করোনায় কেউ না খেয়ে মারা না গেলেও থালায় ভাতের পরিমাণ কমে যাচ্ছে ॥ মেনন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনায় কেউ না খেয়ে মারা যায়নি ঠিকই, কিন্তু থালায় ভাতের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কারণ বাজারে চাল থাকলেও প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। চালকলের মালিকেরা সরকারী গুদামে চুক্তিমত চাল দেয়নি, উপরন্ত হুমকি দিচ্ছে। তাদের জেলে দিলেও চাল দিতে পারবেনা। করোনায় মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রবাসীরা খালিহাতে দেশে ফিরছে। কিছুদিন পর এদের বাজার দরে চাল কেনা সম্ভব হবে না। বৃহস্পতিবার খাদ্য নিরাপত্তা ও চাল সহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিরোধে ওয়ার্কার্স পার্টির খাদ্য মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি ও ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত সমবেশে অনলাইন ভিডিও কলে পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি এ সব কথা বলেন। ১৪ দলের অন্যতম শরিক নেতা ও ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি মেনন বলেন, এবারের ইরি-বোর মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহে সরকারী লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। যা সত্যিই দুঃখজনক। গুদামে যে চাল আছে তা দিয়ে কিছু দিনের জন্য প্রয়োজন মেটানো গেলেও, পুরোপুরি সম্ভব হবে না। সুতরাং করোনাকালে অথবা করোনা উত্তরকালো যে মানুষ সৃষ্ট আরেকটি দুর্ভিক্ষাবস্থা সৃষ্টি হবে না সেটা বলা যায় না। তাই দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠিন কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মেনন বলেন, সরকারের উচিত সময়উপযোগি পদক্ষেপ নেয়া। আমরা করোনার শুরু থেকেই দেখেছি কিছু কিছু পদক্ষেপ সঠিক হয়নি। বরং উল্টো হয়েছে। তাদে ভাল করতে গিয়ে খারাপ হয়েছে। সমালোচনা হয়েছে, হচ্ছে। এগুলো ভালো দৃষ্টিকোন থেকে দেখা উচিত। আর ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভালোর পথে, আলোর পথে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আবুল হোসাইন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, ঢাকা মহানগর সদস্য রফিকুল ইসলাম সুজন, ছাত্রনেতা ফারুক আহমেদ রুবেল সহ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে একটি প্রতিনিধি দল খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মাধ্যমে মাননীয় খাদ্য মন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কিশোর রায়, মহানগর নেতা মামুন মোল্লা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।