ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১৭শ’ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

১৭শ’ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের সুযোগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে দুই শ’ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যেখানে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৬ লাখেরও বেশি গ্রামীণ মানুষকে উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা সরবরাহ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে শুক্রবার অনুষ্ঠিত বিশ্ব ঋণদাতা সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই ঋণ অনুমোদন দেয়া হয় বলে শনিবার ঢাকা অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রুরাল ওয়াটার, স্যানিটেশন এ্যান্ড হাইজিন ফর হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্প বাস্তবায়নে এই ঋণ দেয়া হবে। এর আওতায় গ্রামাঞ্চলের প্রায় ছয় লাখ মানুষকে বড় ও ছোট পাইপের মাধ্যমে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও প্রকল্পটির আওতায় ৩৬ লাখেরও বেশি গ্রামীণ মানুষকে উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা সরবরাহ করা হবে। এই ঋণ দুই শতাংশ সুদসমেত পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেকের ঘরে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং মানুষকে হাত ধোয়ার যথাযথ পদ্ধতিতে উদ্বুদ্ধ করা হবে। যাতে করে কোভিড-১৯-এর মতো সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে তারা সুরক্ষা পায় এবং নিরাপদ থাকতে পারে। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ এবং ভুটানের কান্ট্রি ডিরেকটর মের্সি টেম্বন বলেন, সকলের জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করে এবং খোলা জায়গায় মলত্যাগের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তবে পানি ও স্যানিটেশনের মান এবং নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও জনশক্তি উন্নয়নের মধ্যকার যোগসূত্রটি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পটি পরিষ্কার পানি এবং স্যানিটেশন সেবা দেবে, যা ডায়রিয়াজনিত রোগ কমাবে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে স্টান্টিং কমাবে এবং পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের মান উন্নত করবে। বিশেষত অপেক্ষাকৃত দুর্বলরা এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন। এটি দেশের দারিদ্র্য হ্রাস করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। ২০১৭ সালে গ্রামাঞ্চলে মাত্র তিন শতাংশ পরিবারে পাইপযুক্ত পানির সংযোগ ছিল। এই বড় ও ছোট পাইপযুক্ত স্কিমগুলোতে বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রকল্পটি পরিবারের পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা উন্নত করতে ঋণ দেবে। এতে করে স্থানীয় উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবে। এছাড়াও, পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহের প্রকল্পের গুণমান এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে এবং স্যানিটেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
×