ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মতো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেননি ॥ আমু

প্রকাশিত: ০০:৩১, ১ অক্টোবর ২০২০

কোন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মতো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেননি ॥ আমু

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, পৃথিবীর অন্য কোন রাষ্ট্রনায়ককে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো এত কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে চলতে হয়নি। তাঁকে অত্যন্ত কণ্টকাকীর্ণ পথ বেয়ে সামনে এগোতে হয়েছে। তবু সবকিছু মোকাবেলা করে শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে এই অবস্থানে আনতে সক্ষম হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশকেই সারা বিশ্বে মর্যাদাশীল করেননি, তাঁর এই অকল্পনীয় রাষ্ট্রনায়কোচিত কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে নিজেকেও বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকজন সফল মর্যাদাশীল রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আমু আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যখন এই দেশে একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে হত্যা করে দেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে রাজনীতি কঠিন করার ষড়যন্ত্র করে, দল ভাঙ্গার রাজনীতি শুরু করে- সেই কঠিন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বসম্মতিক্রমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে। সেখান থেকে তিনি দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছেন। এখন সারা বিশ্বে বাংলাদেশ মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের অপর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বে একজন মর্যাদাশালী নেতা। আমি আমু ভাই, মেনন ভাই ২০১৩ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে গিয়ে দেখেছিলাম কিভাবে সারা বিশ্বের নেতারা তাঁকে সম্মান করেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে ৩৪ বছর বয়সে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের পতাকা হাতে নিয়ে তিনি বলেছিলেন- আমি ক্ষমতার জন্য আসিনি, আমি এসেছি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস এমপির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর করিব নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির জাকির হোসেন, গণতন্ত্রী পার্টির অধ্যাপক ডাঃ শহিদুল্লাহ শিকদার, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
×