অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আইপি সুরক্ষা, রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট (আরওআই) প্রযুক্তির মতো নানাবিধ সুবিধার কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে অন্যান্য সমমানের বাজারগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। তাই প্রযুক্তি এবং জ্ঞান স্থানান্তরের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।
দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সঙ্গে ‘বাইল্যাটের্যাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ ইন দ্য অনগোয়িং গ্লোব্যাল প্যানডেমিক’ শীর্ষক একটি ক্লাউড সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান দেশের ব্যবসায়ীরা। সোমবার অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দ্বিমুখী বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার বাজার প্রবেশ সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ডিসিসিআইয়ের সভাপতি নাইজেল ওয়ার্ড এবং সিইও পলেসা ফিলি মহামারি-পরবর্তী পরিস্থিতিতে উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মশতবার্ষিকী। আজকের আয়োজনটি তার নিরলস প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং এটি বিশ্বব্যাপী ৫১টি দেশে ১২৯টি অংশীদার সংস্থার সাথে আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততারই একটি অংশ।
২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যকার ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিষয়টি উল্লেখ করে ফজলে ফাহিম জানান, ফার্মা, আইসিটি, এফএমসিজি, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং ব্যাংকিং ও শিপিংয়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে দু’দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক সংস্থা একসাথে কাজ করে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।
সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি পরিপূরক হিসাবে এফবিসিসিআইয়ের অ্যাডভোকেসির অবিচ্ছিন্ন অংশগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা যখন স্বাভাবিকতার দিকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, তখন আমাদের অর্থনৈতিক বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। কেননা জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক রিজার্ভ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এফবিসিসিআই তার সক্রিয় অ্যাডভোকেসি এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে বিস্তৃত পরিসরে আর্থিক ও অ-আর্থিক ব্যবস্থাসহ আর্থ-সামাজিক এজেন্ডা নিয়ে আগামী তিন বছরের জন্য একটি শক্তিশালী রোডম্যাপ প্রণয়নে সক্ষম হয়েছে।
এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ঘুরে দাঁড়ানোর এই সময়ে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা আমাদের দক্ষিণ-আফ্রিকার অংশীদার এবং ডিসিসিআইয়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবো এমনটাই আশা করছি। এফবিসিসিআই সভাপতি শিপবিল্ডিং, অটোমোবাইল শিল্প, রাসায়নিক এবং সমুদ্র অর্থনীতিতে একসাথে কাজ করার লক্ষ্যে কীভাবে উভয়পক্ষের যুক্ত হওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে ডিসিসিআইকে আবারও আশ্বস্থ করেন।