স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী নগরীর পদ্মায় আনন্দ ভ্রমনে গিয়ে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম সূচনা (২২) ও তার ফুপাতো ভাই রিমনের (১৪) সন্ধান এখনো মেলেনি। ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টার বেশী সময় অতিবাহিত হলেও কোথাও তাদের সন্ধান মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে পদ্মার প্রবল স্রোতে তাদের সলিল সমাধি হয়েছে। তারপরেও রাজশাহী দমকল বাহিনীর ডুবুরি দল রবিবার পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তাদের না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় নৌকাডুবির পর থেকে তাদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আজ রবিবার বিকেল পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি। নগরীর উপকণ্ঠ হারুপুর নবগঙ্গায় এ নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণে বেঁচেছেন মাঝিসহ ১৩ জন।
রাজশাহী নগর নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি মাসুদ জানান, নদীতে নৌকা ভ্রমণে লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক। কিন্তু শুক্রবার নৌকার মালিকরা যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট না পরিয়ে নৌকায় উঠান। তারাও নিখোজ দুই শিক্ষার্থীর খোজ অব্যাহত রেখেছে।
নৌকাডুবিতে নিখোঁজ সাদিয়া ইসলাম সূচনা রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর বিবিএ তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় নিখোঁজ তার ফুপাতো ভাই রিমন স্থানীয় স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি নুরুন্নবী বলেন, নদী ভাঙনের কারণে যে আবর্জনা তৈরি হয় সেগুলো নদীতে জমে যাওয়ার কারণে ডুবুরিদের সঠিকভাবে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তবুও আমরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। যতক্ষণ নিখোঁজ দুইজনকে পাওয়া না যায় ততক্ষণ এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রাজশাহী ফায়ার সাভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, শুক্রবার বিকেলে ১৩ জন যাত্রী একটি ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে পদ্মা নদীতে ঘুরছিল। এ সময় নবগঙ্গা এলাকায় পদ্মায় নৌকাটি ডুবে যায়। ১১ জন যাত্রী স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ও সাঁতরে তীরে উঠে আসে। বাকি দুইজন নিখোঁজ রয়েছে।
নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের ওসি এমএম মাসুদ পারভেজ বলেন, ওই নৌকাতে যারা ছিল তারা সবাই একই পরিবারের। তাদের বাড়ি পবা উপজেলার দামকুড়া থানার খোলাবনা গ্রামে। বেড়ানোর জন্য তারা বের হয়েছিল। পরে নৌকা ভাড়া করে পদ্মায় তারা ঘুরছিল।
