ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

স্টাফ রিপোর্টার,কুড়িগ্রাম ॥ অবিরাম বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রক্ষপুত্র, তিস্তা দুধকুমোর সহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টির কারণে বন্যা কবলিত মানুষরা চরম দুর্ভোগে শুধু মাত্র পলিথিন টাঙ্গিয়ে রাত কাটাচ্ছে। বন্যার কারণে নিম্নাঞ্চল গুলো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। মানুষ নৌকায় ও ভেলায় চলাচল করছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্যাক্রান্ত হওয়ায় মানুষজন পড়েছে ভোগান্তিতে। পানি বাড়া আর কমার কারণে নদ-নদী গুলোর তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পঞ্চম দফা বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজেলার শতাধিক চর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। এ সব শ্রমজীবি মানুষ কাজ না পেয়ে তাদের পরিবার নিয়ে খাদ্য সংকটে পড়েছে। তারা শুকনো খাবার চাচ্ছে। জেলার উলিপুর, কুড়িগ্রাম সদর, রৌমারী, রাজিবপুর রাজরহাট ও চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলার ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। ঘর-বাড়ি হারিয়ে মানবেতর দিন পাড় করছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষজন। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মইনুদ্দিন ভোলা জানান, নদীর তীব্র স্রোতে যাত্রাপুরের গারুহারা গ্রামে গত দুইদিন ধরে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন ঠেকানোর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানায়, উজানে অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের ৬৭টিরও বেশি পয়েন্টে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন ঠেকানোর জিও ব্যাগ ফেলে সাময়িক ভাবে কাজ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে দুদিনে ২ হাজার শুকনো খাবার বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে বিতরণ করেছে। তার কাছে ৪শ মেঃ টন চাল ও ৫ লক্ষ টাকা মজুদ আছে। জরুরী ভিত্তিতে তা বিতরণ করা হবে।
×