ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এর মৃত্যুতে আইনমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এর মৃত্যুতে আইনমন্ত্রীর শোক

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। মন্ত্রী আজ এক শোকাবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শোকাবার্তায় আইনমন্ত্রী বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে তিনি প্রায় ৪০ বছর যাবৎ চিনেন ও জানেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাসহ অনেক মামলা একসঙ্গে পরিচালনা করেছেন। তাই মরহুমের সঙ্গে তাঁর অনেক স্মৃতি রয়েছে। মরহুম মাহবুবে আলম নিজ কর্মগুণেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর কাছে ও দেশের মানুষের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে দেশের আইন অঙ্গনে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি হলো। উল্লেখ্য অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম (৭১) আজ সন্ধ্যা ৭:২৪ মিনিটে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। জ্বর ও গলা ব্যাথা নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ওই দিনই করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গত শনিবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। মাহবুবে আলম ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উক্ত পদে বহাল ছিলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মাহবুবে আলম ১৯৪৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলার বর্তমান লৌহজং উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী নেওয়ার পর ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন তিনি। এরপর ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী এবং ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি ২০০৪-২০০৭ মেয়াদে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৩-৯৪ ও ২০০৫-২০০৬ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির যথাক্রমে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
×