মকর্তারা জোর করে দাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে ভারতজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই ঘটনাকে সামনে রেখে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো।
×