ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার দেশীয় বাজারকে সিন্ডিকেট ও ভারতের উপর নির্ভরশীল করে তুলেছে - বাম ঐক্য ফ্রন্ট

প্রকাশিত: ১৭:২৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

সরকার দেশীয় বাজারকে সিন্ডিকেট ও ভারতের উপর নির্ভরশীল করে তুলেছে - বাম ঐক্য ফ্রন্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি, কাজ, খাদ্য, চিকিৎসা নিশ্চিয়তা ও রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সমাবেশ করেছে বাম ঐক্য ফ্রন্ট। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাম ঐক্য ফ্রন্ট এর সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের আহবায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ নাসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাসদ এর কেন্দ্রীয় নেতা মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, গণমুক্তি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, বাসদ এর ঢাকা মহানগর অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন মিলন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন বাসদ এর ঢাকা মহানগন নেতা জামাল শিকদার। সভায় বক্তারা বলেন, করোনাকালীন সংকটে সরকারের বৈষম্যমূলক নীতি, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি জনজীবনকে দুর্দশার দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত দেশে বিদেশে মানুষ কাজ হারাচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে না নতুন কাজের সুযোগ। অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। চিকিৎসা ক্ষেত্রে চলছে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন চরম অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়েছে। কৃষক ও কৃষি বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত। প্রতিনিয়িত বাড়ছে কৃষি উপকরণের দাম। কৃষক কৃষি ফসলে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। পূর্বের কোন ঘোষণা ছাড়াই হটাত করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে বাজার অস্তিতিশীল করে তুললেও ঠিকই ভারতে সময় মত ইলিশের চালান পৌছে গেছে। সরকার বাজারকে ভারত ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়েছে। এই মহা সংকটকালীন সময়ে সরকারের অদক্ষতা ও দুর্নীতি দায়ভার শ্রমিকদের উপর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল। উপার্জনহারা মানুষের ভিড়ে যুক্ত হয়েছে ৫০ হাজার পাটকল শ্রমিক। ৪০ লক্ষ পাট চাষীর জীবন এগুচ্ছে চরম অনিশ্চয়তার দিকে। সরকার ও সেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট মিলে বাজার লোকসানের মিথ্যা অযুহাত তুলে পাট ও চামড়াকেও ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। সভায় পেয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো, সকলে জন্য কাজ, খাদ্য ও চিকিৎসার নিশ্চিত ব্যবস্থা করা, পাটকল পিপিপির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে অবিলম্বে অধুনিকায় করে চালু করার দাবি করেন। এছাড়া কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা জীবন নিশ্চয়তায় ফিরিয়ে এনে বেতন-ফি মওকুফের জোর দাবি জানান।
×