ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দীপিকার ‘ইমোশনাল কার্ড’

প্রকাশিত: ০০:৪৪, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

দীপিকার ‘ইমোশনাল কার্ড’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর সময় পেরিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মাস। এই সময়ের মধ্যে কম করে হলেও কুড়িটা সিনেমা বলিউড থেকে মুক্তি পেত! তৈরি হতো নতুন নতুন রেকর্ড। কিন্তু অকালে এক তারকার খসে পড়ার দরুন যেন পুরো বলিউডে শুরু হয়েছে সৌরঝড়। নতুন সিনেমা কিংবা সিনেমা খবর এখন গৌণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দিন খবরের পাতায় যুক্ত হচ্ছে তারকাদের বেহিসেবী জীবনের কড়চা। তেমনই এক কড়চা প্রকাশিত হয়েছে বলিউড হার্টথ্রব দীপিকা পাড়ুকোনের। ইতোমধ্যে সবাই জেনেছেন তিনি মাদক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার দায়ে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরার মুখে নিজের অসহায়ত্ব প্রমাণ করেছেন। কেমন ছিল তার জন্য সেই জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব? পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ। এনসিবি সূত্রে খবর, জেরা চলাকালীন তিনবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন দীপিকা। এর জন্য ধমকও খেয়েছেন এনসিবি কর্তাদের থেকে। জেরার মাঝে কিছু সময়ের জন্য ম্যানেজার করিশ্মার মুখোমুখি বসানো হয়েছিল দীপিকাকে। আর তখনই মাদক চ্যাট নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি দীপিকা, এনসিবি সূত্রে জানা যাচ্ছে তেমনটাই। পাঁচ সদস্যের একটি টিম জেরা করছিল দীপিকাকে। তদন্তকারী দলটিতে ছিলেন মহিলা আধিকারিকও। বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, এনসিবির তরফে দীপিকাকে কড়া ভাষায় ‘ইমোশনাল কার্ড’ ‘খেলতে’ বারণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি। জেরায় দীপিকা স্বীকার করে নেন, ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের সঙ্গে ফাঁস হওয়া তাঁর সেই বিতর্কিত মাদক সংক্রান্ত চ্যাট সত্যি। তবে একই সঙ্গে দাবি করেন, মাদক নিয়ে আলোচনা করলেও তিনি নিজে কোনদিন মাদক নেননি। হোয়াটসএ্যাপে ‘মাল হ্যায় ক্যা’ বলে তিনি যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন করিশ্মাকে সেটাও মাদক নিয়ে নয় বলে দীপিকার দাবি। করিশ্মাও কাল বলেন, দীপিকা স্বাস্থ্যসচেতন, তিনি মাদক সেবন করেন না। কোন কোন সূত্রের দাবি, দীপিকা কিছু ক্ষেত্রে জবাব এড়িয়ে গেছেন বা শেখানো কথা বলছেন বলে মনে হয়েছে এনসিবির। প্রয়োজনে তাঁকে ফের ডাকা হতে পারে। ইতোমধ্যেই দীপিকার ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি।
×