ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জিরো টলারেন্সে শেখ হাসিনা সরকার, অপরাধীর ছাড় নেই

প্রকাশিত: ২২:১১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

জিরো টলারেন্সে শেখ হাসিনা সরকার, অপরাধীর ছাড় নেই

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনায় অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশে আইন নিজস্ব গতিতে চলছে। বিচার বিভাগের উপর সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই। দেশের মানুষ দেখেছে নিজ দলের সমর্থক কিংবা নেতারা অপরাধী হলেও সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধা দেয়নি। এমসি কলেজের ঘটনায়ও শেখ হাসিনার সরকার কঠোর অবস্থানে। অপরাধী যেই হোক ছাড় পাবে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এই আলোচনা সভা ও কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের বীজ বিতরণ এবং বিভিন্ন হাসপাতালে মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের তার সরকারী বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি উপনির্বাচনে অংশ নেয়ায় আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এক ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ। নির্বাচনে প্রচার না চালিয়ে, পোলিং এজেন্ট না দিয়ে, মাঠে না থেকে অভিযোগ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিএনপির যে পুরনো কৌশল তাতে মরিচা ধরে গেছে। তিনি বলেন, জনগণ আর বিএনপির মিথ্যাচার বিশ্বাস করে না। কর্মীরা নির্বাচন করতে চাইলেও নেতারা দিচ্ছে না। তারা জনগণের মনের কথা তো বুঝতেই পারে না, দলের কর্মীদের মনের কথাও বুঝতে পারে না। লোক দেখানো অংশগ্রহণের বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে হারার আগেই হেরে যাওয়ার দ্বান্দ্বিক বৃত্ত থেকে বিএনপি এবারও বেরিয়ে আসতে পারেনি। স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণের উপনির্বাচনে অংশ এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করার মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি জনমানুষের আস্থা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। শিল্পাচার্য জয়নুলের চিত্রকর্মের আটকে পড়া গরু গাড়ির মতো বিএনপির রাজনীতি এখন মিথ্যাচারের চোরাবালিতে আটকে আছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বিরামহীনভাবে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও কারান্তরীণ করছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। আমরা মনে করি, এ অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির চিরাচরিত মিথ্যাচার। বিএনপির কোন কেন্দ্রীয় নেতাকে কিংবা কোন জেলা পর্যায়ের নেতাকে গ্রেফতার করেছে, জেলে দিয়েছে বলুন। সরকার দমননীতিতে বিশ্বাসী নয়, বরং আপনাদের (বিএনপি) সঙ্গে মানবিক আচরণ করছে। বেগম জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিতে মানবিকতার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। সেটা কি বিএনপি নেতারা ভুলে গেছেন? শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ না থেকে বিএনপি অবিরাম মিথ্যাচারের ফানুস উড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতির মাধ্যমে মানবকল্যাণই শেখ হাসিনার রাজনীতির দর্শন। তার রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো জনগণের জীবনমান উন্নয়ন। তিনি বাংলার মেহনতি-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তিনি যেমন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি উদার গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। তিনি বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলে দিয়েছেন, আমার জন্মদিবস করোনাকালে হল ভাড়া করতে হবে- এটা আমি চাই না। আমর যেটা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলাম, নেত্রীর অনিচ্ছার কারণে তা বাতিল করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল করব। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতুল্লাহ এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ মফিজুর রহমান।
×