ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারের স্বার্থ সুরক্ষায় গণপূর্তের উদ্যোগ যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানো যাবে না প্রকল্পের কাজ দেখভালে ৫ বিশেষ কমিটি অবহেলা কিংবা দুর্নীতির প্রমাণ পেলে সর্বোচ্চ শাস্তি

মান বজায় রেখে স্থাপনা নির্মাণ শেষ করতে হবে নির্ধারিত সময়ে

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

মান বজায় রেখে স্থাপনা নির্মাণ শেষ করতে হবে নির্ধারিত সময়ে

মশিউর রহমান খান ॥ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হতে হবে গণপূর্ত অধিদফতরের সকল সরকারী ক্ষুদ্র বৃহৎ স্থাপনা নির্মাণের কাজ। বেঁধে দেয়া সময় পেরিয়ে বছরের পর বছর প্রকল্পের অতিরিক্ত সময় বাড়ানো ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো যাবে না। অবশ্যই বজায় রাখতে হবে নির্মাণ কাজের গুণগতমান। প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। সরকারী প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘযুগ ধরে চলমান ঢিলেমি পরিহার করে নিয়মিত মাঠ পর্যায়ের সকল কাজের মনিটরিং করতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। একইসঙ্গে পাবলিক প্রক্রিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) মেনে সরকারের স্বার্থ সুরক্ষা করেই শতভাগ ইজিপিতে ডাকা হবে সকল টেন্ডার। নির্মাণে কোন ত্রুটি দেখা দিলেই উর্ধতনদের সঙ্গে আলোচনা করে অতিদ্রুত তা সমাধান করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এমনই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে গণপূর্ত অধিদফতর। মূলত প্রকল্প প্রণয়ন থেকে শুরু করে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও প্রকল্প সমাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটাতে চায় সংস্থাটি। এজন্য সারাদেশের সকল কাজ কঠোরভাবে মনিটরিং করতে উচ্চ পর্যায়ের ৫টি কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে চলমান সকল কাজে নতুন করে গতি আনতে থ্রি কিউ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবে পিডব্লিউডি। একইসঙ্গে পাবলিক প্রক্রিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) মেনে সরকারের স্বার্থ সুরক্ষা করেই শতভাগ ইজিপিতে ডাকা হবে সকল টেন্ডার। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সারাদেশের সকল স্থাপনা নির্মাণে কোন প্রকার অবহেলা বা নির্মাণ ত্রুটি না রাখতে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করতেই সংস্থাটি এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকারী স্থাপনা নির্মাণকারী সংস্থাটি। একইসঙ্গে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বাস্তবায়নেই এমন নতুন নির্দেশনা প্রদান করেছে গণপূর্ত অধিদফতর। জানা গেছে, থ্রি কিউ এর অর্থ হচ্ছে কোয়ালিটি, কোয়ানটিটি ও কুইক। গুণগতমান বজায় রেখে ও কাজের পরিধি নির্ধারণ করা ও প্রকল্পের মেয়াদ না বাড়িয়ে সকল কাজ দ্রুত শেষ করার কথা বলা হচ্ছে। এ নির্দেশ বাস্তবায়নে কোন প্রকার অবহেলা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের শো কজ করে আইনানুযায়ী শাস্তি প্রদান, বিভাগীয় মামলা, পদাবনতি, বদলি, সাময়িক বরখাস্ত করতেও দ্বিধা করা হবে না বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে সরকারী কোন প্রকল্পে দুর্নীতির সঙ্গে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরও আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হবে। সূত্র জানায়, সারাদেশের সকল স্থাপনা নির্মাণে গণপূর্ত অধিদফতরের সকল নির্দেশনা পরিপালনের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ৫ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির সদস্যরা নিয়মিত সারাদেশের সকল তথ্য নিয়মিতভাবে সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে প্রদান করবেন। কমিটিগুলো হচ্ছে, কার্য পরিধি নির্ধারক কমিটি, প্রক্রিউরমেন্ট এ্যান্ড টেন্ডার ডিসপ্যারাল সংক্রান্ত কমিটি, জনসংযোগ প্রচার ও লিয়াজো উইং কমিটি, অনুসন্ধান ও মূল্যায়ন কমিটি ও প্রকল্প প্রনয়ণ ও নকশা সংক্রান্ত কমিটি। এসব কমিটি বাস্তবায়ন হওয়া ও বাস্তবায়িতব্য যে কোন ক্ষুদ্র বা বৃহৎ প্রকল্প সম্পর্কে কোন প্রকার ত্রুটি দেখা দিলে তা খোঁজে বের করবে। কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে আসা যে কোন অভিযোগ তদন্ত করবেন। কমিটিগুলো দেশের উন্নতিকল্পে সরকার গৃহীত সকল প্রকল্প সুচারুরূপে বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা পালন করবে। জানা গেছে, কার্যপরিধি নির্বাহী কমিটি কোন নির্মাণ কাজ বা প্রকল্প কাজ জেলা পর্যায়ের বা বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সম্পন্ন করবেন কিংবা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কোন পর্যায়ের সমস্যা সমাধান করবেন তা নির্ধারণ করবেন। একইসঙ্গে কোন সমস্যা সমাধান করবেন বা সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন প্রধান প্রকৌশলী কিংবা তদূর্ধ তা সুপারিশ করবে উক্ত কমিটি। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পূর্ত অধিদফতর সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাবলিক প্রক্রিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) শতভাগ বাস্তবায়িত করতে কাজ করবে। প্রক্রিউরমেন্ট এ্যান্ড টেন্ডার ডিসপ্যারাল সংক্রান্ত কমিটি কোন প্রকল্প পিপিআর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কি না কোন ত্রুটি হচ্ছে কি না বা সরকারের স্বার্থ সুরক্ষা করা হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করবে। একইসঙ্গে এ কমিটি কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে স্বার্থ নষ্ট হলে তাও রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে এ কমিটি। অপরদিকে টেন্ডার আহ্বান করার পরও কোন কাজ বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি হলে তার সঠিক সমাধানের পথ খোঁজবে। এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্নস্থানে টেন্ডার অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না তার সর্বশেষ তথ্য জমা থাকবে এ কমিটির কাছে। সূত্র জানায়, টেন্ডারবাজদের নিয়ন্ত্রণ করতেই এ কমিটি করা হয়েছে। সরকারের সকল বৃহৎ প্রকল্প কাজ শতভাগ নিয়ম অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে এই কমিটিকে কাজ করতে হবে। কোন প্রকল্পের টেন্ডার বাতিল করে রিটেন্ডার দেয়া প্রয়োজন কি না তা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রয়োজন অনুসারে প্রধান প্রকৌশলী তথা মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবে এ কমিটি। জনসংযোগ প্রচার ও লিয়াজো উইং দেশের যে কোন প্রকল্পে ত্রুটি বা অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি সম্পর্কে যে কোন প্রকার চিঠি অভিযোগ বা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরা অভিযোগ ও রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করবেন। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ করবে। প্রয়োজনে এ সম্পর্কে ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে লিয়াজোঁ মেনটেইন করার মূল কাজটি করবেন এ কমিটির সদস্যরা। মিডিয়াতে আসা যে কোন অনিয়মের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সর্বদা কাজ করবে এ কমিটি। একইসঙ্গে সরকারের নেয়া নানা উন্নয়ন কর্মকা- সম্পর্কিত যে কোন নিউজ বা তথ্য থাকলে তাও জমা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা সরকারের নানা পর্যায়ে তা তুলে ধরবে। অনুসন্ধান ও লিয়াজোঁ কমিটি মূলত বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে কোন প্রকার ত্রুটি রয়েছে কি না ও থাকলে তা কেমন তা নির্ধারণ করতে অনুসন্ধান করবে। একইসঙ্গে কাজের ধরণ বুঝে তার মূল্যায়ন করবে এ কমিটি। অপরদিকে কোন প্রকল্পের বাস্তবতা অনুসন্ধান করে তার, কাজের ওপর অনুসন্ধান করে কাজের বিষয়ে মূল্যায়ন করে প্রধান প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিপোর্ট করবেন। এছাড়া সরকারের নানা প্রকল্প দেশজুড়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর বাইরে নতুন যে কোন প্রকল্প গ্রহণের জন্য প্রকল্প প্রণয়নের কাজ করবে এ কমিটি। এছাড়া প্রকল্পের নক্সা বাস্তবায়নের মূল কাজ করবে এ কমিটি। যাতে করে কোন প্রকল্পের শতভাগ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন প্রকার নক্সার ব্যতয় না ঘটে ও কোন প্রকল্পের কাজে নক্সা অনুযায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে কি না কমিটি তাও দেখবে বলে জানা গেছে। শুধুমাত্র সঠিক নক্সা প্রণয়ন না করতে পারায় সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার বিশাল স্থাপনা নির্মাণে মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হয়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ও সরকারের স্বার্থ সুরক্ষার পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে সকল স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে সকল কাজ শেষ করতেই গণপূর্ত অধিদফতর এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নতুন এসব কমিটির কর্মকা- ইতোমধ্যেই চালু করেছে। ফলে করোনার মধ্যেও বেশকিছু প্রকল্পের কাজ আগের তুলনায় অনেক বেশি গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সময় টেন্ডারবাজির মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তিদের পূর্ত বিভাগের কাজ নিয়ন্ত্রণ করার কথা থাকলেও শুধুমাত্র শতভাগ ই-জিপির মাধ্যমে টেন্ডারের কাজ পরিচালনা করায় সকল শ্রেণীর ঠিকাদারগণই ঘরে বসে টেন্ডারে অংশ নিতে পারছেন। ফলে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করার অপপ্রয়াস অনেকটাই কমে আসছে। অপরদিকে কমিটির কার্যপরিধি নির্ধারণ করে দেয়ায় সকল কমিটিই তথ্য সংগ্রহ করে তা অতি দ্রুততার সঙ্গে তা যাচাই-বাছাই করে পূর্ত বিভাগের সকল কাজ করতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে দেশের যে কোন স্থাপনা সম্পর্কে উঠা অভিযোগও দ্রুততার সঙ্গে প্রধান প্রকৌশলীকে জানানোর মাধ্যমে সমাধান করা যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া যেসব অভিযোগ প্রধান প্রকৌশলীর ক্ষমতার বাইরে সেসব প্রকল্পের সমস্যার সমাধানে উক্ত কমিটিগুলো সচিব বা প্রতিমন্ত্রী বা মন্ত্রীর কাছে পাঠাতে সুপারিশ করছে। ফলে কোন কাজেই তুলনামূলক কম সময়েই সমাধান হচ্ছে। এর মাধ্যমে কাজের গতি অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। কমিটিগুলো সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে সরকারের স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করতে পারলে গণপূর্ত বিভাগ তার পূর্বের ঐতিহ্যে ফিরে যেতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, সারাদেশে নির্মাণাধীন ও প্রক্রিয়াধীন সরকারী সকল প্রকার ছোট বড় স্থাপনা নির্মাণে কাজের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে ও স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা প্রচলিত ধারা পরিবর্তন করে প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও প্রকল্প সমাপ্তিতে দীর্ঘযুগ ধরে চলে আসা দীর্ঘ সূত্রতার অবসান ঘটাতে চাই। তাই পূর্ত বিভাগকে তার পূর্বের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে নিতে দিনরাত সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে অতি গুরুত্বের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। প্রধান প্রকৌশলী বলেন, এখন থেকে নির্ধারিত সময়েই হতে হবে গণপূর্তের সকল স্থাপনার নির্মাণ কাজ। কোনক্রমেই ঢিলেমি করে প্রকল্পের ব্যয় ও যুক্তিযুক্ত বিশেষ কারণ ছাড়া কোন প্রকল্পের মেয়াদ কোনক্রমেই বাড়ানো যাবে না। সরকারের পিপিআর মেনে স্বার্থ সুরক্ষা করেই শতভাগ ইজিপিতে ডাকা হচ্ছে সকল টেন্ডার প্রক্রিয়া। যাতে করে অযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনক্রমেই অংশ নিতে না পারে তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ঠিকাদারগণ যাতে করে দুর্বল বা নিম্নমানের স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য মাঠপর্যায়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। অযোগ্যদের টেন্ডারবাজি বন্ধের মাধ্যমে যার ফল আমরা পেতে শুরু করেছি। এছাড়া চলমান সকল কাজে নতুন করে গতি আনতে কোয়ালিটি কোয়ানটিটি ও কুইক (থ্রি কিউ) পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জনাব আশরাফ বলেন, এ সকল কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা দেখভালে আমরা এই প্রথমবারের মতো গণপূর্ত অধিদফতরের পক্ষ থেকে মনিটরিং করতে সরকারী সকল স্থাপনা সংক্রান্ত কাজ দেখভালে উচ্চ পর্যায়ের ৫ বিশেষ কমিটি গঠন করেছি। এগুলো হচ্ছে কার্যপরিধি নির্ধারক কমিটি, প্রক্রিউরমেন্ট এ্যান্ড টেন্ডার ডিসপ্যারাল সংক্রান্ত কমিটি, জনসংযোগ প্রচার ও লিয়াজোঁ উইং কমিটি, অনুসন্ধান ও মূল্যায়ন কমিটি ও প্রকল্প প্রণয়ন ও নক্সা সংক্রান্ত কমিটি। উক্ত কমিটির সদস্যরা নিয়মিত সারাদেশের সকল তথ্য নিয়মিতভাবে সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে প্রদান করবেন। এরপর প্রধান প্রকৌশলী প্রয়োজন অনুযায়ী উর্ধতনদের সাহায্যে সরকারের এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে কমিটির দেয়া সুপারিশসমূহ অনুযায়ী পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন। প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ৫ কমিটি বাস্তবায়ন হওয়া ও বাস্তবায়ন হবে এমন যে কোন ক্ষুদ্র বা বৃহৎ প্রকল্পে কোন প্রকার ত্রুটি দেখা দিলে তা খুঁজে বের করবে। কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে আসা যে কোন অভিযোগ তদন্ত করবেন। এখন থেকে কোন প্রকল্পেই অনিয়ম দুর্নীতি বা কাজে অবহেলার যে কোন অভিযোগ পেলে অতি দ্রুততার সঙ্গে তার সঠিক সমাধান করা হচ্ছে। অভিযোগ এলেই তার কার্যকরী সমাধান করে কাজের গতি স্বাভাবিক করতে ও নির্দিষ্ট সময়েই সকল প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সবাইকে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কমিটি গঠনের মাধ্যমে সারাদেশের সকল প্রকার টেন্ডারবাজি রোধ করা, নির্মাণ কাজে অনিয়ম বন্ধ করা, প্রকল্প এলাকা নিয়মিত সরেজমিনে পরির্দশন করা, যে কোন প্রকল্প গ্রহণের আগে তার সম্ভাব্যতা যাচাই করাসহ নানা উদ্যোগ দ্রুততার সঙ্গেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কমিটির তদন্তে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ে অবহেলা বা দুর্নীতির প্রমান পেলে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হবে। এরসঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। মূলত গণপূর্তকে স্থাপনা নির্মাণে আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ চলছে।
×