ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লালমনিরহাটের তিস্তায় বন্যার পানি কমছে ॥ বাড়ছে নদী ভাঙ্গন

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

লালমনিরহাটের তিস্তায় বন্যার পানি কমছে ॥ বাড়ছে নদী ভাঙ্গন

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সেই সাথে নদী ভাঙ্গণ তীব্র আকার ধারণ করেছে। তিস্তা পাড়ের বেশ কয়েকটি গ্রামে তীব্র ভাঙ্গণের মুখে প্রায় শতাধিক পরিবার ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীণ হয়ে গেছে। পরিবার গুলো নিঃস্ব হয়ে রাস্তায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এমন কী নদী ভাঙ্গন রোধে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিস্তা পাড়ের মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্পার-২ বাঁধটির প্রায় বেশির ভাগ অংশ নদী গর্ভে বিলীণের পথে। তিস্তা পাড়ে হঠাৎ তীব্র ভাঙ্গণ দেখা দেয়ায় মানুষ আতংকিত হযে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্পার-২ বাঁধের একটি বড় অংশ তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও গ্রামবাসী দ্রুত বালুর বস্তা নদীতে ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি তিস্তা পাড়ের হতে একটি প্রভাবশালী মহল দিনরাত প্রশাসনের চোখের সামনে অবৈধভাবে নদীর বালু তুলে বিক্রি করায় নদীর তলদেশে বিশাল গর্তের ও ব্লাকহোল্ড সৃষ্টি হয়েছে। ফরে তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। যার কারণে সলেডি স্পার-২ বাঁধটিতে ভাঙ্গণ তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে। এ বছর পর পর ৬ দফা বন্যার সৃষ্টি হয় তিস্তা ওধরলা পাড়ে। পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জেলার তৃতীয়াংশ পানিতে ডুবে আছে। গত ২৪ ঘন্টায় কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি নেমে যাচ্ছে। নদীর পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে তিস্তা নদীর পানির প্রবল স্রোত আঘাত হানতে শুরু করেছে মহিষখোচা সলেডি স্পার-২ বাঁধটিতে। গ্রামবাসী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত বালুর বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে রাজপুর সলেডি স্পার- ৩ টি ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়ে ছিল। এই র্স্পার বাঁধটিরও তলদেশ লিকেজ হয়ে গেছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে বাঁধ ও র্স্পার গুলো ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, তিস্তা ও ধরলার পানি বেড়ে যাওয়ায় ২৯টি পয়েন্টে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে জরুরী নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ করছে। তিস্তা ও ধরলায় নদী ভাঙ্গন দেকা দিয়েছে সদরের কুরুল, খারুয়া, চওড়াটারি, বুমকা, শিবের কুটির, দক্ষিণ শিবের কুটির, চর গোকুন্ড, মধুরাধ, রাজপুর। আদিতমারী উপজেলার চন্ডিমারী, গোর্বধন, বালাপাড়া, মহিষখোচা স্পার টু। কালিগঞ্জের শিয়ালখাওয়া, দক্ষিণ ভোটমারি। হাতীবান্ধার সির্ন্দনা, গড্ডিমারি, উত্তর ডাউয়া বাড়ি । পাটগ্রামের সরদারপাড়া, ব্যাংকান্দা, ডুবেহাটা, বাংলাবাড়ি, কুমারপাড়া ও ভাটিয়াপাড়া।
×