ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাফুফে নির্বাচনে নীরব বিপ্লবের প্রত্যাশায় সমন্বয় পরিষদ

প্রকাশিত: ১৯:৪৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাফুফে নির্বাচনে নীরব বিপ্লবের প্রত্যাশায় সমন্বয় পরিষদ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নীরব ভোট-বিল্পবের প্রত্যাশায় আসলাম-মহির সমন্বয় পরিষদ। ব্যালটের মাধ্যমে তৃণমূলের সংগঠকরা গত এক যুগের বঞ্চনার জবাব দেবেন বলে অভিমত প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। যদিও ভোটের মাঠে অবৈধ অর্থ লেনদেনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে কাউন্সিলরদের মন জয় করতে তার সমর্থিত সমন্নয় পরিষদ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুরের জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের পর শনিবার ঢাকার সব ক্লাবের সঙ্গে আলোচনায় বসে আসলাম-মাহির সমন্নয় পরিষদ। এ প্রসঙ্গে মহি বলেন, ‘আমরা ভোটারদের কাছে গিয়েছি। আমাদের এই যাওয়া, আমাদের এই ইন্টারএ্যাকশন, এটার মধ্যে কিন্তু কোন কর্তৃত্ব নেই। আমরা কাউকে ডেকে এনে ভোট চাইনি। আমরা মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি।’ কোন পক্ষের সমর্থন নয়, সাবেক ও বর্তমান ফুটবলারদের চাওয়া ফুটবলের তৃণমূলের উন্নয়ন। শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, ফুটবলকে ছড়িয়ে দিতে হবে পুরো দেশে। বর্ষপঞ্জিকাসহ ফুটবলারদের জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করার উদ্যোগ যেন নেয় নতুন নেতৃত্ব ... এমনটাই প্রত্যাশা ফুটবল সংশ্লিষ্টদের। ৩ অক্টোবর, পরের চার বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নেতৃত্ব বেছে নেবেন ১৩৯ কাউন্সিলর।ভোটারদের মন জয় করতে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি সম্মিলিত আর সমন্বয় পরিষদের। তবে, কাগুজে ইশতেহারের সঙ্গে বাস্তবতার ফারাক অনেক। তবে এবার কথাসর্বস্ব ইশতেহারের রীতি বদলানোর আহ্বান সাবেকদের। পূর্বের কমিটিগুলো সাফল্যের গল্পগাথা রচনায় বেছে নেয় প্রিমিয়ার আর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের নিয়মিত আয়োজনকে। তবে বরাবরের মতো অবহেলিত প্রথম, দ্বিতীয় আর তৃতীয় বিভাগ ফুটবল। এবার কি বদলাবে সেই ধারা? এ প্রসঙ্গে সাবেক জাতীয় ফুটবলার আবদুল গাফ্ফার বলেন, ‘উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে যদি লিগই আয়োজিত না হয়, তাহলে ফুটবলার তৈরি হবে কিভাবে? শুধু যে ১১/১২টা বিপিএল হয়েছে, শুধু ওগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকলে তো চলবে না।’ গাফ্ফার আরও যোগ করেন, ‘নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ করবো তিনি যেন খেয়াল রাখেন কেউ যেন নির্বাচনের আচরণবিধি লংঘন করতে না পারে।’ আরেক সাবেক জাতীয় ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘ক্যালেন্ডার দেয়া হলেও সেটার সঠিক সময় আমরা কথনই পাই না। সারা পৃথিবীর ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের সঙ্গে যদি সমন্বয় রক্ষা করে যদি আমাদের লিগগুলো আয়োজন করা হয়, তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হবো।’ জাতীয় দলের আরেক সাবেক ফুটবলার বিপ্লব ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘জাতীয় দল গঠনের সময় বাছাই প্রক্রিয়াটা হতে হবে একেবারে শতভাগ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ। আপনার যখন এখানে জবাবদিহিতা থাকবে, তখনই আপনি উন্নতি করতে পারবেন। জাতীয় দল তখনই একটা পর্যায়ে যাবে, যখন প্রতিটি খেলোয়াড়ের জবাবদিহিতা থাকবে।’ পেশাদার লিগের ১২ আসর শেষ হলেও কতটা পেশাদার কাঠামো তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। সুনির্দিষ্ট বর্ষপঞ্জিকার প্রতিশ্রুতি মিলিয়ে যায় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর। ভোটযুদ্ধ শেষে জয়ী হবেন যারাই; তারা যেন ক্ষমতার ম্যাজিকাল চেয়ারের জন্য নয়, ফুটবলের সুদিন ফেরানোর মিশন হাতে নেয়, সে প্রত্যাশা সবার। একইসাথে দায়িত্বের পালাবদলটা যেন হয় বির্তকমুক্ত।
×