ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে ‘রিকভারি প্ল্যান’

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে ‘রিকভারি প্ল্যান’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা তা-বে ভয়াবহরূপে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে চাঙা করতে একটি ‘রিকভারি প্ল্যান’ তৈরি করেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পর্যটন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন, তার মধ্যে পর্যটন শিল্পও অন্তর্ভুক্ত। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে শনিবার অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি। সারাদেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রণালয়। সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন- সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস ও অন্যান্য কর্মকর্তা। জানা গেছে- ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়েছে। এ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন-সবার প্রচেষ্টায়, সবাইকে নিয়েই দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সর্বস্তরের জনগণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের যে সম্পদ আছে তাকে কাজে লাগিয়ে পর্যটনের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলো আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে। যেগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সেগুলো আস্তে আস্তে খুলে দেয়া হবে। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক ও পর্যটনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন শিল্পকে পরিচালনা করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করেছে। এই এসওপি অনুযায়ী স্থানীয় পর্যটন খাত পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তত্ত্বাবধানের জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি কঠোরভাবে তত্ত্বাবধান করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রে যায় সে জন্য বিভিন্নভাবে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য কাজ চলছে। অনলাইন সম্মেলনে মাহবুব আলী বলেন- বাংলাদেশের গ্রাম না দেখলে বাংলাদেশকে দেখা হবে না। বাংলাদেশের প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে আমাদের গ্রামগুলোতে। গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশ গ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত করবে। গ্রামীণ জনসাধারণকে পর্যটন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে ও তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কাজ করে চলছে। ভবিষ্যতে এ কাজের পরিধি বাড়ানো হবে। এ সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক বলেন, গ্রাম উন্নয়ন নিশ্চিত হলে পর্যটক নিশ্চিতভাবেই গ্রাম অঞ্চলে ভ্রমণ করতে যাবেন। পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে দেশে পর্যটনবান্ধব সংস্কৃতি তৈরি ও লালন করতে হবে। এ সম্পর্কে জনগণ ও পর্যটন অংশীজনদের সচেতন করার জন্য আমরা কাজ করছি। বর্তমানে দেশে আগের যে কোন সময়ের তুলনায় উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য টুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়। এখন দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা অনেকটাই নিরাপদ। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য টুরিস্ট পুলিশ নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম করার জন্য রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ অক্ষুণœ রয়েছে।
×