ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে করোনা রোগী শনাক্ত কমেছে

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

দেশে করোনা রোগী শনাক্ত কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দৈনিক বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা, হ্রাস পেয়েছে নতুন রোগী শনাক্ত ও পরীক্ষিত নমুনার সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ১১০৬ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৫১২৯ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১৭৫৩ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭৬৫ টিসহ এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৫টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক শূন্য ২৭ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ১০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ। শনিবার পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী। তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ২১ জন রয়েছেন। তাদের বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রামে ৮ জন, খুলনায় ১ জন, বরিশালে ১ জন, সিলেটে ২ জন এবং ময়মনসিংহে ১ জন রয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২২৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ৮৭০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৫৪ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৬২৮ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৮০ হাজার ৪৭৮ জনকে। আর প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৬৫৮ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৯৪৬ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩০৫ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৭৫ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৪ হাজার ৫৭০ জন। ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট মৃত্যুর শতকরা হারে দেখা গেছে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ২৪ জন যা শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৪২ জন যা শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১১৮ জন যা দুই দশমিক ৩০ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৯৪ জন যা ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬৬৮ জন যা ১৩ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩৮৯ জন যা ২৭ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী মারা গেছেন ২৫৯৪ জন যা ৫০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫৪৬ জন যা মোট মৃতের ৪৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৬০ জন যা মোট মৃতের ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ৩৩৬ জন যা মোট মৃতের ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৪২৯ জন যা মোট মৃতের ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ১৮৭ জন যা মোট মৃতের ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ২২৬ জন যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ৪১ জন, রংপুর বিভাগে ২৩৭ জন যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০৮ জন যা মোট মৃতের ২ দশমিক ১১ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যাসংখ্যা ১৩ হাজার ৬১৮টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৬৬৯ জন এবং খালি রয়েছে ১০ হাজার ৯৪৯টি শয্যা। দেশে মোট আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৫৪২টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৯০ জন এবং খালি রয়েছে ২৫২টি আইসিইউ শয্যা। দেশে মোট অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১৩ হাজার ২৫৭টি, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে ৫২২টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে ৩৪২টি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৯৯২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০০ জন, খুলনা বিভাগে ২১৮ জন, সিলেট বিভাগে ৫০ জন, ময়মনসিংহে ৫ জন এবং রংপুর বিভাগে ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য বাতায়নের নম্বরে ৭৯৩০টি, ৩৩৩ নম্বরে ৪৩ হাজার ২১০টি এবং আইইডিসিআর-এর নম্বরে ১৫০টি, অর্থাৎ মোট ৫১ হাজার ২৪৫টি কল এসেছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহে ২৩৯০ জন, সমুদ্রবন্দরসমূহে ২৩৮ জন এবং স্থলবন্দরসমূহে ১৩৮ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
×