ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জনপ্রশাসনের সচিব ইউসুফ হারুণ, না ফয়েজ আহমেদ?

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

জনপ্রশাসনের সচিব ইউসুফ হারুণ, না ফয়েজ আহমেদ?

তপন বিশ্বাস ॥ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব কে? শেখ ইউসুফ হারুণ নাকি ফয়েজ আহমেদ! জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, জনপ্রশাসন সচিব হিসেবে রয়েছেন ফয়েজ আহমেদ (৪৫৯৬)। আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দফতরে গিয়ে দেখা গেছে, সচিবের দফতরে রয়েছেন শেখ ইউসুফ হারুণ। ওয়েবসাইটে জনপ্রশাসন সচিব হিসেবে ফয়েজ আহমেদকে বহাল রাখা হলেও তিনি বর্তমানে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন। আবার জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুণকে সেখানে দেখানো হয়েছে এপিডি উয়িংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব। ইউসুফ হারুণকে এপিডি পদ থেকে প্রায় দুই বছর আগে সচিব হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়। সেখানে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ছিলেন। প্রায় ১০ মাস আগে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু জনপ্রশাসনের ওয়েবসাইটে তিনি এখনও এপিডি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা। শুধু এখানেই শেষ নয়। জনপ্রশাসনের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, মোঃ রাকিব হোসেন (৪০১২) মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং সিপিটি উয়িংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। জানা গেছে, মোঃ রাকিব হোসেন বর্তমানে রেক্টর (সচিব) হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। ওয়েবসাইটে দেখানো শৃঙ্খলা উয়িংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন মোঃ মনির হোসেন (৪৮৩৩)। বাস্তবে তিনি পিআরএলে রয়েছেন। অন্যান্য অতিরিক্ত সচিব আলম আরা বেগম (৪৮৯৩), মোঃ রইচ উদ্দিন (৫৩১০) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নেই। অথচ তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বিভিন্ন উয়িংয়ের দায়িত্বে দেখানো রয়েছে। দুলাল কৃষ্ণ সাহাকে (৫৪৪০) অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন দেখানো হলেও মূলত তিনি বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের রেগুলার পদেও (মূল) অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন। বাংলাদেশের সর্বত্রই এখন ডিজিটালাইজড। যা কিছু বাকি আছে তাও দ্রুত করা হচ্ছে। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হলো প্রশাসনের মাদার মিনিস্ট্রি। সেই জনপ্রশাসনের হাল যদি এমন হয়, তাহলে অন্য মন্ত্রণালয়ের অবস্থা কি হতে পারে। মূলত কম্পিউটার সেলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কি দায়িত্ব পালন করে এটি তার উৎকৃষ্ট উদাহারণ। প্রায় দুই বছর আগে শেখ ইউসুফ হারুণ এপিডি উয়িং থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব নিয়ে চলে যান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এটি সংশোধন করার প্রয়োজন মনে করেনি সংশ্লিষ্টরা।
×