ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়ায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

রাশিয়ায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনা মহামারী সরকারী হিসেবের চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে জানিয়েছে দ্য ইকনোমিস্ট। আর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে রাশিয়ায়। দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ এখন সংক্রমিত হয়েছেন। ভারতে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে। ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ। ওয়ার্ল্ডোমিটারের মতে, সারাবিশ্বে শুক্রবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৭৩৮ জন। মারা গেছেন ৯ লাখ ৯০ হাজার ৭৭২ জন। সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৪০ লাখ ৭৪ হাজার ৩৬০ জন। এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ৭৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৭১ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ হাজার ৪৪৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, এএফপি ও রয়টার্সের। সরকারী হিসাবগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি মৃত্যুহারকেও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। কারণ, বহু মানুষ করোনা টেস্ট ছাড়াই মারা গেছেন। এক্ষেত্রে প্রকৃত মৃত্যু সংখ্যা জানার একটি উপায় হচ্ছে, গত বছর মৃতের সংখ্যার সঙ্গে এ বছর মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যার তুলনা করা। সেক্ষেত্রে চলতি বছর বাড়তি প্রাণহানিগুলোই করোনায় মৃত্যু বলে ধরে নিতে হবে। সাধারণত সরকারী পরিসংখ্যানে মৃত্যুর কারণটি গোপন বা ভুল থাকলেও কেউ যে মারা গেছেন, সেটিতে অন্তত ভুল হয় না। কয়েক মাস আগেই মাদ্রিদ-মার্সেইলের মতো শহরগুলো ভেবেছিল তারা করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। তবে সেই সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। আবারও রোগীদের ভিড় জমেছে শহরগুলোর হাসপাতালে, ভরে উঠছে আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র)। সংক্রমণ ঠেকাতে আবারও বিধিনিষেধ ফিরিয়ে আনছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সবখানেই মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের গুঞ্জন। আটলান্টিকের ওপারেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা পুরো ইউরোপের চেয়ে বেশি। ইতোমধ্যেই দুই লাখ প্রাণহানির ভয়ঙ্কর মাইলফলক পেরিয়ে গেছে তারা। ভারতে টানা চার সপ্তাহ ধরে প্রতি সাতদিনে পাঁচ লাখের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় যে কোন দিন তারা যুক্তরাষ্ট্রকে পেরিয়ে শীর্ষে চলে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাশিয়ায় ॥ রাশিয়ায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন সাড়ে ছয় হাজারের বেশি, যা গত দুই মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড। এছাড়া, গত জুনের পর প্রথমবার রাজধানী মস্কোতে একদিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় জুনের শুরুতেই লকডাউন তুলে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ পুরোদমে শুরু করেছিল রাশিয়া। যদিও কর্মীদের স্বশরীরে অফিসে হাজিরের সংখ্যা এখনও তুলনামূলক কম। দেশটির করোনা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র জানিয়েছে, মস্কোয় শনাক্ত নতুন রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৫০ ছুঁয়েছে। সারাদেশে শনাক্ত হয়েছেন মোট ৬ হাজার ৫৯৫ জন। একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৯ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯৪৮ জন। বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ করোনায় আক্রান্ত দেশ রাশিয়া। সেখানে এ পর্যন্ত ১১ লাখ ২৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটিতে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা এখনও রয়েছে। বাইরে বেরোলে মানুষজনের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। বিমানবন্দরেই বিদেশ ফেরত যাত্রীদের শারীরিক তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে। করোনা টেস্টে নেগেটিভ ফলাফল না আসা পর্যন্ত তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভারতে আরও ১১৪১ মৃত্যু ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৫২ জন। এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৭০ জন। এই সময়ে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ১৪১ জনের। এ নিয়ে মোট ৯২ হাজার ২৯০ জনের প্রাণহানি হয়েছে করোনায়। ফ্রান্সে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ ॥ ফ্রান্সের প্রধান নগরীগুলোতে বার ও রেস্তরাঁগুলোতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের একদিন পর রেকর্ডসংখ্যক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বার ও রেস্তরাঁয় বিধিনিষেধ আরোপে স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
×