ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের বিশেষ ওয়েবিনার

১৬ কোটি মানুষের একমাত্র আশা ভরসা শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ১ অক্টোবর ২০২০

১৬ কোটি মানুষের একমাত্র আশা ভরসা শেখ হাসিনা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ‘বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের একমাত্র আশা-ভরসা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামরিকতন্ত্র থেকে গণতন্ত্র উদ্ধারে তার দীর্ঘ সংগ্রামের এই পথ ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ প্রতিকূল ও ঝুঁকিপূর্ণ। শেখ হাসিনা যেমন মায়া-মমতা দিয়ে প্রতিটি সঙ্কটকালে মানুষের পাশে ছিলেন, ঠিক তেমনভাবে রাজনৈতিকভাবে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জাতির সব ধরনের কমিটমেন্ট রক্ষা করেছেন।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে ‘তারুণ্যের অনুপ্রেরণা শেখ হাসিনা’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা এসব কথা বলেন। ওয়েবিনারে অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ। মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা এই উপমহাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের আশা-ভরসা শেখ হাসিনা। আজীবন অত্যন্ত সহজ-সরল জীবনযাপন করেন শেখ হাসিনা। পিতা মুজিবের কাছ থেকে তিনি রাজনীতি দেখেই এই বাঙালী জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ, মমত্ববোধ প্রকট আকারে ধারণ করে। শেখ হাসিনা যেমন মায়া মমতা দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন ঠিক তেমনভাবে রাজনৈতিকভাবে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জাতির কাছে দেয়া সব ধরনের কমিটমেন্ট রক্ষা করেছেন। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৮ সালে মাত্র ৫৬ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল, সেই যায়গা থেকে শেখ হাসিনা তরুণদের সম্পৃক্ত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছেন এবং তিনি সফল। এখন দেশে ১০ কোটির অধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। দেশের ইউনিয়নগুলো ডিজিটাল হাবে পরিণত হয়েছে। ৫ হাজার ৮৬৫টি ডিজিটাল সেন্টারে ১১ হাজার তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে। একটা বড় সংখ্যা যদি বলি সাড়ে ৬ লাখ আইটি ফ্রিলেন্সার রয়েছে। কারণ ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণেই। মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে শিক্ষা দর্শন ছিল- শিক্ষা হতে হবে বাস্তবমুখী, বুনিয়াদি শিক্ষা। শিক্ষা হতে হবে প্রযুক্তি নির্ভর, বৃত্তিমূলক শিক্ষা। কিন্তু ’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তৎকালীন অবৈধ দোসররা শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল। এরপরে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পরে শিক্ষা ব্যবস্থায় সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন হয়। আগে আমরা নারী শিক্ষায় পিছিয়ে ছিলাম এখন তা ছেলেদের চাইতেও এগিয়ে। যেই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে ছিল তা আজ স্বয়ংক্রিয়। সারাদেশে ১৮০০টি মাদ্রাসা ভবনের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কি করেছে তারা? শূন্য। আমরা স্বপ্ন দেখি এই দেশ এগিয়ে যাবে, ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে এই দেশ বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, শেখ হাসিনা ৬ বছর নির্বাসনে থাকার পরে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন গণতন্ত্র উদ্ধার করার জন্যই। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে এসে গণমানুষের সঙ্কট নিয়ে চিন্তা করেছেন এবং তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন। শেখ হাসিনার এই পথ ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুপ্ত প্রতিকূল ঝুঁকিপূর্ণ। আজকে তার জন্মদিনে তিনি নেত্রী থেকে বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি নীলকণ্ঠ, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে থাকা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া আমাদের ভাগ্যের ব্যাপার।
×