ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কালকিনিতে সরকারী স্কুলের জমি দখল করে দুইটি ঘর নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

কালকিনিতে সরকারী স্কুলের জমি দখল করে দুইটি ঘর নির্মাণের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জোরপূর্বক দখল করে দুইটি ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ জমি বেদখলের ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও স্থানীয় জনগন। এ দখলের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সরেজমিন ও লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার রমজানপুর এলাকার ১৫০ নং দক্ষিন রমজানপুর মৌজার বিআরএস ১/৬ (প্রস্তাবিত) নং খতিয়ানে ও ০১ নং দাগে ১৬ শতাংশ জমি রয়েছে। এ জমির উপর ১৯১ নং দক্ষিন রমজানপুর রাশিদা আক্তার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ বেশ কিছুদিন ধরেই শুরু করা হয়। বিদ্যালয়ের নামে ওই জমি দান করেন দক্ষিন রমজানপুর এলাকার আক্তার হোসেন খাঁন। তিনি বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের পাশের কিছু জমি জোরপুর্বক ভাড়াটে লোকজন নিয়ে রমজানপুর ইউপি চেয়ারমান মোঃ ইউনুস আলীর নাম ভাঙ্গিয়ে দখল করে দুইটি টিনসেটের ঘর তুলেছেন একই এলাকার সেনোরা বেগম। এতে করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ও স্থানীয় জনগন। এ দিকে জমি দখলের ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাদারীপুরে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালতও বিদ্যালয়ের পক্ষে রায় প্রদান করেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিমউদ্দিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস আলী বেপারীর শক্তি দেখিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করেছে সেনোয়ার ও তার লোকজন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন খাঁন বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের জমি জোরপূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস আলী জড়িত রয়েছে। বিদ্যালয়ের পক্ষে কোর্টের রায়ও আছে। তাই আমরা এখন আবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সাইফুল ইসলামের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযুক্ত সেনোয়ারা বেগম বলেন, যে জমিতে বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। সে জমি আমার স্বামীর। তাই আমি ঘর নির্মাণ করেছি। রমজানপুর এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস আলী বেপারী ঘটনা অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশন (ভুমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, স্কুলের জমিতে ঘর উত্তোলনের বিষয় অভিযোগ পেয়েছি। এবং সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
×