ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খাদ্য নষ্ট ও অপচয় না করার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ২৩:২১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

খাদ্য নষ্ট ও অপচয় না করার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খাদ্য নষ্ট ও অপচয় না করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, সারা পৃথিবীতেই উৎপাদিত খাদ্যের বিরাট একটা অংশ নষ্ট ও অপচয় হয়। বাংলাদেশেও খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে খাদ্য নষ্ট হয়। যা একদিকে খাদ্য নিরাপত্তায়, অন্যদিকে কৃষকের আয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এর মধ্যে চলমান মহামারী করোনার কারণে পৃথিবীর অনেক দেশেই খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। সেজন্য কোনভাবেই খাদ্য নষ্ট ও অপচয় করা যাবে না। মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশে খাদ্য নষ্ট ও অপচয় রোধে চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হর্টিকালচারাল সায়েন্স (বিএসএইচএস) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বাংলাদেশ যৌথভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘খাদ্য নষ্ট ও অপচয় বিষয়ে আন্তর্জাতিক সচেতনতা দিবস’ পালন উপলক্ষে এ সেমিনারটি আয়োজন করে। ‘খাদ্য নষ্ট ও অপচয়’ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সবাইকে সচেতন করতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ২৯ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সচেতনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। প্রথমবারের মতো এ বছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘খাদ্য নষ্ট ও অপচয় বন্ধ করুন। মানুষের জন্য। পৃথিবীর জন্য।’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কৃষি ক্ষেত্রে ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। খাদ্য নষ্ট ও অপচয়রোধেও সরকার কাজ করছে। ডেল্টা প্ল্যান, কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (সিআইপি-২), জাতীয় কৃষি নীতিতেও এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, খাদ্য নষ্ট ও অপচয় কমিয়ে আনতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ও এগ্রো-প্রসেসিংয়ে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারের এসব উদ্যোগের পাশাপাশি উৎপাদক, ক্রেতা- ভোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফএও ঢাকার চীফ টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজার নাওকি মিনামিগুচি ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুল হাসান। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ২০১৯ রিপোর্ট মোতাবেক বছরে সারা বিশ্বে উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের এক-তৃতীয়াংশ নষ্ট বা অপচয় হয়। যার পরিমাণ প্রায় প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন টন বা ১৩০ কোটি টন। ক্যালরিতে হিসেবে করলে প্রায় ২৪ শতাংশ খাদ্য নষ্ট হয়। বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হর্টিকালচারাল সায়েন্সের সভাপতি মোঃ সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল মুঈদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, বিএসএইচএস’র মহাসচিব আফজাল হোসেন ভূইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাত ॥ দেশের ফুড প্রসেসিংসহ কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা উসমান তুরান। বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা উসমান তুরান মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকে সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাতকালে এই আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত। সাক্ষাতকালে দুদেশের কৃষি, প্রাণিসম্পদ, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং ফুড প্রসেসিং নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
×