ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুনীল অর্থনীতিতে পর্যটন এবং আমাদের প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

সুনীল অর্থনীতিতে পর্যটন এবং আমাদের প্রস্তুতি

সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমি হচ্ছে সমুদ্র সম্পদনির্ভর অর্থনীতি তথা সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার সম্পদকে যথাযথ কাজে লাগিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত করার অর্থনীতি। সমুদ্রের মৎস্য, প্রাণিজ ও বৃক্ষজ সম্পদ, খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, পানিসম্পদ, যাত্রী ও পণ্য পরিবহন, সামুদ্রিক ও সমুদ্র সৈকত, উপকূলীয় ও দ্বীপ পর্যটনের বিকাশ, উপকূলীয় অঞ্চলের নানাবিধ সম্পদ ও সম্ভাবনা, শিক্ষা, গবেষণা, স্থাপত্যশিল্পসহ নানামাত্রিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করাই সুনীল অর্থনীতির লক্ষ্য। ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঞৎরনঁহধষ ড়ভ ঃযব খধি ড়হ ঃযব ঝবধ (ওঞখঙঝ) কর্তৃক ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখ বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এবং টহরঃবফ ঘধঃরড়হং চবৎসধহবহঃ ঈড়ঁৎঃ ড়ভ অৎনরঃৎধঃরড়হ (টঘচঈঅ) কর্তৃক ৭ জুলাই ২০১৪ তারিখ বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সমুদ্র এলাকায় মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গমাইল এলাকায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ বিজয়ের ফলে আমাদের এলাকাভুক্ত সমুদ্রের বাংলাদেশের অংশ ‘উন্নয়নের নতুন ক্ষেত্র’ রূপে গণ্য হয়ে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের স্থলভাগে যে পরিমাণ সম্পদ বিদ্যমান তার সঙ্গে তুলনা করে বলা যায়, এই সম্পদের প্রায় সমপরিমাণ (৮১ শতাংশ) সম্পদ সমুদ্র তলদেশে আছে। সমুদ্রের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখতে এরই মাঝে শুরু করেছে ১৯টি মন্ত্রণালয়, এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত হয়েছে ‘ব্লু-ইকোনমি সেল’। বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন (২০১৮) অনুযায়ী আমাদের সমুদ্র দেশের অর্থনীতিতে মোট মূল্য সংযোজনে ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা জিডিপিতে ৩ শতাংশ অবদান রাখছে। এ অর্থনীতি মূলত পর্যটন ও বিনোদন (২৫ শতাংশ), মৎস্য আহরণ ও এ্যাকুয়াকালচার (২২ শতাংশ), পরিবহন (২২ শতাংশ) এবং তেল ও গ্যাস উত্তোলন ( ১৯ শতাংশ) নিয়ে গঠিত। মৎস্য আহরণ ও এ্যাকুয়াকালচারে পূর্ণ ও খণ্ডকালীন মিলিয়ে ১৩ লাখ লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। অন্যদিকে লবণ উৎপাদন ও জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে নিয়োজিত আছে প্রায় ৬০ লাখ লোক। বাংলাদেশ যে অঞ্চলের মালিকানা পেয়েছে, সেখানে অন্তত চারটি ক্ষেত্রে কার্যক্রম চালানো হলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ কোটি মার্কিন ডলার উপার্জন এবং এসডিজি অর্জন করা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এই ক্ষেত্র চারটি হলো তেল-গ্যাস উত্তোলন, মৎস্য ও প্রাণীজ সম্পদ আহরণ, সমুদ্র বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও পর্যটন বিকাশ। সামুদ্রিক পর্যটনে অপার সম্ভাবনার নাম বাংলাদেশ। বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে ৭১০ কিলোমিটার লম্বা উপকূল রেখা এবং ৪৭ হাজার ২০১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপকূলীয় সংলগ্ন দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ। উপকূল ও সমুদ্রে ছোট-বড় সব মিলিয়ে মিলিয়ে রয়েছে ৭৫টি দ্বীপ, রয়েছে প্রাণবৈচিত্র্যসমৃদ্ধ এলাকা; যেগুলো পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আমাদের রয়েছে গভীর সমুদ্রের জলজ প্রাণবৈচিত্র্য, প্রবাল বসতি, সামুদ্রিক ঘাসকেন্দ্রিক জলজ বসতি, বালুময় সমুদ্রসৈকত, বালিয়াড়ি, জলাভূমি, প্লাবন অববাহিকা, মোহনা, উপদ্বীপ, নানা ধরনের দ্বীপ এবং ম্যানগ্রোভ। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল এবং মহীসোপানের পর্যটনের সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে সরকার সপ্তম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনার অধীন সুনীল অর্থনীতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে, যেখানে পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা (এসডিজি) বাস্তবায়নে পর্যটনের ভূমিকা বাড়াতে সামুদ্রিক পর্যটনে জোর দিতে হবে। ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১’ সুনীল অর্থনীতি ও পর্যটনকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এবং ভারতের স্বাক্ষরিত ‘গবসড়ৎধহফঁস ড়ভ টহফবৎংঃধহফরহম ড়হ চধংংবহমবৎ ধহফ ঈৎঁরংব ঝবৎারপবং ড়হ ঃযব ঈড়ধংঃধষ ধহফ চৎড়ঃড়পড়ষ’ অনুযায়ী মার্চ, ২০১৯ মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রুজ চালু হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের ও বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মধ্যে ক্রুজ সার্ভিস পরিচালনার জন্য প্রটোকল তৈরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সারা বিশ্বে ক্রুজশিপ বিনোদনের এক অন্যতম মাধ্যম। লাখ লাখ মানুষের বিনোদন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এই প্রমোদতরী। প্রতিবছর প্রায় ৪৫টি সীক্রুজ ভারতের কোচিন, গোয়া, মুম্বাই, চেন্নাই, শ্রীলঙ্কা হয়ে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে মিয়ানমারসহ অন্যান্য ডেসটিনেশনে যাতায়াত করে। এ ক্ষেত্রে এক্সটেন্ডেড সীক্রুজ ট্যুরিজম হিসেবে বাংলাদেশকে সংযোগ করা গেলে বাংলাদেশ অনেক লাভবান হবে। আফরোজ শিপিং লাইন নামীয় একটি বেসরকারী কোম্পানি বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলে প্রমোদতরী সীক্রুজ চালুর প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ লক্ষ্যে আমেরিকার বিখ্যাত বিলাসবহুল ক্রুজ লাইনার কোম্পানি রয়েল ক্যারাবিয়ানের ১২ তলা বিশিষ্ট পাঁচতারকা বিলাসবহুল প্রমোদতরী এমভি ‘ম্যাজেস্ট্রি অফ দ্য সিস’ এবং ‘ইমপ্রেস অফ দ্য সিস’ ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য এটি অন্যতম আকর্ষণীয় ডেসটিনেশন হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা বিধানের জন্য ঞযব এষড়নধষ গধৎরঃরসব উরংঃৎবংং ধহফ ঝধভবঃু ঝুংঃবস (এগউঝঝ) চালুর পাশাপাশি দুবলারচর, কুয়াকাটা, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, ঢালচর ও নিঝুমদ্বীপে ঈড়ধংঃধষ জধফরড় ঝঃধঃরড়হ ও লাইট হাউজ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এর মাধ্যমে পর্যটনবাহী জাহাজসহ অন্যান্য জাহাজের এবং উপকূলীয় অঞ্চলে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কক্সবাজারে আগত দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বেসরকারী পর্যায়ে প্যারা স্পাইডিং, বীচ স্কুটার ইত্যাদি জলজ ক্রীড়া চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। ওই স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করার মাধ্যমে স্পোর্টস ট্যুরিজমকে বিকশিত করা হয়েছে। তাছাড়া সী-বীচ এলাকায় সাক্রাইন উৎসব, সাইক্লিং, মেরাথন, বালু ভাস্কর্য ইত্যাদি সীমিত আকারে হয়ে থাকে। কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য সীমানা বর্ধিতকরণসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন পর্যটনের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় পর্যটন জেলাসমূহে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও এর আশপাশের সর্বমোট ১ হাজার ৭৪৮ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্টমার্টিন মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া’ হিসেবে ঘোষণার জন্য ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় প্রণীত মহাপরিকল্পনায় মেরিন ড্রাইভকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত হোটেল-মোটেল, ইকো-কটেজ, রেস্তরাঁ ও বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। টেকসই পর্যটন উন্নয়নের জন্য সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণের পাশাপাশি এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে কক্সবাজারস্থ আশ্রয় প্রকল্পের আওতায় শেখ হাসিনা টাওয়ার, এথনিক ভিলেজ, সমুদ্র ভ্রমণ কমিউনিটি ট্যুরিজম উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক প্রস্তাব করা হয়েছে। পিপিপি বা জিটুজি প্রস্তাবিত মোটেল উপল এবং প্রস্তাবিত সমুদ্র সম্পদসমূহ প্রদর্শনের নিমিত্ত মেরিন একুরিয়াম স্থাপনের বিষয়টি এখন সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। বাংলাদেশ সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উপকূলবর্তী এলাকায় একুয়া কালচারের জন্য স্থান নির্ধারণ ও উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। সম্প্রতি সেন্টমার্টিন দ্বীপের দূষণ ম্যাপ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়াও উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সেন্টমার্টিন এলাকায় প্রবাল পুনর্বাসন ও উৎপাদন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে কুয়াকাটা ও কক্সবাজারে ৩টি প্রজাতির সী-উইড বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু করেছে, যা অনেকটাই লাভজনক। সি-উইড ‘গ্যাস্ট্রোনমি ট্যুরিজম’ বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বছরে অতিরিক্ত দুই বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ তৈরি করতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে তিনটি পর্যটন পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। পার্ক ৩টি হলোÑ নাফ ট্যুরিজম পার্ক, সাবরাং ট্যুরিজ্ম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক। এ ট্যুরিজম পার্কগুলো স্থাপনের ফলে আগামী ৮ বছরের মধ্যে দুই লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশ অবস্থান বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ের ১২৭ থেকে দুই ডিজিটের ঘরে চলে আসবে। এ তিনটি পর্যটন পার্ক বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে সভা, কর্মশালা, সেমিনার ও জনসচেতনতামূলক সভা আয়োজন করে থাকে। তাছাড়াও গড়ে তোলা হয়েছে ইউএন ভলিন্টিয়ার গ্রুপ। পর্যটনের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতিতে অবদান রাখতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ০৭-১০ ডিসেম্বর ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কক্সবাজার ও ইনানী এলাকায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঋষববঃ জবারবি (ওঋজ)-২০২১ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় ৫৬টি দেশের নৌবাহিনীর প্রধানসহ নৌ-বহর এতে অংশগ্রহণ করবে। উক্ত অনুষ্ঠানে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে সমুদ্রকেন্দ্রিক পর্যটনকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অন্যতম অংশীজন হিসেবে কাজ করবে। পর্যটক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল এবং সমুদ্রের অপার সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে থাইল্যান্ডের পাতায়া, মালয়েশিয়ার লাংকাইউ, মালদ্বীপ কিংবা ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের মতো পর্যটকদের আকৃষ্ট করা যেত, অর্জন করা যেত প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। তবে আশার বাণী এই যে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড বহু আকাক্সিক্ষত পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। এজন্য বিদেশী একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরামর্শক সমুদ্র উপকূলীয় বীচ ও দ্বীপ যেমন, কক্সবাজার, সেন্টপার্টিন, কুয়াকাটা, সোনাদিয়া, মহেশখালী, সন্দ্বীপ, চর কুকরি মুকরি, হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ, সোনার চর, সুন্দরবন অঞ্চল এবং উপকূলীয় অঞ্চলসহ সমুদ্র এবং নদী পর্যটনের সম্ভাবনার উপর ফিজিবিলিটি স্টাডি করবেন। তাছাড়াও বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও অন্যান্য অঞ্চলের ‘বেক ওয়াটার ট্যুরিজম’ নিয়ে কাজ করবেন। তাছাড়াও ওহঃবমৎধঃবফ ঞড়ঁৎরংস জবংড়ৎঃ তড়হবং (ওঞজত) ড়ৎ ঃড়ঁৎরংস পষঁংঃবৎ এর সম্ভাবনা নিয়েও কাজ করবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যান করা হলে সুনীল অর্থনীতিতে পর্যটন নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করবে। এতে বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থান, অর্জিত হবে এসডিজি, শক্তিশালী হবে জাতীয় অর্থনীতি এবং অংশীদার হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘ভিশন ২০৪১’ অর্জনে। উপ-পরিচালক (উপ-সচিব), বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড
×