ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিখোঁজের ২০ ঘন্টা পর আমতলীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিখোঁজের ২০ ঘন্টা পর আমতলীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ নিখোঁজের ২০ ঘন্টা পর গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় নুর জামাল মোল্লা (৪০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী লাইলি বেগমের দাবি তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা গলায় ফাঁস দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। আজ শুক্রবার নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনা ঘটেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে। জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেন মোল্লার ছেলে নুর জামাল মোল্লা রুপক নামের একটি বে-সরকারী সংস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করতো। গত এক বছর পূর্বে সে ওই সংস্থায় চাকুরী ছেড়ে বাড়ীতে সাংসারিক কাজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নুর জামাল বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে জামাল নিখোঁজ থাকে। নিখোঁজের পর থেকে স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে কিন্তু কোন সন্ধান পায়নি। নিখোঁজের ২০ ঘন্টা পর শুক্রবার সকালে তার বাড়ীর পুকুর পাড়ে একটি গাছের সাথে তোয়ালে প্যাচানো গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার মরদেহ স্বজনরা দেখতে পায়। নুর জামালের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ ও পরিধেয় কাপড়ে রক্তমাখা রয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পেয়ে এএসপি (সার্কেল) সৈয়দ মোঃ রবিউল ইসলাম, আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার ও ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরন করেছে। পরিবারের দাবী নুর জামালকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। স্ত্রী লাইলি বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। তাকে বিভিন্ন স্থানে খুজেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে আমি পুকুরে মুখমন্ডল ধৌত করতে গেলে গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া তার মরদেহ দেখতে পাই। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে রেখেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃতু মামলা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×