ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় নদ-নদীর পানি বাড়ছে

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

নওগাঁয় নদ-নদীর পানি বাড়ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর আত্রাই নদীর পানির উচ্চতা বিপদসীমার ওপরে ওঠে গেছে। নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানির উচ্চতা বিপদসীমা ২১ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। শনিবার সকাল ৯টায় শিমুলতলী পয়েন্টে পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ২১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। ফলে বাঁধের ভাঙ্গনস্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান বলেন, নওগাঁর শিমুলতলী পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ২১ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। সর্বশেষ রিডিংয়ে (পানির উচ্চতা পরিমাপ) আজ শনিবার সকাল ৯টায় ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ৪৫ সেন্টিমিটার। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দুই-তিন দিন পানি আরও কিছুটা বাড়বে। এদিকে পানি ক্রমেই বাড়তে থাকায় ছোট যমুনা নদীর পানিও ফুলে উঠে বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। শনিবার সকাল ৯টায় নওগাঁ শহরের লিটনব্রিজ পয়েন্টে ছোট যমুনা নদীর পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ১৫ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। লিটনব্রিজ পয়েন্টে ছোট যমুনা নদীর পানির উচ্চতা বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর পানি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় নওগাঁয় দ্বিতীয় দফা বন্যার আশঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেলার আত্রাই ও মান্দা উপজেলার পাঁচটি স্থানে আত্রাই নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধ ভেঙ্গে ওই দুই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। বাঁধের ওই সমস্ত ভাঙ্গনস্থান মেরামত না করায় লোকালয়ে আবারও আত্রাই নদীর পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে মান্দার বিষ্ণুপুর ও নুরুল্যাবাদ ইউনিয়ন এবং আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া ও বিশা ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ ডুবে গেছে। মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গত জুলাই মাসের বাঁধভাঙ্গা পানিতে প্রায় ২০ দিন ধরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের প্রায় সব কটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়েছিল। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ফসলি মাঠগুলোতে কৃষকরা আমনের চারা রোপণ করেছিলেন। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গত বুধবার থেকে মান্দার জোঁকাহাট, চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি এলাকায় বাঁধের ভাঙনস্থান দিয়ে আবারও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সদ্য লাগানো আমন চারা ডুবে যাওয়ায় আবারও ক্ষতির সম্মুখীন হলেন কৃষকরা।’
×