ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পকারখানা নির্মাণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পকারখানা নির্মাণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কৃষি জমি ও বসতবাড়ি রক্ষার্থে কৃষি জমিতে নয়, অর্থনৈতিক অঞ্চলে বা ইকনোমিক জোনে শিল্পকারখানা নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল বর্জ্যরে সঙ্গে সব ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই নির্দেশনা দেন একনেক চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিংসহ ৪ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে ৬২৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ১৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাসহ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গিস। ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গ্রাম অঞ্চলে অধিকাংশ স্থানে মারামারি ও ঝগড়ার মূল কারণ জমি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জমির সব কাগজ ডিজিটাল হয়ে যাবে। তাছাড়া জোনিং হলে জমির চরিত্র কী তা সহজেই জানা যাবে। জমি খাস, অর্পিত, আবাদি না কি জলাভূমি তার সবকিছু সহজেই জানা যাবে ভূমি জোনিংয়ের মাধ্যমে। আমাদের কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যেখানে সেখানে শিল্পকারখানা নির্মাণ করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্প এলাকায় শিল্পকারখানা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। কৃষি জমি ও বসতবাড়িতে কোন শিল্পকারখানা না করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ব্যবসা করতে চান বা শিল্প করতে চান, তাহলে শিল্প এলাকায় যান। বাড়ির পাশের ধানের জমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন করবেন কেন? আমরা উৎসাহ দেব, আপনারা শিল্প এলাকায় এসে শিল্পকারখানা স্থাপন করেন। সেখানে আপনারা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। গ্যাস, রাস্তা, ব্যাংক সব পাবেন। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে-বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ভৈরব নদ পুনঃখনন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আর নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি উপজেলার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে খাল পুনঃখনন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
×