ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিনিয়োগ আকর্ষনে মানসম্মত ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ’

প্রকাশিত: ২০:১২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

‘বিনিয়োগ আকর্ষনে মানসম্মত ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষনের জন্য বহুজাতিক কোম্পানীসমূহকে ‘ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড’-এর আওতায় আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুসরণ করতে হয় এবং ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের জন্য ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং-এর গাইডলাইন আরো সহজীকরন এবং ব্যবহার বান্ধব করা প্রয়োজন। শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট ২০১৫ : ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে-এর প্রভাব’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন তিনি। শামস মাহমুদ বলেন, মানসম্মত অডিট রিপোর্ট প্রস্তুতকরন ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেটি দেশের ব্যাংকিংখাতের খেলাপী ঋণ চিহ্নিতকরনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের পুঁজিবাজারে এখনও কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি, এছাড়াও দেশের জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান সারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশসমূহের মধ্যে সবচেয়ে কম, এ অবস্থা উন্নয়নে লিস্টেট ও নন-লিস্টেট কোম্পানীসমূহের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্ট অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মোসলেম চৌধুরী বলেন, আমাদের ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিষয়াদির পাশাপাশি জনস্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও বিবেচনা করে থাকে। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ কাউন্সিলের কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ ও দৃশ্যমান করার উপর জোরারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডর্ড (আইআরএফএস)’ অনুসরণের ক্ষেত্রে আমাদের আবশ্যই নিজেদের সক্ষমাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং আমাদের এসএমই খাত এখনই আইআরএফএস-এর গাইড লাইন অনুসরনের জন্য প্রস্তুত হতে পারেনি, তাই এ বিষয়টি নিয়ে সকলেরই যতœবান হতে হবে। তিনি ফাইন্যান্সিয়াল কাউন্সিল এবং এখাতে প্রফেশনালদের মধ্যে সমন্বয় আরো বাড়নোর প্রয়োজন। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে আগামী ১০ বছরের মধ্যে আইওটি এবং মেশিন লার্নিং ব্যবস্থা আরো সহজলভ্য হলে, আমাদের প্রথাগত অডিট রিপোর্টের ব্যবস্থা কে যুগোপোযোগী করার জন্য আইসিএবি ও আইসিএমএবি-এর প্রতিষ্ঠানগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পানা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও তিনি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও গর্ভানেন্স বাড়ানোর আহ্বান জানান। সম্মানিত অতিথি’র বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংক-এর পরিচালক আফতাব-উল ইসলাম, এফসিএ বলেন, ক্যামেল রেটিং-এর মত অডিট কোম্পানীসমূহের জন্য এফআরসি কর্তৃক রেটিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে পারে, যার মাধ্যমে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা, অবস্থান এবং সক্ষমতা সম্পর্কে আমরা ধারণা পেতে পারি। এছাড়াও তিনি অডিট রিপোর্টের বিশ^াসযোগ্যতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
×